যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভারতীয় অ্যামেরিকানদের প্রভাব
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মার্কিন কংগ্রেসে বর্তমানে পাঁচজন ভারতীয় অ্যামেরিকান আছেন৷ আর রাজ্য পর্যায়ে আছেন প্রায় ৪০ জন৷ এশীয় অ্যামেরিকান যে-কোনো গোষ্ঠীর মধ্যে ভারতীয় অ্যামেরিকানদের ভোট দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি৷
বিজ্ঞাপন
এশীয় অ্যামেরিকানদের রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা এএপিআই ডাটার কার্তিক রামকৃষ্ণান ডিডাব্লিউকে এসব তথ্য দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, কমলা হ্যারিস যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তা থেকে বোঝা যায়, ভারতীয় অ্যামেরিকানরা মার্কিন রাজনীতিতে শক্তিশালী হয়ে উঠছেন৷
রামকৃষ্ণান বলেন, ভারতীয় অ্যামেরিকানরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি শিক্ষিত ও সম্পদশালী হওয়ায় তাদের মধ্যে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও অন্যান্য সুযোগ পাওয়া সহজ হয়৷ ভারতীয় অ্যামেরিকানদের কেউ কেউ এখন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানান তিনি৷ ‘‘তারা তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে, তাদের সামাজিক নেটওয়ার্কের কাছ থেকে রাজনৈতিক অনুদান পাচ্ছেন,'' বলেন রামকৃষ্ণান৷
কমলা হ্যারিস: অনেক প্রথমের এক নারী
কমলা হ্যারিস অনেক দিক দিয়েই ‘অ্যামেরিকার ইতিহাসে প্রথম’ হিসাবে নাম লিখিয়েছেন। প্রথম নারী এবং প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট কি তিনি হতে পারবেন?
ছবি: Tony Avelar/AP/dpa/picture alliance
অভিবাসীদের পরিবার
কমলা দেবী হ্যারিস ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ডোনাল্ড জে. হ্যারিস একজন বিখ্যাত মার্কিন-জ্যামাইকান বিজ্ঞানী। মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিস একজন বিখ্যাত ভারতীয় বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী, যিনি স্তন ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। এই ছবিটিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে মায়ের ল্যাবে কমলা হ্যারিসকে দেখা যাচ্ছে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Kamala Harris Campaign
মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর কমলা হ্যারিস (বামে) এবং তার ছোট বোন মায়া মায়ের সঙ্গেই থাকতেন।কমলার বয়স যখন ১২, তখন তার পরিবার ক্যানাডার মন্ট্রিলে চলে যায়। গোপালন হ্যারিস ২০০৯ সালে ক্যান্সারে মারা যান। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন গ্রহণ করার সময় কমলা তার মায়ের সম্পর্কে বলেছিলেন, "তিনি ভারতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে এবং তা নিয়ে গর্বিত হওয়ার জন্য আমাদের উৎসাহিত করেছেন।"
ছবি: picture-alliance/dpa/Kamala Harris Campaign
নাগরিক অধিকার আন্দোলন
হ্যারিসের বাবা-মা দুজনেই নাগরিক অধিকার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আত্মজীবনীতে কমলা লিখেছেন, বাবা-মায়ের এই অবস্থান তার নিজের কর্মজীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে। ১৯৮২ সালের নভেম্বরের এই ছবিতে ১৮ বছর বয়সি কমলাকে ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
ছবি: Courtesy of Kamala Harris/AFP
ক্যালিফোর্নিয়ায় আইন বিষয়ে পড়াশোনা
১৯৮৬ সালে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করার পর সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হেস্টিংস কলেজ অফ ল-তে পড়তে যান কমলা। ১৯৯০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডা কাউন্টিতে ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয় কমলার।
ছবি: Avalon/Photoshot/picture alliance
সান ফ্রান্সিসকোর শীর্ষ প্রসিকিউটর
২০০৪ সালে কমলা সান ফ্রান্সিসকোর প্রথম নারী ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসাবে শপথ নেন। এই পদে থাকা প্রথম অকৃষ্ণাঙ্গ নারীও তিনি। তার শপথ গ্রহণের সময় তার মা (মধ্যে) তার হাতে ইউএস বিল অফ রাইটসের একটি অনুলিপি ধরে রাখেন। এই নথিটিতে সংবিধানের প্রথম ১০টি সংশোধনী রয়েছে এবং নথিটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অধিকার এবং সরকারি ক্ষমতার সুস্পষ্ট সীমাবদ্ধতার নিশ্চয়তা দেয়।
ছবি: George Nikitin/AP Photo/picture alliance
জেলা অ্যাটর্নি থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল
২০১১ সালের জানুয়ারিতে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে আসীন হন। এই পদেও প্রথম নারী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে নেয়া কর্মসূচিকে সমর্থন জানানোর কারণে তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
ছবি: Rich Pedroncelli/AP Photo/picture alliance
রাজনীতিতে প্রবেশ
২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট সিনেটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন কমলা। নির্বাচনে তিনি জয়ীও হন। অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং তৎকালীন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শপথ নেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে তার স্বামী ডগলাস এমহফ তার পাশে বাইবেল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। ডগলাস এমহফ একজন বিনোদন খাতের আইনজীবী। তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে।
