নিরাপত্তা আরো কড়াকড়ি হচ্ছে যাদবপুর ক্যাম্পাসে। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ইসরো। এআইয়ের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলে এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তুমুল শোরগোল হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, গত ৯ আগস্ট মৃত্যুর আগে নাবালক ছাত্রটি হোস্টেলেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে মোট ১৩ জন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত হাতে নেয়।
সেই তদন্তের ভিত্তিতে কমিটি সুপারিশ করেছে, ছাত্রমৃত্যুতে মূল অভিযুক্ত চার আবাসিক পড়ুয়াকে আজীবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এই চারজনই মেন হোস্টেলে থাকতেন। এদের নাম দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ, মহাম্মদ আরিফ ও সত্যব্রত রায়।
আরো কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে অভ্যন্তরীণ কমিটি। ছয় জন প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ দেয়া হয়েছে।
৩১ জনকে কয়েকটি সেমিস্টারে সাসপেন্ড করার কথা বলেছে কমিটি। পাঁচ জনকে চারটি সেমিস্টার, ১১ জনকে দুটি ও ১৫ জনকে একটি সেমিস্টারের সাসপেন্ড করার সুপারিশ দিয়েছে কমিটি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ছাত্র মৃত্যু
শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী বিশ্ববিদ্যালয় হলো যাদবপুর। ছাত্র মৃত্যুর পর এখন তা সবচেয়ে বিতর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ ঘটনা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় দেশের পাঁচ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঘটে যাওয়া এক মৃত্যু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ‘এ’ ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে ‘কোনও ভাবে’ পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পড়ুয়াদের দাবি
হস্টেলের অন্য পড়ুয়াদের দাবি, ৯ অগস্ট, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তারা ওপর থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পান। তারা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য
এর পর ধীরে ধীরে এই মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। মৃত ছাত্র হস্টেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে? তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
গেটে তালা
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে মৃত্যুর আগে ওই ছাত্রের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই ছাত্র নাকি বার বার বলছিলেন, ‘‘আমি সমকামী নই।” ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর একটা গেটে তালা পড়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘প্রাক্তনীদের মৌরসীপাট্টা’
এরপর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই গোটা ঘটনায় আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ‘বেআইনিভাবে’ থেকে যাওয়া প্রাক্তনীদের দিকে। ছাত্রদের একাংশের দাবি, হোস্টেলে ‘র্যাগিং’-এর নেপথ্যে রয়েছেন মূলত তারাই।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ডায়রির পাতা
পড়ুয়া্দের অনেকেই জানিয়েছেন, এই প্রাক্তনীরা প্রায়ই হস্টেলে মত্ত অবস্থায় ঝামেলা করেন। র্যাগিং করেন। আশঙ্কা, ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যেও প্রাক্তনীদের হাত থাকতে পারে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে মৃত ছাত্রের ডায়েরিতে লেখা একটি চিঠি। সন্দেহ করা হচ্ছে তার মৃত্যু রহস্যের মোড় অন্যপথে চালিত করতেই এই চিঠির অবতারণা। পুলিশি জেরায় চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেছেন ধৃত পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নয়জন গ্রেপ্তার
পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। এর পর রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আরও ছয়জন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘র্যাগিং নতুন কিছু নয়’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ঘটা করে তৈরি হয় ‘অ্যান্টি-র্যাগিং’ কমিটিও। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছে। বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁদের প্রশ্ন, হস্টেলের সুপারের উপস্থিতিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল। যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পকসো
যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যু মামলায় তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে তারা পকসো আইনের ধারা জুড়তে পারে। কারণ যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বয়স মৃত্যুর সময় ১৮ পূর্ণ হয়নি বলে পরিবার সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে ওই ছাত্র নাবালক। এবং তার বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের অভিযোগে নাবালকের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের আইন পকসো জুড়বে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কেঁদেই ফেলেন রেজিস্ট্রার
ঘটনার চার দিন পর অবশেষে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি ক্যাম্পাসে আসতেই তাকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন কোথায় ছিলেন? ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন? সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েই কেঁদে ফেলেন রেজিস্ট্রার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কমিশনের নোটিস
