২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের কৈলাস সত্যার্থী৷ নারী অধিকার নিয়ে গোটা বিশ্বের সোচ্চার মালালা ২০১২ সালে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় গুরুতর আহত হন৷ মূলত এরপরই আলোচনায় আসেন তিনি৷ অন্যদিকে কৈলাস শিশু অধিকার অ্যাক্টিভিস্ট৷

এখন অবধি নোবেল জয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি হচ্ছেন মালালা ইউসুফজাই৷ শুক্রবার নোবেল কমিটি যখন তাঁর নাম ঘোষণা করে, তখন তিনি ছিলেন লন্ডনের একটি স্কুলে৷ তাঁর বয়স ১৭ বছর৷ এর আগে ১৯১৫ সালে ২৫ বছর বয়সে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জিতেছিলেন স্যার উইলিয়াম লওরেন্স ব্রেগ৷

বলাবাহুল্য, মালালার নোবেল জয়ের বিষয়টি অনেকেই প্রত্যাশা করছিলেন৷ বিশেষ করে গতবছর তিনি শান্তিতে নোবেল জয় করবেন বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই৷ তবে গতবছর শান্তিতে নোবেল জয় করে ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অফ কেমিকাল উইপনস৷’

মালালা ইউসুফজাই ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন৷ ২০১৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম অফ থট’ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি৷

২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই৷ এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শান্তি এবং মানবিক কর্মকাণ্ড বিষয়ক ‘রোম প্রাইজ’ জয় করেন তিনি৷

শান্তিতে নোবেল জয়ের খবর প্রকাশের পর মালালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ৷ দেশটির একমাত্র শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা৷

প্রসঙ্গত, নারী শিক্ষা এবং নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার মালালা বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি অর্জন করছেন৷ তবে নিজের দেশে সমালোচিত তিনি৷ পাকিস্তানের অনেকে মনে করেন, মালালাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে৷

এমনকি পাকিস্তানের কিছু স্কুলে মালালার লেখা বই ‘আই অ্যাম মালালা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ বেসরকারি স্কুলগুলোর একটি সংগঠন দাবি করেছে, বইটি তরুণ শিক্ষার্থীদের নীতিভ্রষ্ট করতে পারে৷

এদিকে মালালার সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শিশুদের অধিকার নিয়ে আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি এই পুরস্কার৷ ৬০ বছর বয়সি কৈলাশ নোবেল কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জয় করেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷ আর দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম শান্তিতে নোবেল জয়ী হচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি৷