বিশ্বের অধিকাংশ নারীই চান এমন পরিবহন যেখানে মেয়েরা থাকবে আলাদা৷ পরিবহন ব্যবস্থার জন্য সেরা নিউ ইয়র্ক সিটিরও বহু নারী মনে করেন, তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকলে বাস, ট্রাম বা ট্যাক্সিতে আরো নিরাপদ বোধ করবেন৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১৫টি রাজধানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউ ইয়র্কের ৬ হাজার তিনশ নারীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে আশ্চর্যজনক এই তথ্য পেয়েছে টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন৷ জরিপে দেখা গেছে, নিউ ইয়র্কের পরিবহন ব্যবস্থাই নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ৷ অথচ ২৫ বছর আগেও নিউ ইয়র্কের রাস্তাঘাট ছিল মহা আতঙ্কের৷ ১৯৮৯ সালে সেন্ট্রাল পার্কে দৌড়াতে গিয়ে ধর্ষিত হন এক তরুণী ব্যাংকার৷ ধর্ষণের পর তাঁকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা৷ তারা ভেবেছিল তরুণীটি মারা যাবে৷ কিন্তু অনেক সংগ্রাম করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরায় সাহসী সেই তরুণী স্থান পেয়ে গেছেন ইতিহাসে৷ ‘সেন্ট্রাল পার্ক জগার' বললে যুক্তরাষ্ট্রের সবাই এখনো চিনে নেয় তাঁকে৷
নিউ ইয়র্ক স্কাইলাইনে হাঁটার অভিজ্ঞতা
এককালে ম্যানহ্যাটান এলাকায় যেখানে এলিভেটেড রেল লাইন ছিল, সেখানে এখন সুন্দর মনোরম এক পার্ক৷ পার্কটি এখন জনসাধারণের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে৷ তার মধ্যে আছে একটা হলিউডি গন্ধও৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
উদ্বোধনী প্যারেড
থার্টিয়েথ থেকে থার্টিফোর্থ স্ট্রিটের মাঝের অংশের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ রেল-ট্র্যাকটিকে পার্কে রূপান্তরিত করার কাজ শেষ হলো৷ এর জন্য বেশ কয়েক কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে৷ রবিবার উদ্বোধনের সময় শহরবাসী ও পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে৷
ছবি: Getty Images
উৎসবের কারণ আছে বৈকি!
উদ্বোধনী উৎসবে উপস্থিত ছিলেন হলিউড তারকা এডওয়ার্ড নর্টন, যিনি অনেক বছর ধরে এই রেলপথ রূপান্তরের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এর আগে আমি এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করিনি, যাতে এত মানুষ গা ভাসিয়েছেন৷’’ আগে জায়গাটা কেমন দেখতে ছিল, আজ তা ভাবাই যায় না৷ কথাটা সত্যি ঠিক৷
ছবি: Getty Images
মাটি থেকে ৯ মিটার উপরে
পরিত্যক্ত এই যান্ত্রিক খাঁচায় আজ সবুজের সম্ভার৷ ১৯৩৪ সালে এই এলিভেটেড ট্র্যাক তৈরি হয়েছিলো৷ ম্যানহ্যাটানের পশ্চিম দিকে কারখানা ও গুদামগুলির উপরের তলায় মালপত্র পরিবহনই ছিল এর উদ্দেশ্য৷ তারপর বড় বড় ট্রাকে করে মাল নিয়ে যাওয়া শুরু হয়৷ ১৯৮০ সালে শেষ ট্রেনটি চলেছিল৷
ছবি: Getty Images
দুর্গন্ধময় এলাকার রূপান্তর
রেল ট্র্যাক সহ গোটা এলাকা মাংস কারখানার দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছিল৷ পথেঘাটে দেখা যেত অপরাধী ও যৌনকর্মীদের৷ সে সময় গোটা ট্র্যাকটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ তারপর জোশুয়া ডেভিড ও রবার্ট হ্যামন্ড নামের দুই প্রতিবেশীর মাথায় একটা ভালো আইডিয়া আসে৷ তাঁরা চেয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের ব্যস্ত মানুষের জন্য শহরের মাঝেই এক টুকরো সবুজের ছোঁয়া৷
