যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ ‘অনিবার্য’: উত্তর কোরিয়া
৭ ডিসেম্বর ২০১৭
কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ কবে শুরু হবে, সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে – বলেছে পিয়ংইয়ং৷ দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়ার পটভূমিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মন্তব্য করে৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে বুধবার পুনরায় বিষোদগার করেছে উত্তর কোরিয়া, বলেছে, যুদ্ধটা এখন অনিবার্য৷
উত্তর কেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে মুখপাত্র এই মন্তব্য করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র দৃশ্যত বলেছেন যে, সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেওসহ একাধিক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার ‘উগ্র মন্তব্য’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়৷
পম্পেও রবিবার বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন জানেন না, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিচারে তাঁর পরিস্থিতি ঠিক কতোটা সঙ্গীণ৷ উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্রটি পম্পেওর বিরুদ্ধে সরাসরি প্ররোচনার অভিযোগ করেন, কেননা, পম্পেও ‘‘নির্লজ্জভাবে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সমালোচনা’’ করেছেন, যিনি কিনা ‘‘আমাদের জনগণের হৃৎপিণ্ড’’৷
যেসব দেশের কারণে টিকে আছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও এমন কয়েকটি দেশ আছে যারা উত্তর কোরিয়া থেকে পণ্য বা অস্ত্র আমদানি করে৷ চলুন দেখে নিই কোন দেশগুলো আছে এই তালিকায়৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFPGetty Images
অ্যাঙ্গোলা
আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তারক্ষীদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেয় উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFPGetty Images
চীন
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ৷ চীনের শিল্পকারখানায় উত্তর কোরিয়ার অনেক নাগরিক কাজ করে৷ চীনে উত্তর কোরিয়ান অনেক রেস্তোরাঁও রয়েছে, যেখান থেকে উত্তর কোরিয়া বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে৷
ছবি: Getty Images/K. Frayer
কঙ্গো
কঙ্গোর সরকার উত্তর কোরিয়া থেকে স্বয়ংক্রিয় পিস্তল এবং অন্য ছোট অস্ত্র আমদানি করে, যা মধ্য আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল দেহরক্ষী এবং পুলিশ ব্যবহার করে৷
ছবি: Reuters/R. Carrubba
মিশর
অভিযোগ রয়েছে, উত্তর কোরিয়া মিশরকে ক্ষেপণাস্ত্রের উপকরণ পাঠিয়েছে৷ এ অভিযোগ সত্য কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Reuters/Amr Abdallah Dalsh
ইরিত্রিয়া
ইরিত্রিয়া আফ্রিকার ছোট একটি দেশ৷ এই দেশটিরও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে৷ জানা গেছে, তারা উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক উপকরণ কিনে থাকে৷
ছবি: DW
কুয়েত
উত্তর কোরিয়ার অনেক শ্রমিক কুয়েতে নির্মাণ কাজে যুক্ত আছে৷ কুয়েতে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসও আছে৷
ছবি: Imago/Xinhua
মোজাম্বিক
উত্তর কোরিয়া মোজাম্বিককে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহযোগিতা করছে৷ এছাড়া ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণেও সহায়তা দিচ্ছে দেশটিকে৷
ছবি: Gianluigi Guercia/AFP/Getty Images
নামিবিয়া
দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে সমরাস্ত্র উপকরণ তৈরি করার একটি কারখানা স্থাপনের জন্য উপকরণ এবং কর্মী পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷
ছবি: DW/B. Osterath
নাইজেরিয়া
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক চিকিৎসক যান৷ ২০১৩ সালে এক সন্ত্রাসী হামলায় উত্তর কোরিয়ার তিন চিকিৎসক নিহত হয়েছিলেন সেখানে৷
ছবি: picture alliance /AP Photo/L. Oyekanmi
ওমান
ওমানে নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে কাজ করার জন্য উত্তর কোরিয়া তাদের শ্রমিক পাঠিয়ে থাকে৷
ছবি: SR
কাতার
কাতারেও নির্মাণ প্রকল্পে উত্তর কোরিয়ার অনেক শ্রমিক কাজ করে৷ ২০২২ সালে দেশটিতে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এজন্য সেখানে স্টেডিয়ামসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Zumapress
সুদান
উত্তর কোরিয়া সুদানে যেসব সামরিক উপকরণ পাঠায়, তার মধ্যে রকেট কন্ট্রোল সেকশন এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Shazly
সিরিয়া
দীর্ঘ সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলা দেশটিও উত্তর কোরিয়ার উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম৷ জানা গেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার উত্তর কোরিয়া থেকে অনেক সমরাস্ত্র এবং উপকরণ কিনে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Press Service of the President
উগান্ডা
আফ্রিকার দেশ উগান্ডারও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার সেনারা উগান্ডায় বিমানবাহিনীর পাইলট এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন৷
ছবি: AP
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ইউএই-তে উত্তর কোরিয়ার অনেক রেস্তোরাঁ এবং নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে, যেখানে কাজ করার জন্য সবসময়ই উত্তর কোরিয়া থেকে কর্মী পাঠানো হয়৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়া থেকে স্কুড মিসাইল কিনে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/A. Widak
15 ছবি1 | 15
‘‘এখন বাকি প্রশ্ন হলো, কখন যুদ্ধ শুরু হবে,’’ কর্মকর্তাটি বলেন৷ ‘‘আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্ত যুদ্ধ থেকে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করব না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের ধৈর্য সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থেকে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে আমাদের জোরদার পারমাণবিক শক্তি, যা আমরা একটানা বাড়িয়ে চলেছি, সেই শক্তি নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সমুচিত জবাব দেয়া নিশ্চিত করব৷’’
মার্কিন বোমারু বিমানের উড়াল
যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবে একটি মার্কিন বি-১বি সুপারসনিক বোমারু বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্রকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায়৷
‘‘এই মহড়ার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন বিমানবাহিনী পারমাণবিক সমরাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের বিপদ দেখা দিলে, উভয় মিত্রদেশের উত্তর কোরিয়াকে সাজা দেওয়ার দৃঢ় অভিপ্রায় ও ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে,’’ দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়৷
গত সপ্তাহান্তে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা ‘‘দিন দিন বেড়ে চলেছে৷’’ সম্প্রতি কয়েক মাসে উত্তর কোরিয়ার কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরস্পরের সম্পর্কে বিভিন্ন অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন ও সামগ্রিকভাবে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন৷ ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়া সংলগ্ন চীনের একটি প্রদেশের এক দৈনিক সংবাদপত্র উত্তর কোরিয়ার উপর পারমাণবিক আক্রমণ ঘটলে পাঠকদের কী করণীয়, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে৷
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক প্রধান জেফ্রে ফেল্টম্যান একটি বিরল সফরে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের এত উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা বিচ্ছিন্ন দেশটিতে যাননি৷ বুধবার তিনি পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাক মিয়ং গুক-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও অপরাপর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে৷
এসি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)
উত্তর কোরিয়া ও কিম জং উনের বিশেষ কিছু জিনিস
উত্তর কোরিয়ায় যেখানে সাধারণ মানুষ নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ রয়েছে, সেখানে নেতা কিম জং উনের আরাম-আয়েশ-বিলাসিতার কোনো কমতি নেই৷ দেখে নিন তার কিছু নমুনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
অপূর্ব প্রাসাদ
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এ এই বিশাল প্রাসাদ রয়েছে৷ কুমসুসান প্রাসাদটি কিম ইল সুং এর সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে৷ বিশ্বে আর কোন কমিউনিস্ট নেতার এমন বিশাল প্রাসাদ নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Guttenfelder
হোটেল
রিউগইয়ং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেলগুলোর একটি৷ পিরামিড আকারের ১০৫ তলা এ হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে৷ সেই সময় দেশে কিম ইল সুং এর শাসন ছিল৷ কিম ইল সুং ছিলেন কিম জং উনের দাদা৷ এখনও হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
আকাশে শাসন
উত্তর কোরিয়ার কাছে বিভিন্ন ধরণের এক হাজারটি বিমান আছে, যেগুলোর বেশিরভাগ সোভিয়েত ইউনিয়ন অথবা চীনে তৈরি৷ এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় এমন হেলিকপ্টার, যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং ড্রোন৷ কিম জং উনের কাছে এএএম এবং ট্রিপল এ সিস্টেমের মতো কিছু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে৷
ছবি: Reuters/Kcna
স্কি রিসোর্ট
কিম জং উনের নির্দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩৬০ মিটার উঁচুতে মাসিকরিয়ং নামে এক জায়গায় একই নামে একটি স্কি রিসোর্ট বানানো হয়েছে৷ এই স্থানটি উত্তর কোরিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার৷ পর্যটকদের জন্য এখানে ১২০ কক্ষ বিশিষ্ট হোটেল রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo/MAXPPP
জং উনের মোবাইল নেটওয়ার্ক
শোনা যায়, উত্তর কোরিয়ায় কেবল কিম জং উন এবং তাঁর কাছের মানুষদের ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে৷ কোরীয় লিংক নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি পরিচালক আহমাদ আল নোয়ামিনি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই মোবাইল পরিষেবার সুবিধা ভোগ করতে পারে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/KCNA via KNS
ব্যক্তিগত দ্বীপ
দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি গোপন দ্বীপ রয়েছে৷ কিম জং উনের অতিথি হয়ে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক তারকা৷ এই দ্বীপে রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ শোনা যায়, এখানে আনন্দ বিনোদনের সবধরনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কিম জং উনের ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাও রয়েছে সেখানে৷
ছবি: Tourism DPRK
গল্ফ কোর্স
কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় অসাধারণ কিছু গল্ফ ক্লাব রয়েছে৷ সরকারি কর্মচারীরা গল্ফ ক্লাবগুলোকে সবসময় ঝকঝকে করে রাখে৷ গল্ফ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ফুটবল, বাস্কেটবল, আইস হকি আর কুস্তি জনপ্রিয় খেলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Kyodo
সেনা ঘাঁটি
উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে অনেক যুদ্ধ জাহাজ, টহল নৌকা এবং বড় বড় সামরিক জাহাজ রয়েছে৷ নিজেদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করা উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য৷ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে দেশটি৷
ছবি: REUTERS/KCNA
বিলাসবহুল গাড়ি
শোনা যায়, ২০১৪ সালে কিম জং উন ১ দশমিক ৬ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন৷ এর মধ্যে মার্সিডিজ বেনৎস, লিমোজিন আর আছে লাক্সারি স্পোর্টস কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Jones
পিয়ানো ভীষণ পছন্দ
শোনা যায়, কিম জং উনের কাছে ২০টিরও বেশি পিয়ানো আছে৷ এমন গুজবও রয়েছে যে, তিনি প্রতিদিনই পিয়ানো বাজান, আর যদি সুরের কোনো গণ্ডগোল হয়, সেটাকে তিনি পিয়ানোর দোষ হিসেবে মনে করেন, নিজের নয়৷
ছবি: Reuters/KCNA
সাবমেরিন
কিম জং উনের কাছে সোভিয়েত আমলের কিছু পুরানো সাবমেরিন রয়েছে৷ এছাড়া দেশটির কাছে আরো বেশ কয়েকটি চীনের সাবমেরিন রয়েছে৷ আর কিছু সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেরাই তৈরি করেছে৷