ফেডারেল কমিউনিকেসন্স কমিশনের (এফসিসি) অনুমোদন পাওয়ার পর আত্মহত্যা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তিন ডিজিটের একটি হটলাইন চালুর কাজ চলছে৷
বিজ্ঞাপন
হটলাইনটি চালু হয়ে গেলে ৯৮৮ তে ডায়াল করে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করা যাবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি নম্বর ৯১১ এ ডায়াল করে তারপর ওই নম্বর চাপতে হবে৷
বৃহস্পতিবার প্রস্তাব অনুমোদনের পর এফসিসি চেয়ারম্যান অজিত পাই বলেন, এই হটলাইন বিষণ্নতা হ্রাস করে জীবন রক্ষা করবে৷
যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে তালিকায় দশম স্থানে আত্মহত্যা৷ গত দুই দশকে সেখানে আত্মহত্যার হার প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে গেছে৷
তাই যখন আত্মহত্যা প্রতিরোধে হটলাইন চালুর প্রস্তাব করা হয় তখন এফসিসির পাঁচ সদস্যের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সেটি পাস করে৷
এখন টেলিফোন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এই সার্ভিস চালু করতে হবে৷
অজিত পাই বলেন, ‘‘৯৮৮ নম্বরটা অনেকটা জরুরি নম্বর ৯১১ এর মতই শোনায়৷ আমাদের বিশ্বাস সংকটের সময় জরুরি সেবা নম্বরের মত সহজেই মানুষ এই সেবাটিও নিতে পারবে৷''
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন লাইফলাইন' নামে একটি সেবা চালু আছে৷
এসএনএল/কেএম (রয়টার্স)
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
ড্রিপেশন বা বিষণ্ণতা এমন একটা অসুখ, যেটাকে অনেকেই তেমন কোনো গুরুত্ব দেন না৷ ডিপ্রেশন সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা থাকার কারণেই এমনটা ভাবেন তাঁরা৷ ছবিঘরে থাকছে তেমনই কিছু ভুল ধারণার কথা৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
বিষণ্ণতা কোনো অসুখই নয়
বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন কোনো অসুখই নয়৷ এটা একটা ভুল ধারণা, কারণ যাঁরা বিষণ্ণতায় ভোগেন তাঁদের চিকিৎসা প্রয়োজন৷
ছবি: Fotolia/Jochen Schönfeld
নিজে থেকে ভালো হয়ে যাবে
নিজে থেকে ক’দিন পরেই বিষণ্ণতা কেটে যাবে – এমন ধারণা অনেকেরই, যা ভুল৷ তবে বিষণ্ণতা যদি দু-তিন সপ্তাহের বেশি থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ তখন ডাক্তারই বুঝবেন রোগীকে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে হবে কিনা৷
ছবি: Alexander Raths/Fotolia.com
হাসিখুশি পরিবেশে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে
হাসিখুশি পরিবেশে গেলেই বিষণ্ণতা ঠিক হয়ে যাবে – এই ধারণাটিও ভুল৷ ভিন্ন পরিবেশে সাময়িকভাবে হয়ত বিষণ্ণতা কিছুটা কাটে, তবে রোগী সুস্থ হন না৷ তাই কারুর ডিপ্রেশন হলে তা মনের ভেতর রেখে একা একা কষ্ট না পেয়ে পরিবার এবং কাছের মানুষদের সাথে আলোচনা করা উচিত৷
ছবি: picture-alliance
বিষণ্ণতা শুধু হৃদয়ের অসুখ
এ ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল৷ কারণ ডিপ্রশনের রোগীদের মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, কোমর ব্যথা, কানের ভেতরে শব্দ হওয়া, পেটের সমস্যা – সবই হতে পারে৷ অবশ্য বেশিভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয়, সেটা হলো ক্লান্তি, মন খারাপ, কোনো কিছুতে আগ্রহ বা ইচ্ছা না থাকা বা হতাশ হওয়া৷ এছাড়াও বিষণ্ণতায় ভোগেন যাঁরা, তাঁরা অন্যের সমস্যার কারণগুলোও নিজের মধ্যে খুঁজে বেড়ান৷
ছবি: Fotolia/coldwaterman
বিষণ্ণতার কথা ‘না’ জানালে কেউ বুঝবে না
এটাও একটি ভুল ধারণা৷ বিষণ্ণ রোগীর আচরণ দেখে প্রথমে হয়ত কেউ বোঝেন না – এ কথা ঠিক হলেও, বুঝতে কিন্তু খুব বেশি সময় লাগে না৷ বরং এই অসুখ অন্যদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখলে রোগী এবং পরিবার – দু’তরফেরই ক্ষতিই হয়৷ তাই লজ্জা বা ভয় না পেয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করলে উপকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