ছবি: Getty Images
আদর্শ প্রকল্প
তাঁরা রেল-ট্র্যাক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং বিখ্যাত মানুষদের কাছে সমর্থন চান৷ আসে বিশাল সাফল্য৷ পাঁচ বছর আগে উদ্বোধনের পর থেকে ‘নিউ ইয়র্ক হাই লাইন’ প্রকল্প গোটা বিশ্বে অনুকরণ করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images
পর্যটকদের আকর্ষণ
২০০৯ সালে ট্র্যাকের একটা অংশ উদ্বোধন করা হয়৷ ২০১১ সালে দ্বিতীয় অংশটি খুলে দেয়া হয়৷ তারপর থেকে প্রায় ২ কোটি মানুষ ফুলের বাগান ও ঘাসের বাহার দেখতে এসেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্যানোরামা ভিউ
জগিং, হাঁটাচলা বা আরাম করে বেঞ্চে বসা – যাই করুন না কেন, স্কাইলাইনের অপরূপ দৃশ্য বিনামূল্যেই পাওয়া যায়৷
ছবি: Getty Images
পিকনিক
সেখানে বসে খাওয়াদাওয়ার মজাও আলাদা৷ তৃতীয় অংশের উদ্বোধনের সময় পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মীরা ও প্রতিবেশীরা সুন্দর রোদে বসে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করলেন৷ তার আগে মিউজিক ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেছে৷
ছবি: Getty Images
8 ছবি1 | 8
সেই শহরের রাস্তা-ঘাট, বাস, ট্রাম, পাতাল ট্রেন – সবই এখন সর্বাধুনিক এবং নিরাপদ৷ তারপরও জরিপে সত্তর ভাগ নারীই বলেছেন, বাস এবং ট্রেনে মেয়েদের জন্য আলাদা আসন থাকলে তাঁরা আরো নিরাপদ বোধ করবেন৷ বাসে-ট্রেনে কিংবা ট্যাক্সিতে উঠলে মেয়েরা যে নিয়মিত যৌন নিপীড়নের শিকার হন, নিউ ইয়র্কে ব্যাপারটা এত খারাপ পর্যায়ে নেই৷ শতকরা ৩০ ভাগ নারী জানিয়েছেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে তাঁরা মৌখিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন৷
ফিলিপাইন্সের রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ৯৪ ভাগ নারী মেয়েদের জন্য একেবারে আলাদা বাস, ট্রাম এবং ট্যাক্সির পক্ষে মত দিয়েছেন৷ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি এবং ভারতের রাজধানী দিল্লিরও ৯০ ভাগেরও বেশি নারী যানবাহনে অপরিচিত পুরুষের পাশে বসার বিপক্ষে৷ তবে জরিপে অংশ নেয়া নিউ ইয়র্কের নারীদের মধ্যে মাত্র ৩৫ ভাগ এই দাবির পক্ষে৷
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্যাক্সি
সারা বিশ্বেই ‘ট্যাক্সি’ আজ শুধু যানবাহন নয়, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটা জায়গা হয়ে উঠেছে৷ ট্যাক্সিটি নতুন, পুরনো, ভাঙা বা বিলাসবহুল – যাই হোক না কেন, সেটায় বসেই যাত্রী সে দেশটিকে, দেশের মানুষকে দেখতে, ও জানতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উজ্জ্বল হলুদ রঙের ট্যাক্সি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের হলুদ রঙের এই ট্যাক্সিগুলো পরিচিত ‘ইয়েলো ক্যাব’ নামে৷ বিশ্বখ্যাত এই ট্যাক্সিগুলো মজবুত এবং আয়তনে বেশ বড় হলেও, ১৯৮০ সালের পর থেকে আর তৈরি হয়নি৷ তাছাড়া পুরনো এই ট্যাক্সিগুলো চালাতে বেশি পেট্রোল লাগলেও, আজও নিউ ইয়র্কের রাস্তায় মাঝে মাঝেই এগুলি চোখে পড়ে৷ শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে এই হলুদ ক্যাবের দাম নিলামে ১৩৪,৫০০ অ্যামেরিকান ডলার পর্যন্ত উঠেছিল৷
ছবি: imago/Manfred Segerer
মেয়েদের জন্য গোলাপি রঙের ট্যাক্সি
