জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস মনে করেন, পুলিশের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যুক্তরাষ্ট্রে পরিবর্তন আনতে পারবে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদককে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
পুলিশি নির্যাতনে তরুণ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ চলছে৷ বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠেছে অনেক স্থানে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ৷
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মম হত্যার প্রতিবাদ
বারবার ‘‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’’ বলেও পুলিশি নির্যাতন থামাতে পারেননি জর্জ ফ্লয়েড৷তার মৃত্যুর পর থেকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
আমস্টারডাম
জর্জ ফ্রয়েড হত্যার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে হাজারো মানুষের সমাবেশ৷ পহেলা জুনের ছবি৷
ছবি: Reuters/E. Plevier
বার্লিন
গত ৩১ মে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ব্রাণ্ডেনবুর্গ গেটের সামনেও হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ৷ মেগাফোন হাতে স্লোগান দিচ্ছেন এক নারী৷ তার টি-শার্টে লেখা ‘‘আমাদের শ্বাস নিতে দাও৷’’ পুলিশি নির্যাতনের সময় জর্জ ফ্লয়েড বারবার বলছিলেন, ‘‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না৷’’ তার ঘাড়ের ওপর চেপে ধরা পুলিশের হাঁটু তারপরও সরেনি!
ছবি: Reuters/C. Mang
লন্ডন
ব্রিটেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সামনে হাঁটু গেড়ে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন একজন৷
ছবি: Reuters/J. Sibley
প্যারিস
ফ্রান্সের রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে ‘‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ৷
ছবি: Reuters/C. Hartmann
কোপেনহেগেন
ডেনমার্কের রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে শত মানুষের বিক্ষোভ৷ ব্যানারে লেখা, ‘‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও একটা ব্যাপার৷’’
ছবি: Reuters/R. Scanpix
ব্রাসেলস
বেলজিয়ামের রাজধানীতে প্রতিবাদ৷ এক নারীর দুই হাতে উঁচু করে ধরা কাগজে লেখা, ‘‘গতকাল একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে পুলিশ৷’’
ছবি: Reuters/F. Lenoir
টরন্টো
বিক্ষোভ মিছিলে একজনের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘প্রিয় কালো মানুষেরা, তোমাদের জানিয়ে রাখতে চাই যে, কান্না ঠিক আছে৷ আরো জানাতে চাই, ভালোবাসি তোমাকে৷ - আরেকজন ভাই৷’’
ছবি: Reuters/C. Osorio
এথেন্স
গ্রিসের রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
বার্লিন
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে একজনের হাতের প্ল্যাকার্ডে যা লেখা তার মর্মার্থ একটাই- সুবিচার ছাড়া শান্তি আসে না৷
ছবি: Reuters/C. Mang
লন্ডন
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভরতদের একজনের তুলে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘শুধু মৃত্যুর পরেই আমি গুরুত্বপূর্ণ? #জর্জ ফ্লয়েড’’
ছবি: Reuters/J. Sibley
প্যাডারবর্ন
৩১ ডিসেম্বর বুন্ডেসলিগায় প্যাডারবর্নের বিপক্ষে গোল করার পর গেঞ্জিতে ‘‘জাস্টিস ফর জর্জ ফ্লয়েড’’ লেখা দেখাচ্ছেন বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জেডন সাঞ্চো৷
ছবি: Reuters/L. Baron
বার্সেলোনা
স্পেনের বার্সেলোনা শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারীর মাস্কে লেখা, ‘‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না৷’’
ছবি: Reuters/N. Doce
12 ছবি1 | 12
মঙ্গলবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাইকো মাস বলেন, পুলিশি নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পুরোপুরি সমর্থনযোগ্য৷ তার ভাষায়, ‘‘আমি শুধু এ আশা করতে পারি যে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেবে না এবং আরো আশা করতে পারি যে, এসবের একটা প্রভাব পড়বে৷’’
যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালনের সময় ডয়চে ভেলের প্রতিবেদকের দিকে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ৷ এ প্রসঙ্গে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডয়চে ভেলের বিষয়ে বলবো, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি এবং পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবো৷’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি না বাড়িয়ে সাংবাদিকরা তাদের কাজ করতে পারবেন, অর্থাৎ স্বাধীনভাবে ঘটনা তুলে ধরতে পারবেন৷’’
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের বক্তব্য টুইটারেও লিখেছেন হাইকো মাস৷
সাংবাদিকের বিশেষ জ্যাকেট পরেই মিনেপোলিসের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ে কাজ করছিলেন ডয়চে ভেলের প্রতিবেদক স্টেফান সিমন্স ৷ পুলিশ একবার গুলি ছোঁড়ার পর পরিচয়পত্র দেখিয়েও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাননি তিনি৷ আবার তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ৷