সোমবারই ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বতঃপ্রণোদিত এই নোটিসে কমিশন জানায়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকেরা। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সাবেক উপাচার্যের মত
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী এক সংবাদপত্রে কলম ধরেছেন। লিখেছেন, “আমি ইস্তফা দেওয়ার পরেই যাদবপুরে অরাজকতার কালো দিনের সূচনা। আমার মনে হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় খাপ পঞ্চায়েতের আদলে চলে। সেখানে ‘জিবি মিটিং’ এবং নিজ নিজ শক্তি প্রদর্শনের খাতিরে আধিকারিক ও উপাচার্যকে ‘ঘেরাও’ করা দু’টি প্রচলিত ‘রীতি’।”
ছবি: Subrata Goswami/DW
রেজিস্ট্রারকে তলব
যাদবপুরকাণ্ডে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। সেই মতো রেজিস্ট্রার বিকেলে হাজিরা দিলেও যাননি ডিন। পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়ারা ‘ঘেরাও’ করে রাখার কারণে তিনি লালবাজারে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উত্তাপ বাড়ছে
বুধবার উত্তপ্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতি হয় এআইডিএসও-র সমর্থকদের। মৃত ছাত্রের এলাকা বগুলা থেকেও বহু মানুষের প্রতিবাদ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
14 ছবি1 | 14
এই সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কী পদক্ষেপ নেবে, তা স্থির হবে কর্মসমিতির বৈঠকে। অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, চলতি মাসেই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হবে। তার আগে র্যাগিং বিরোধী কমিটি বৈঠকে বসবে।
সুরক্ষার তোড়জোড়
ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইতিমধ্যে একাধিক দফায় তারা যাদবপুর পরিদর্শন শেষ করেছে। ক্যাম্পাসের কোন 'জোন' ও গেটে সিসিটিভি বসানো যাবে, তা খতিয়ে দেখছে ইসরো। ভাবনা রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই-এর মতো প্রযুক্তি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ফেসিয়াল রেকগনিশন বা মুখ চিহ্নিতকরণ, পড়ুয়াদের ক্লাউড ডেটাবেস তৈরির ব্যাপারে কথা হয়েছে।
এই পরিকল্পনা রিপোর্টের আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশ করা হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ। অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, "অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো একই ধাঁচে হবে না এখানকার সুরক্ষার আয়োজন। ইসরোর প্রতিনিধিরা দেখেছেন কোন জ়োন বেশি সুরক্ষিত, কোন জ়োন তুলনামূলক কম সুরক্ষিত।"
ইসরোর কাছ থেকে মূলত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চাইছেন তারা। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে যে সময় লাগবে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন উপাচার্য।
‘সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া যেতো’
ইউজিসি-র প্রশ্নের মুখে
পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র প্রশ্নের মুখে পড়েছেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। র্যাগিং বিরোধী কমিটি কেন এই প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় নয়, সেই প্রশ্ন ফের তুলেছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ইউজিসি জানতে চেয়েছে, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের বসবাসের ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পৃথক হোস্টেলে রাখার কথা। যদিও যাদবপুরে সেই নিয়ম মানা হয়নি।
যাদবপুরের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, "শুধু যাদবপুর নয়, গোটা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ডামাডোলের মধ্যে রয়েছে। রাজ্য, রাজভবন সেদিকে নজর দিচ্ছে না। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। সব জায়গায় অস্থায়ী উপাচার্যও নেই। যাদবপুরে যাকে নিযুক্ত করা হয়েছে, ইউজিসির মানদণ্ড অনুযায়ী তার নূন্যতম যোগ্যতা নেই। তা হলে নিয়ম মেনে সঠিক পদক্ষেপ কে নেবে?"
আদালতের নির্দেশ
ছাত্রের মৃত্যুর পর দাবি উঠেছিল, ছাত্রাবাস থেকে প্রাক্তনীদের বার করে দেওয়া হোক।এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পড়ুয়াদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হোস্টেল ছাড়তে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই।
কর্তৃপক্ষ শুধু প্রাক্তনীদের বার্তা দিয়ে ক্ষান্ত থাকলে হবে না। হাইকোর্ট এমনও নির্দেশ দিয়েছে, কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের প্রতিটি ঘরে যেতে হবে। ঘর খালি করার কথা বলতে হবে। প্রথম বর্ষের ছাত্রটির মৃত্যুর পরও আদালতকে ঘর খালি করানোর নির্দেশ দিতে হচ্ছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ছাত্রমৃত্যুর প্রায় এক মাস পরেও কেন কর্তৃপক্ষ সাবেক ছাত্রদের হোস্টেলে থাকতে দিয়েছেন?
নানা বিষয়ে এভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন যাদবপুরের কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্সির সাবেক অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, "অভ্যন্তরীণ কমিটি রিপোর্ট দিতে এতো সময় নিল কেন? কর্তৃপক্ষ সময়সীমা বেধে দিতে পারতেন যে, কোন তারিখের মধ্যে সুপারিশ জানাতে হবে। সিসিটিভি বসানো, প্রাক্তনীদের হোস্টেলে রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া যেত। তা হলে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত।"