শিশুর গুলিতে নিহত দুজন
১১ এপ্রিল ২০১৩প্রথম ঘটনাটি নিউ জার্সির৷ সেখানে ব্র্যান্ডন হল্ট নামের যে ছেলেটি নিহত হয়েছে সে ঘটনার দিন খেলাধুলা করছিল৷ সঙ্গী ছিল চার বছরের শিশুটি৷ এক পর্যায়ে চার বছরের শিশুটি ঘরে গিয়ে বাবা-মার বন্দুক নিয়ে এসে গুলি চালালে সেটা গিয়ে লাগে হল্টের মাথায়৷ এর একদিন পর সে মারা যায়৷
দ্বিতীয় ঘটনার স্থান টেনেসি৷ সেখানে মামী জোসেফিন ফ্যানিং তাঁর ভাগ্নেকে নিয়ে একটা ঘরে ঢুকেছিল যেখানে ফ্যানিং এর স্বামী এক আত্মীয়কে অস্ত্রের সংগ্রহ দেখাচ্ছিল৷ এমন সময় শিশুটি একটি বন্দুক নিয়ে গুলি করলে নিহত হন ফ্যানিং৷
এই দুই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র কতটা সহজলভ্য৷ চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের একটি স্কুলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছিল ২০ জন শিশু সহ ২৬ জন৷
তখন থেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা শুরু হয়৷ রাজনীতিবিদরাও সেটা নিয়ে কথাবার্তা বলছেন৷ স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের কথা বলছেন৷
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা খুবই শক্তিশালী৷ তাই তারা নতুন কোনো আইন বা আইনের ব্যাপ্তি বাড়ানোর বিরোধিতা করছে৷
তবে শেষ পর্যন্ত একটা বিষয়ে মোটামুটি সমঝোতায় আসা গেছে৷ সেটা হচ্ছে, এখন থেকে ইন্টারনেটে বা কোনো মেলা থেকে বন্দুক কিনতে গেলে ক্রেতার অপরাধ ও মানসিক অবস্থা বিষয়ক অতীত পরীক্ষা করে দেখা হবে৷
এই শর্তটা অবশ্য এখনও রয়েছে৷ তবে সেটা শুধু যখন কেউ লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারের কাছ থেকে বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে যায় তখন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা অবশ্য আরও বেশি চেয়েছিলেন৷ তিনি ‘অ্যাসল্ট রাইফেল' বিক্রি বন্ধের পক্ষে ছিলেন৷ কিন্তু তা বোধ হয় হচ্ছে না৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)