যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন মিলটনের তাণ্ডব, বন্যা, মৃত্যু
১০ অক্টোবর ২০২৪মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম তিরে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্টা কি-তে মিলটন আছড়ে পড়ে।
হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, আপাতত পুরো শক্তি নিয়ে স্থলভাগে এগিয়ে যাবে মিলটন। পরে তার শক্তি কমবে।
এই হারিকেন আছড়ে পড়ার সময় সমুদ্রে ১৩ ফিট ঢেউ ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। আরো বৃষ্টি হতে পারে এবং ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তিন ঘণ্টা পরেও ভয়ংকর ঝড় হচ্ছে এবং প্রবল বেগে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে।
ফ্লোরিডার অবস্থা
হারিকেন মিলটনের ফলে ফ্লোরিডার পূর্ব তটভূমি থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় শেরিফ কিথ পিটারসন জানিয়েছেন, প্রবীণদের কাউন্টি ক্লাব ভেঙে পড়ায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল বুলডোজার নিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছে। তিনি বলেছেন, ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে।
শেরিফের অফিসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেরিফ বলেছেন, যখন এই ধরনের তাণ্ডব হয়, তখন মনে হয় যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় বোমা পড়ছে।
তিনি জানিয়েছেন, এখন কেউ যেন ঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা না করেন। বাড়িতে থাকুন। দরকার হলেই প্রশাসন সেখানে যাবে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় ১৬ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু মানুষ মারা গেছেন। তবে তার সংখ্যা কত তা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি।
বলা হয়েছে, এরকম বৃষ্টি হাজার বছরের মধ্যে একবার হয়। এর ফলে বিপুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতটাই জোরে ঝড় হচ্ছে যে, উদ্ধারকারী দলকেও আপাতত রাস্তায় নামতে মানা করে দেয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঝড়ে বাইরে বেরোলে তারাও বিপদের মুখে পড়বেন।
২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন
হারিকেন মিলটনের তাণ্ডবের ফলে ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ১১ লাখ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ দুই হাজার।
যেখানে মিলটন আছড়ে পড়েছে সেখানে ৭০ শতাংশ মানুষের বাড়িতেই বিদ্যুৎ নেই।
স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেল
সেন্ট পিটার্সবার্গের ট্রপিকানা ফিল্ড স্টেডিয়ামের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে। সিএনএনের করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাদের অংশ প্রবল ঝড়ে টুকরো টুকরো হয়ে উড়ে য়াচ্ছে।
তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আবাসিকদের বলা হয়েছে, তারা যেন বাইরে না বেরোন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এেফপি, রয়টার্স, সিএনএন)