ছবি: Kevin Wolf/AP/dpa/picture alliance
বাইডেনের মুখোমুখি
২০১৯ সালের শুরুর দিকে কমলা ঘোষণা দেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন চাইবেন তিনি। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স (মধ্যে) এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ছিল তার দলীয় মনোনয়নের লড়াই। তবে পরে নাম প্রত্যাহার করে বাইডেনকে সমর্থন জানান তিনি। আগস্টে বাইডেন নির্বাচনে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে কমলার নাম ঘোষণা করেন।
ছবি: SAUL LOEB/AFP/Getty Images
প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে বিজয়ী
২০২০ সালের নভেম্বরে কমলা এবং বাইডেন জুটি ডেমোক্র্যাটদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিয়ে আসেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ এর সময় ডেলাওয়ার রাজ্যের উইলমিংটনে ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করছেন কমলা এবং বাইডেন।
ছবি: Andrew Harnik/AP/dpa/picture alliance
রাজনীতিতে আরেকটি প্রথম
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিও তিনি। ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকদের ইউএস ক্যাপিটল বিল্ডিং আক্রমণের পর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আয়োজন করা হয়েছিল।
ছবি: Rachel Wisniewski/REUTERS
অভিবাসন মোকাবিলায় কাজ
বাইডেন কমলাকে প্রথম যে কাজগুলোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল দক্ষিণ অ্যামেরিকা থেকে অভিবাসনের মূল কারণ অনুসন্ধান করা। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ২০২১ সালের জুন মাসে গুয়াতেমালাসহ বিভিন্ন দেশ পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। অনিয়মিত অভিবাসনের সমস্যাটি সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় বারবারই রিপাবলিকান পার্টি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কমলাকে।
ছবি: Jacquelyn Martin/AP Photo/picture alliance
ইউক্রেন ও ন্যাটোর কট্টর সমর্থক
বাইডেনের মতোই কমলাও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন শক্তিশালী সমর্থক। রাশিয়ার পদক্ষেপকে "নিষ্ঠুর," "ভয়াবহ" এবং "ভয়ঙ্কর" হিসাবে বর্ণনা করে এসেছেন তিনি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে কমলা ন্যাটো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান তার।
ছবি: TOBIAS SCHWARZ/AFP/Getty Images
গর্ভপাতের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার
গর্ভপাতের ইস্যুতেও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে কমলা হ্যারিস। ইউএস সুপ্রিম কোর্ট রো বনাম ওয়েড মামলার রায় বাতিল এবং ২০২২ সালের জুনে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বিলুপ্ত করার পর তিনি সন্তান জন্ম দেয়ার স্বাধীনতা নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছিলেন। তরুণ ভোটারদের জন্য এই ইস্যুটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে অনেক রিপাবলিকান গর্ভপাতের অধিকার আরও সীমিত করতে চান।
ছবি: Justin Sullivan/Getty Images
২০২৪ নির্বাচনে কমলার সম্ভাবনা কতটুকু?
ডেমোক্র্যাটরা আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে বেছে নিলে তার নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বেছে নেয়া এবং প্রচারণা চালানোর জন্য মাত্র ১০০ দিন হাতে থাকবে। রবিবার থেকে তিনি এরই মধ্যে তিনি অনেক ডেমোক্র্যাটের অনুমোদন এবং লাখ লাখ ডলার অনুদান পেতে শুরু করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অশ্বেতাঙ্গ ভোট আকৃষ্ট করলেও বর্ণবাদী এবং যৌনতাবাদী মনোভাব তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
ছবি: Kevin Dietsch/Getty Images
14 ছবি1 | 14
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় রাজনীতির অধ্যাপক ইরফান নুরুদ্দিন ডিডাব্লিউকে বলেন, ভারতীয় অ্যামেরিকানদের অধিকাংশই ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে ভোট দেন বলে গবেষণায় দেখা গেছে৷
তবে রিপাবলিকানদের মধ্যে এমন আলোচনা আছে যে, ভারতীয় অ্যামেরিকানরা নীতি নয়, নামের কারণে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে থাকেন৷ মিশিগানের একজন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটিওমেন হিমা কোলানাজিরেড্ডি (ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন) বলেন, ‘‘তারা (ভারতীয় অ্যামেরিকান) ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেন কারণ ভারতে ডেমোক্রেসি আছে৷''
‘‘তারা যখন এখানে আছেন, দেখেন ডেম্যাক্রেটিক পার্টি, তারা ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে ডেমোক্র্যাসিকে মেলান৷ তারা মনে করেন, বোধ হয় এটাই সেই পার্টি যাদের ভোট দেওয়া উচিত,'' বলেন কোলানাজিরেড্ডি৷
জেনেল ডুমালাওন, ওয়াশিংটন/জেডএইচ
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসলে কতটা ক্ষমতা?