মেক্সিকোয় বড় শহরগুলোর রাস্তা তেমন নিরাপদ নয়৷ তাই মেক্সিকো-সিটি এবং পুয়েব্লার পৌরসভা সেখানে ‘পিংক ক্যাব’ ট্যাক্সি চালু করেছে৷ উজ্জ্বল গোলাপি রঙের এই ট্যাক্সির চালকরা যেমন মেয়ে, তেমনি যাত্রীও শুধুই মেয়ে এবং শিশুরা৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, নারীচালিত এই ট্যাক্সিতে জিপিএস, ইমারজেন্সি বোতাম এবং কসমেটিক্স বক্স – এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সবসময় থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অতীতে ফিরে যাওয়া
কিউবার রাস্তায় এখনো পুরনো গাড়ি, মানে ‘ওল্ডটাইমার’ চলতে দেখা যায়৷ এদের মধ্যে অধিকাংশই মার্কিনি৷ ১৯৫০ এবং ৬০-এর দশকের এমন অনেক গাড়ি ইতিমধ্যেই ১০০,০০০ কিলোমিটারের ঘর পার করেছে৷ তাই আজকের এ যুগে ঐ গাড়িগুলোয় চড়া পর্যটকদের জন্য এক অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা৷ তার ওপর এগুলো ‘শেয়ার ট্যাক্সির’ মতো কাজ করায়, পথে যাত্রী ওঠা-নামা করে৷ ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায় সহজেই৷
ছবি: picture-alliance/Horst Galuschka
ইচ্ছে মতো যাত্রী তোলা
গণ প্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার ট্যাক্সিগুলিতে কতজন যাত্রী তোলা হবে – তার কোনো নিয়ম-কানুন নেই৷ ফলে ট্যাক্সিতে চালকের ইচ্ছেমতো যাত্রী তোলা হয়৷ তবে এ ছবি শুধু আফ্রিকায় নয়, বাংলাদেশের রাস্তাতেও নিত্যদিনের দৃশ্য৷ আসলে বেশিরভাগ সময় যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য আর কোনো বিকল্প উপায় থাকে না বলেই শেষ পর্যন্ত এরকম ভর্তি ট্যাক্সিতে ওঠেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুবাইয়ের ‘লাইফলাইন’ জলট্যাক্সি
এখানে যতগুলো সেতু আছে, তারচেয়েও বেশি আছে জলট্যাক্সি৷ খাঁড়িগুলিতে অবশ্য শুধুমাত্র কাঠের তৈরি জাহাজগুলোরই চলাচলের অনুমোদন আছে৷ তবে ‘আব্রাস’ নামের ছোট্ট এই নৌকাটিও অন্ততপক্ষে ২০ জন মানুষকে তুলতে পারে৷ আর এই জলট্যাক্সিতে শ্রমিক, ম্যানেজার, পর্যটক – যেই উঠুন না কেন, সবার জন্যই ভাড়া মাত্র ২০ সেন্ট৷ সম্ভবত বিশ্বের আর অন্য কোথাও এত কম ভাড়ায় ট্যাক্সি চড়া যায় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অমানবিক কাজ
জাপানে আবিষ্কৃত রিক্সা প্রথমে এশিয়ার দেশগুলিতে পরিচিতি পেলেও, ইতিমধ্যে সাইকেল রিক্সা হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর চল রয়েছে৷ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবশ্য টানা রিক্সা শহরের প্রায় সব জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷ আজকের যুগে মানুষ-টানা রিক্সাকে রাজনীতিবিদ সহ অনেকেই অমানবিক বলে মনে করেন৷ তাই তাঁরা এ ধরণের রিক্সা একেবারেই তুলে দেওয়ার পক্ষে৷
ছবি: Gemeinfrei
সন্নাসীরাও ট্যাক্সিতে ওঠেন
থাইল্যান্ডে ট্যাক্সি চড়ে ঘুরে বেড়ানোটা বেশ মজার একটা ‘অ্যাডভেঞ্চার’৷ তবে ওখানকার তিন চাকাওয়ালা ‘টুক-টুক’-এ চড়তে শক্ত নার্ভ আর স্থিতিশীল পাকস্থলী থাকা প্রয়োজন তা না হলে মুসকিল৷ অন্যদিকে আরামদায়ক গাড়ির মধ্যে লিমোজিন অন্যতম৷এই গাড়িতে ওঠার আগে পর্যটকদের ভাড়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা ভালো৷ থাইল্যান্ডে সন্নাসীদের বিশেষ অবস্থানের কারণে তাঁরা এই ব্যয়বহুল লিমোজিনে উঠতে পারেন, তাও আবার বিনা পয়সায়৷
ছবি: picture-alliance/Sebastian Kahnert
বিরক্তিকর!
