1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের ঐতিহাসিক চুক্তি সই

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

১৮ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ এতে করে এখন আফগানিস্তানের ভেতরের পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ খুলল৷

Katar Unterzeichnung Abkommen USA mit Taliban
ছবি: AFP/G. Cacace

শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই চুক্তি সই হয়৷ সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করে নেবে৷ ২০০১ সালে সংঘাত শুরু হবার পর থেকে তালেবানের প্রধান দাবিগুলোর একটি ছিল এটি৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে এখন ১২,০০০ মার্কিন সেনা রয়েছে৷ সেখান থেকে ৮,৬০০ জনকে প্রত্যাহার করবে তারা৷

দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ চলা দেশটিকে ঘিরে এমন সমঝোতায় আসতে পারা নিয়ে দু'পক্ষই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে৷

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘যদি তালেবান ও আফগান সরকার তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারে, তাহলে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আমরা আমাদের সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারি৷''

তিনি যোগ করেন, ‘‘এই প্রতিশ্রুতিগুলো একটি নতুন শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করে যেখানে আল কায়েদা, আইএসআইএস এবং এমন কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নেই৷''

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চুক্তি ট্রাম্পকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনসমর্থন আদায়ে সহযোগিতা করবে৷

জটিলতা কাটেনি

চুক্তি অনুষ্ঠানে আফগান সরকারের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু তাঁর কোনো সরাসরি ভূমিকা ছিল না৷

দেশটির বর্তমান সরকারকে তালেবান ‘অ্যামেরিকার পুতুল' বলে মনে করে এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ তৈরি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না৷

‘‘তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির জন্য আফগানিস্তান একটি কমিটি তৈরি করেছে,'' আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র সেদিক সেদিকি ডয়চে ভেলেকে বলেন৷

‘‘আমাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের কাছে এর জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছিল তালেবানরা৷''

অবশ্য এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তালেবানরা কখনো আফগান সরকারের গুরুত্ব স্বীকার করেনি৷ এখন পর্যন্ত দোহায় মার্কিনিদের সঙ্গে তালেবানরা যত আলোচনা করেছে, তাতে ঘানি সরকারের সক্রিয় কোনো অংশগ্রহণ ছিল না৷

‘‘আমরা আফগান সরকারের কাউকে দোহায় আমন্ত্রণ জানাইনি৷ যুক্তরাষ্ট্র যদি আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে, তা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় নয়,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন সোহাইল শাহীন৷

‘‘যু্ক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া এ চুক্তির কাঠামোর মধ্যে থেকেই আমরা এগোব৷ আর এই কাঠামো পরিষ্কার- চুক্তি স্বাক্ষর হবে৷ এরপর একটা আস্থা তৈরির জন্য সময় দিতে হবে,'' শাহীন বলেন৷

‘‘এই আস্থা তৈরির সময়টুকুতে আফগান জেলে বন্দি আমাদের ৫০০০ সদস্য ও আমাদের কাছে আফগান সরকারের ১০০০ বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে৷ এরপরই কেবল অভ্যন্তরীণ আফগান সংলাপ শুরু হতে পারে৷''

শামিল শামস/জেডএ

গত বছরের ছবিঘরটি দেখুন:

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