ওভাল কার্যালয়ে যিনি বসেন, তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন- সাধারণ মানুষের ধারণা এমনই৷ আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত৷ কারণ, সরকারের অন্যান্য বিভাগেরও বলার সুযোগ রয়েছে৷
ছবি: Ken Cedeno/abaca/picture alliance
মার্কিন সংবিধান যা বলছে
একজন প্রেসিডেন্ট চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন এবং দুইবারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না৷ তিনি রাষ্ট্র এবং সরকারের প্রধান৷ কেন্দ্রীয় নির্বাহী বিভাগ তার দায়িত্বে থাকে, যার কর্মীসংখ্যা চল্লিশ লাখের বেশি৷ তাদের মধ্যে সেনা সদস্যরাও অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন৷ কংগ্রেসে অনুমোদিত আইন প্রয়োগ করা তার দায়িত্ব৷
ছবি: bildagentur-online/picture alliance
ভারসাম্য রক্ষা
নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইনসভা নামে সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে৷ এরা একে অপরের ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করে৷ প্রেসিডেন্ট চাইলে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং কেন্দ্রীয় বিচারপতিদের নিয়োগ দিতে পারেন৷ তবে সেগুলো নিশ্চিত করতে সিনেটের অনুমোদন লাগবে৷ সিনেটের অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও নিয়োগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: Evelyn Hockstein/File Photo/REUTERS
কংগ্রেসকে জানাতে হয়
দেশ কেমন চলছে তা পর্যায়ক্রমে কংগ্রেস জানানোর দায়িত্ব রয়েছে প্রেসিডেন্টের৷ বাৎসরিক ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ বক্তব্যে এটা করেন তিনি৷
ছবি: Kevin Lamarque/REUTERS
চাইলেই ‘না’ বলতে পারেন না
রাষ্ট্রপতি চাইলে একটি বিল অনুমোদন না করে কংগ্রেসে ফেরত পাঠাতে পারেন৷ কিন্তু কংগ্রেসের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য যদি চান, তাহলে বিলটি প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াও কার্যকর করতে পারেন৷ এখন অবধি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভেটো দেয়া এক হাজার পাঁচশ ত্রিশটি বিলের মধ্যে মাত্র ১১২টি কার্যকর করেছে সিনেট৷
ছবি: Mandel Ngan/AFP/Getty Images
ক্ষমতার ধূসর দিক
সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্টে সিদ্ধান্তগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পরিধি পুরোপুরি বোঝাতে পারে না৷ ‘পকেট ভেটো’ নামের একটি চর্চা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রচলিত আছে, যেটির প্রয়োগ কোনো বিলের ক্ষেত্রে করা হলে কংগ্রেসের কিছু করার থাকে না৷ সহস্রাধিকবার এই পন্থার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা৷
ছবি: Jacquelyn Martin/AP Photo/picture alliance
নির্দেশনা আইন হিসেবে কাজ করে
সরকারি কর্মীদের কোনো কাজ নির্দিষ্ট পরিধি অবধি করার নির্দেশনা দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট৷ ‘নির্বাহী নির্দেশগুলো’ আইনের মতোই৷ এগুলোর প্রয়োগে অন্য কোনো অনুমতির দরকার হয় না৷ এক্ষেত্রে কংগ্রেস চাইলে পাল্টা আইনের অনুমোদন দিতে পারে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আগের প্রেসিডেন্টের জারি করা নির্বাহী আদেশ বাতিল করতে পারেন৷
ছবি: Ronen Tivony/ZUMA Press/IMAGO
কংগ্রেসকে পাশ কাটানোর উপায়
প্রেসিডেন্ট চাইলে অন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে৷ কিন্তু সেগুলো সিনেটের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন পেতে হবে৷ তবে প্রেসিডেন্ট চাইলে ‘নির্বাহী সমঝোতার’ মাধ্যমে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারেন৷ কংগ্রেস আপত্তি না তোলা অবধি এ ধরনের সমঝোতা কার্যকর থাকে৷
ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance
মার্কিন সেনা কোথায় যাবে নির্ধারণের ক্ষমতা
মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট৷ তবে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে৷ কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই অবশ্য সশস্ত্র সংঘাতে সামরিক বাহিনীকে যুক্ত করতে পারেন প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: HORST FAAS/AP/picture alliance
চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ
যদি একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো অপরাধ করেন, তাহলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তাকে অভিশংসন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে৷ মার্কিন ইতিহাসে তিনজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমনটা ঘটেছিল৷ তবে তারা কেউই অভিযুক্ত হননি৷ প্রেসিডেন্টের উপর চাপ প্রয়োগে কংগ্রেসের নানাবিধ ক্ষমতা রয়েছে৷
ছবি: J. Scott Applewhite/AP Photo/picture alliance