কম্বোডিয়ায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য সাইকেল রিক্সা, মোফাট্যাক্সি, মিনিবাসের মতো নানান যানবাহন রয়েছে৷ তবে ‘পিকআপ’ হচ্ছে সস্তা যানবাহনের একটি৷ আরাম যার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে এতে চড়তে পারেন৷ তবে ‘পিকআপ’-এ চড়ার আগে এটা ধরেই নিতে হবে যে, তাঁকে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে কষ্ট করে বসতে হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
সবুজ চা পান
চীনের প্রধান শহরগুলোতে ট্যাক্সিই মূল যানবাহন৷ শুধুমাত্র পেকিংয়েই চলে প্রায় ৬৬,০০০ ট্যাক্সি৷ শুধু তাই নয়, ট্যাক্সিতে খুব কম খরচে এবং সহজে যাতায়াত করা যায়৷ তবে বেশিরভাগ ট্যাক্সি চালক ইংরেজি না জানায়, গন্তব্যস্থলটি চীনাভাষায় লিখে চালককে ধরিয়ে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ পর্যটকদের এটাও জানা দরকার যে চীনা ট্যাক্সি চালকরা যখন-তখন সবুজ চা পান করেন৷ তাই আপনাকেও যদি সেই চা খেতে বলা হয়, তাহলে ভয়ের কিছু নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জলের ওপর বিলাসবহুল ট্যাক্সি
ইটালির ভেনিস শহরে হাতে গোনা পিচ ঢালা সমান্তরাল রাস্তা রয়েছে৷ কারণ শহরটি রাস্তার বদলে সরু সরু খালে ভর্তি৷ দেড় হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরের বুকে শহরটির গোড়াপত্তন হয়৷ আর তখন থেকেই ছোট ছোট নালা বা খালের ভেতর দিয়ে চলতো কাঠের তৈরি সোনালি-কালো গন্ডোলা৷ দাঁড় বেয়ে মাঝিরা এই রোম্যান্টিক নৌকা চালান, রাতের বেলায় যাতে ৪০ মিনিট চড়তে খরচ হয় ১০০ ইউরো৷ আজকাল অবশ্য ইলেক্ট্রিক জলট্যাক্সিও পাওয়া যায় ভেনিসে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
বিশ্বের অনেক আধুনিক শহরেই ইতিমধ্যে নারীদের জন্য বাসে এবং ট্রেনে আলাদা আসন রাখা শুরু করেছে৷ জরিপের শহরগুলোর মধ্যে এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে টোকিও৷ পথে-ঘাটে মেয়েদের যৌন নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচাতেই নেয়া হচ্ছে এমন উদ্যোগ৷ এক্ষেত্রে টোকিওর পরেই আছে মেক্সিকো আর জাকার্তা৷
কিন্তু প্রশ্ন হলো, মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে আলাদা বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি বা আলাদা বসার ব্যবস্থা করাই কি যথেষ্ট? এ সব উদ্যোগ কি মেয়েদের জন্য খুব সুন্দর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত? বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট জুলি ব্যাবিনার্ড বললেন, ‘‘যানবাহনে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সাময়িক সুফল বয়ে আনতে পারে, এটা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না৷''