1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু আলোচনায় রাজি ইরান

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি রবিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বলেন যে, তাঁর দেশ পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গ সরাসরি আলাপ-আলোচনায় রাজি, যদি ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ‘ন্যায্য এবং বাস্তবিক’ হয়৷

Iranian Foreign Minister Ali Akbar Salehi arrives at the 49th Conference on Security Policy in Munich February 3, 2013. Senior politicians along with the leader of the Syrian opposition are in Munich providing a rare opportunity for talks to revive efforts to end the civil war in Syria. REUTERS/Michael Dalder (GERMANY - Tags: MILITARY POLITICS)
ছবি: Reuters

শনিবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি আলাপ-আলোচনার প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন৷ রবিবার সালেহির মুখ থেকে অনুরূপ কথাই শোনা গেল৷ কাজেই মার্কিন-ইরান সম্পর্কে অন্তত কিছুটা উন্নতির আভাস দেখছেন অনেকে৷

কিন্তু বাস্তব এই যে, গত জানুয়ারি মাসেও ইরান ঘোষণা করেছে, সে তার ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে৷ ইসরায়েলের বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক রবিবার মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে আবার বলেন, ‘‘তাঁর দেশ ইরানকে পারমাণবিক শক্তি হয়ে ওঠা থেকে রুখতে বদ্ধপরিকর''৷ এবং ‘‘সেজন্য কোনো পন্থাই গোড়া থেকে বাদ দেওয়া চলবে না''৷ এহুদ বারাক ইরান ও তার মিত্রদের তরফ থেকে সম্ভাব্য ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসের' কথা বলেন৷

মিউনিখে জো বাইডেনের সঙ্গে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের নেতা মোয়াজ আল-খাতিবছবি: picture-alliance/dpa

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর সালেহি মিউনিখে তাঁর দেশ ‘আলাপ-আলোচনার জন্য প্রস্তুত' বলে ঘোষণা করলেও, যোগ করেন যে, ‘‘আমরা আমদের স্বাধীনতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই৷'' অপরদিকে সালেহি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে পরমাণু আলাপ-আলোচনার পরবর্তী বৈঠকটা নিশ্চিত করেন৷ ঐ বৈঠক আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি কাজাকস্তানে অনুষ্ঠিত হবে৷ সালেহি যে তা নিশ্চিত করলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন তা'তেই খুশি৷

সিরিয়া সম্পর্কে এহুদ বারাকের মন্তব্য ছিল, বাশার আল-আসাদের শাসন ভেঙে পড়বে, বলে তিনি বিশ্বাস করেন, যার ফলে ইরান আরব বিশ্বে তার একমাত্র মিত্রকে হারাবে৷ ওদিকে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের নেতা মোয়াজ আল-খাতিব আসাদের দুই মূল সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে মিউনিখে কথাবার্তা বলার দরুণ সহযোগীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ কিন্তু তাঁর সংগঠন সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়েলিশন বা এসএনসি বলছে, বল এখন রাশিয়া কোর্টে৷ রাশিয়াকে এবার আসাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে৷

দৃশ্যত রুশ সরকার ‘সিরিয়ার সব মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে', এমন একটি সমাধান বিবেচনা করতে প্রস্তুত৷ এছাড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নাকি সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷

এসি/এআই (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