1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গির্জায় বন্দুক নিয়ে বিয়ে!

১ মার্চ ২০১৮

ফ্লোরিডায় এখনো কান্না থামেনি৷ সতীর্থদের হারানোর শোক সঙ্গে নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যেদিন স্কুলে ফিরেছে, সেদিনই গির্জায় হয়ে গেল অদ্ভুত এক বিয়ের অনুষ্ঠান৷ সেখানে বর-কনের হাতে ছিল রাইফেল আর মাথায় বুলেট-শোভিত মুকুট!

USA Gottesdienst mit Waffen
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Larma

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৭ জন মারা যায়৷ মর্মান্তিক এ ঘটনার পর ফ্লোরিডায় তো বটেই, দেশের অন্যান্য স্থানেও বন্দুকবিরোধী আইন কঠোর করার দাবিতে আন্দোলন হয়েছে৷ প্রায় অনায়াসে বন্দুক রাখার আইনকে কঠোর করার দাবি আদায়ে অভিনব সব কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিবাদকারীরা৷ প্রতিবাদ, বিক্ষোভে একেবারে সামনের কাতারে ছিল ফ্লোরিডার শিক্ষার্থীরা

বুধবার, অর্থাৎ বন্দুক হামলার ১০ দিন পর মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা৷ কিন্তু তাদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার দিনেই পেনসিলভানিয়া রাজ্যের এক গির্জায় বন্দুক বিক্রির প্রচলিত আইনের সমর্থনে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠান৷ নিউফাউন্ডল্যান্ড  শহরের অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত বিয়ে নবায়নের৷ আড়াইশ'র মতো জুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ সবার সঙ্গে ছিল এআর-ফিফটিন রাইফেল৷ এই রাইফেল দিয়েই ফ্লোরিডার স্কুলে ১৭ জনকে হত্যা করেছিল ১৯ বছর বয়সি এক প্রাক্তন ছাত্র৷

সব বর বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাদা-কালো পোশাক পরে৷ কণেদের পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী সাদা পোশাক৷ তবে অভিনবত্ব ছিল মুকুটে৷ অনেকেই সগর্বে মাথায় তুলে নিয়েছিলেন এমন মুকুট যাতে লাগানো ছিল রাইফেলের গুলি৷

তবে কারো রাইফেলেই গুলি ছিল না৷ গির্জায় প্রবেশের আগেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা প্রত্যেকটি রাইফেল সময় নিয়ে দেখে তবেই প্রবেশ করতে দেন অভ্যাগতদের৷

সবার হাতে রাইফেল আর অনেকে মাথায় বুলেট-শোভিত মুকুটছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Larma

তারপরও এমন এক আয়োজনের কারণে নিউফাউন্ডল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ গির্জার পাশের একটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা৷ বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাম্পাসের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ৷

তবে নিউফাউন্ডল্যান্ডের ‘ওয়ার্ল্ড পিস অ্যান্ড ইউনিফিকেশন স্যাঙ্কচুয়ারি'-তে  বন্দুক নিয়ে এমন আয়োজন নতুন কিছু নয়৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে এই গির্জার অনুসারী৷ অনুসারীরা মনে করেন, বন্দুক ক্রয়ের আইন কঠোর করে কখনোই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা রোধ করা যাবে না৷ বরং তাদের মতে, বন্দুক এমন এক ‘লৌহদণ্ড' (রড অফ আয়রন), যা দিয়ে ‘শয়তান', অর্থাৎ বন্দুকবাজ অপশক্তিকে প্রতিহত করা যায়৷

বুধবারের অনুষ্ঠানে বন্দুক আইনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়৷ সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজক হিউং জিন মুন বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে অশুভকে দমনের জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে বন্দুক রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বক্তব্যও দেন৷

এসিবি/এসবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