আক্রমণকারীর বয়স ১৭ বছর। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। একটি ছুরি নিয়ে সে আক্রমণ চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
লিভারপুলের কাছে একটি সমুদ্রতীরবর্তী শহরে সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। জায়গাটির নাম মার্সিসাইড। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে, একটি নাচের ক্লাসে ঢুকে পড়েছিল ১৭ বছরের ওই বালক। সেখানে ছুরি নিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ চালায় সে। ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্য়ু হয়। আরো নয়টি শিশু ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্য়ে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্য়ক্তিও ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদেরও স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর ডাবলিনে দাঙ্গা, আগুন
ডাবলিন সিটি সেন্টারে একটি স্কুলের বাইরে তিনটি বাচ্চা মেয়ে ও এ নারীকে ছুরি মারে এক ব্যক্তি। তারপর দাঙ্গা শুরু হয়।
ছবি: Brian Lawless/PA via AP/picture alliance
পুলিশ যা বলেছে
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ বছরের একটি মেয়ে এখন এমার্জেন্সি কেয়ারে আছে। পাঁচ ও ছয় বছরের দুইটি মেয়ে এবং ৩০ বছর বয়সি নারীও ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই ছুরি মারার ঘটনার জন্য একজনই দায়ী। তার খোঁজ চলছে।
ছবি: Clodagh Kilcoyne/REUTERS
এটা কি সন্ত্রাসবাদী হামলা?
পুলিশ সুপার প্রথমে বলেছিলেন, প্রাথমিক তদন্তে তিনি সন্তুষ্ট। এটা সন্ত্রাসবাদীদের কাজ নয়। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। পরে পুলিশ প্রধান হ্যারিস জানান, ''পুলিশ কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না। এটা সন্ত্রাসবাদী ঘটনা কিনা, তা নিয়ে জল্পনা করার দরকার নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণের উদ্দেশ্য জানা না যাচ্ছে, ততদিন খোলা মনেই পুলিশ চলবে।''
ছবি: Brian Lawless/AP Photo/picture alliance
দাঙ্গা শুরু
এর কিছুক্ষণ পরেই মুখে মুখোশ পরে দাঙ্গাকারীরা রাস্তায় নামে। তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তারা সরকারি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
ছবি: Clodagh Kilcoyne/REUTERS
'দক্ষিণপন্থিদের কাজ'
পুলিশ জানিয়েছে অতি-দক্ষিণপন্থিরাই রাস্তায় নেমেছিল। তারা ইমিগ্রেশন সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটা জুতোর দোকানে ভাঙচুর করে। বাস, গাড়ি, ট্রামে আগুন ধরায়।
ছবি: Brian Lawless/PA via AP/picture alliance
গুজব থেকে শুরু
পুলিশ জানিয়েছে, কেউ যেন কোনো গুজব না ছড়ায়। পুলিশের ধারণা, গুজবের কারণেই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। গুজব রটেছিল, একজন বিদেশি এই ছুরি-আক্রমণের পিছনে আছে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে দলে দলে যুবক রাস্তায় নেমে পড়ে।
ছবি: Clodagh Kilcoyne/REUTERS
শুধু আগুনের ছবি
দাঙ্গার পর ডাবলিনে আগুনের ছবি সামনে আসে। দাঙ্গাকারীরা দোকান, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের সামলানোর জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ছবি: Clodagh Kilcoyne/REUTERS
ঘটনার নিন্দা
আয়ারল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যাকেন্টি বলছেন, প্রথমে ছুরি মারার ঘটনা, তারপর এই ধরনের আক্রমণ, দুটিই ভয়ংকর নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। আরো করবে। আয়ারল্যান্ডের ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের প্রধান বলেছেন, যারা এইভাবে যানবাহনে আগুন ধরায় তাদের নিন্দা করার কোনো ভাষা নেই।
ছবি: CLODAGH KILCOYNE/REUTERS
7 ছবি1 | 7
পুলিশ জানতে পেরেছে, আক্রমণকারী পার্শ্ববর্তী গ্রাম ব্য়াংকের বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন সে একাজ করলো, তা খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই আক্রমণের পিছনে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত আছে বলে তারা মনে করছে না। অন্য় কাউকে সন্দেহও করা হচ্ছে না। তবে কেন ওই ১৭ বছরের বালক এই ঘটনা ঘটালো, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনই তারা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য় করতে চায় না।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে নাচের এবং যোগ ব্য়ায়ামের ক্লাস চলছিল। হঠাৎ তারা একজনকে সেখান থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখে। কিছুক্ষণের মধ্য়েই ঘটনাস্থলে অ্য়াম্বুল্য়ান্স পৌঁছায়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরে জানায়, নয়টি শিশু আহত হয়েছে। দুইজনের মৃত্য়ু হয়েছে। দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্য়ক্তিও আহত হয়েছেন।