দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি প্রচার, সাথে পরাক্রম দিয়ে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র উন্মুক্ত করে বলা হয়েছে বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতার নতুন অধ্যায়ে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷
বিজ্ঞাপন
৬৮ পৃষ্ঠার এ কৌশলপত্রে মিত্র ও সহযোগীদের যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বিশেষ করে ন্যাটো জোট যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী শক্তির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ৷ ন্যাটো চার্টার অনুযায়ী তাই এক দেশের উপর হামলাকে সদস্য দেশের উপর হামলা বিবেচনা করে একসাথে কাজ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় এ কৌশলপত্রে৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতি অনুযায়ী, এতে দেশ ও সীমান্ত রক্ষায় অগ্রাধিকার, সামরিক পুনর্গঠন, বহির্বিশ্বে শক্তি প্রদর্শন এবং বাণিজ্য নীতির পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়৷ তবে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, যেসব দেশ সম্পদশালী, তাদের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিরক্ষা ব্যয় ফেরত দেয়া৷''
ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের কথা জানা গেল যেভাবে
গতবছর মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ক্রেমলিনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষা চলছে৷ সম্প্রতি একাধিক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও জানিয়েছে যে, মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিল রাশিয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lei
২০১৩: রাশিয়ায় ট্রাম্প
২০১৩ সালের ১৮ জুন ট্রাম্প টুইট করেন, ‘‘নভেম্বরের ৯ তারিখ মিস ইউনিভার্স প্যাজেন্ট রাশিয়ার মস্কো থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে৷ একটি বড় চুক্তি যা আমাদের দেশগুলোর মিলন ঘটাবে৷’’ পরবর্তীতে তিনি আরো লেখেন যে, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় পুটিন (অনুষ্ঠানে) আসবে, যদি আসেন, তাহলে কি তিনি আমার নতুন বেস্ট ফ্রেন্ড হবেন?’’ সেবছর এক চ্যাট শোতে ট্রাম্প জানান যে, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর অনেক ব্যবসা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Prokofyev
সেপ্টেম্বর ২০১৫: হ্যাকিংয়ের অভিযোগ
এক এফবিআই এজেন্ট ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) এক তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দেয়া কন্ট্রাক্টরকে জানান যে, ডিএনসি সম্ভবত হ্যাকড হয়েছে৷ ২০১৬ সালের ১৪ জুন, ডিএনসি হ্যাকিংয়ের ঘটনার কথা স্বীকার করে জানায় যে, রাশিয়ার হ্যাকাররা কাজটা করেছে৷
ছবি: picture alliance/MAXPPP/R. Brunel
জুলাই ২২, ২০১৬: আসাঞ্জ জানালেন আরো বিস্তারিত
জুলিয়ান আসাঞ্জের উইকিলিক্স ডিএনসি থেকে চুরি যাওয়া ২০,০০০ ইমেল প্রকাশ করে যাতে দেখা যায় যে সিনেটর বার্নি সেন্ডারসের চেয়ে হিলারি ক্লিন্টনকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/N. Hall
জুলাই ২৫, ২০১৬: তদন্তে এফবিআই
এফবিআই ঘোষণা দেয় যে ডিএনসি হ্যাকিংয়ের ঘটনা তদন্ত করছে সংস্থাটি৷ হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেয়ার কারণ রয়েছে বলেও জানায় এফবিআই৷
ছবি: Reuters/J. Ernst
নভেম্বর ৮, ২০১৬: জিতলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই খবর শুনে রাশিয়ার সংসদের আনন্দের বন্যা বয়ে যায়৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
নভেম্বর ১০, ২০১৬: রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার
রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের নির্বাচনি ক্যাম্পেইনের যোগাযোগ ছিল বলে জানান রাশিয়ার উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই রিবাকভ৷ তবে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন একথা অস্বীকার করে৷
ছবি: Imago/Itar-Tass
মার্চ ২০, ২০১৭: ট্রাম্প-ক্রিমলিন যোগাযোগ তদন্তে করছে এফবিআই
এফবিআই পরিচালক জেমস কমি ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত হাউস সিলেক্ট কমিটিকে নিশ্চিত করেন যে রাশিয়া এবং ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্কের বিষয়ে তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থাটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/J. S. Applewhite
মে ৯, ২০১৭: কমিকে চাকুরিচ্যুত করলেন ট্রাম্প
কমিকে দেয়া ইস্তফা পত্রে ট্রাম্প লিখেছিলেন: ‘‘যদি আমি এটার প্রশংসা করি যে, আপনি তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে জানিয়েছেন যে, আমাকে নিয়ে কোন তদন্ত হচ্ছে না, তাসত্ত্বেও আমি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে একমত হয়েছি যে, আপনি এফবিআই কার্যকরভাবে পরিচালনায় সক্ষম নন৷’’
ছবি: Reuters/J. Ernst/K. Lamarque
সেপ্টেম্বর ২০১৭: সিনেট কমিটির সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প জুনিয়র
ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিকে জানান যে, বিদেশি কোনো সরকারের সঙ্গে কোনো আঁতাত করেননি তিনি৷ কমিটির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ২০১৬ সালের জুনে ট্রাম্প জুনিয়র এবং তাঁর ভগ্নিপতি জেরড কুশনার ও ক্যাম্পেইন ম্যানেজার পাউল মানাফোর্টের সঙ্গে রাশিয়ান আইনজীবী নাটালিয়া ভেসেলনিৎসকায়ার সাক্ষাতের বিষয়ে আলোচনা হয়৷
ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে যে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়া এ সব প্লাটফর্মের অপব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে৷ কোম্পানি তিনটি নভেম্বরে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির মুখোমুখি হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lei
10 ছবি1 | 10
দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের অবস্থানের বৈপরীত্য দেখা গেলেও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের ক্ষেত্রে সহযোগী দেশগুলোর প্রত্যাশা ছিল, স্পষ্ট ঐক্যমত থাকবে প্রশাসনিক অবস্থানে৷ কিন্তু অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্টতা খুঁজতে চাওয়া বন্ধুত্বপ্রতীম দেশের জন্য কৌশলপত্র ও ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের মিশ্র বার্তা বিভ্রান্তকর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
কৌশলপত্রে রাশিয়া ও চীনকে ‘রিভিশনিস্ট পাওয়ার' উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধ অবস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘‘মার্কিন নিরাপত্তা ও উন্নয়নে ধস নামাতে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা, প্রভাব ও স্বার্থের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে৷'' যদিও সন্ত্রাস দমনে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পারষ্পরিক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিআইএ-র তথ্যের ভিত্তিতে পিটাসবুর্গে সম্ভাব্য এক সন্ত্রাসী হামলা আটকানো গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পারষ্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন উল্লেখযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হলেও কৌশলপত্রের সমালোচনা করে বলা হয়, ওয়াশিংটন একমুখী বিশ্বের ধারণা নিয়ে এগুচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘‘একমুখী বিশ্বের ধারণা থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতির কারণে এ ডকুমেন্টের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷'' অন্যদিকে, চীনের প্রতি কঠোর মনোভাবের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এক প্রতিক্রিয়া চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেইজিংকে মার্কিন শক্তির প্রতিযোগী হিসেবে উল্লেখ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতা'-র বহিঃপ্রকাশ যা ওয়াশিংটনের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের আহ্বান চীনের কৌশলগত অভিপ্রায়ের ইচ্ছাকৃত এ বিকৃত উপস্থাপন বন্ধ করা হোক, সেই সাথে স্নায়ুযুদ্ধ ও জিরো সাম গেমের মতো প্রাচীন ধারণা বাদ দিক৷ নয়ত এ সব নিজেদের বা অন্যদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে৷''
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বারাক ওবামার জলবায়ু নীতি থেকে শুরু করে মুক্ত বাণিজ্যের ধারণার বিপরীতে অবস্থান নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ প্রকাশিত এ কৌশলপত্রেও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরাসরি কোনো উল্লেখ না করে একে ‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়৷ এতে বলা হয়, ‘‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মূল অবস্থান প্রধান উৎপাদক, ভোক্তা ও আবিষ্কারকের যাতে বাজার উন্মুক্ত থাকে এবং মার্কিন পরিকাঠামো থাকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ৷'' প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বৈশ্বিক শক্তি ব্যবস্থাপনা'-র নীতি কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় কৌশলপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ‘জরুরি এবং ক্রমবর্ধমান হুমকি' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল৷
এবারের নিরাপত্তা কৌশলপত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করে এ হুমকি মোকাবেলায় কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়েছে৷ এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য সুযোগ বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গও এসেছে এতে৷ এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নতুন এই নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়ন করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে৷
আরএন/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপি, রয়টার্স)
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বিতর্কিত টুইট বার্তা
হোয়াইট হাউস ও নিজের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে শলাপরামর্শ না করেই ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ টুইট বার্তা প্রকাশ করে বার বার বিতর্কের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তারই কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
বার্সেলোনা হামলা, সন্ত্রাসবাদের দাওয়াই
স্পেনে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চরম ইসলামপন্থিদের শায়েস্তা করতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এক মার্কিন জেনারেলের নৃশংস পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নেবার পরামর্শ দেন৷ শুকরের মাংসে ডোবানো বুলেট দিয়ে জেনারেল পার্শিং ফিলিপাইন্সে ইসলামি বিদ্রোহীদের কীভাবে শায়েস্তা করেছিলেন, ট্রাম্প পরোক্ষভাবে সেই কাহিনির উল্লেখ করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Barrena
শার্লটসভিলে তাণ্ডব
নব্য নাৎসি ও চরম দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠীগুলির হিংসাত্মক তাণ্ডবের পর অ্যামেরিকাসহ গোটা বিশ্বে যখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ ট্রাম্প তখন তাণ্ডবকারী ও প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে হিংসার জন্য দায়ী করেন৷ চরম বিতর্কিত কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রবল সমালোচনা করেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
নিজের শিবিরই যখন লক্ষ্যবস্তু
শুধু ‘ফেক নিউজ’ নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের রিপাবলিকান দলের একাধিক নেতা ও সংসদ সদস্যদের সমালোচনা বরদাস্ত করতে প্রস্তুত নন৷ শ্লেষাত্মক ও অপমানজনক টুইট বার্তার মাধ্যমে তিনি তাঁদের সরাসরি আক্রমণ করে আসছেন৷ ঘরের মধ্যেই অভাবে শত্রু বাড়িয়ে চললে চরম দুর্দিনে তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বেন বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই৷
ছবি: Getty Images/W. McNamee
শিল্প-বাণিজ্য মহলের সঙ্গে সংঘাত
শার্লটসভিল কাণ্ডের পর দু’টি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নব্য নাৎসিদের প্রতি নরম মনোভাবের প্রতিবাদে প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷ তাঁরা পরিষদ ভেঙে দেবার উপক্রম করলে ট্রাম্প নিজেই টুইট বার্তায় সেই ঘোষণা করে লেখেন, তিনি ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে ফেলতে চান না৷
ছবি: Imago/ZumaPress/O. Douliery
বেপরোয়া পররাষ্ট্র নীতি
নিজের প্রশাসনের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক কর্মকর্তাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই অন্য দেশের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করতে ওস্তাদ ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি ও ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুঙ্কার করে তিনি চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সষ্টি করেছেন৷