1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নানা বার্তার বিপরীতে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের প্রস্তুতি

৯ জানুয়ারি ২০২৪

চীন, ভারত, রাশিয়াসহ ২৫টিরও বেশি দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে শেখ হাসিনাকে। অন্যদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে পেয়েছেন ভিন্ন বার্তা। এদিকে চলছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও মন্ত্রিপরিষদ গঠনের প্রস্তুতি৷

Bangladesch Dhaka Nationalparlament
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ব্রুনেই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতরা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

তবে তার আগে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে আসে ভিন্ন বার্তা৷

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মনে করে, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি রাখছে দারা৷ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পরিবেশ তৈরির আহবান জানিয়েছেন৷

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশে বুধবার সংসদ সদস্যরা এবং বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছে৷ বিএনপি ও তাদের সমমনাদের বর্জন ও তাদের নির্বাচনবিরোধী কর্মসুচির মধ্যেই ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন হয়৷ নির্বাচনে  ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনের ফলফলে ২২২টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে৷ জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে৷ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে একটি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নৌকা প্রতীক নিয়ে একটি আসনে জয়ী হয়েছে৷ এছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে একটি আসনে এবং বাকি ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন৷ মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে৷ গেজেটে ভোটের হার ৪১.৯৯ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি৷ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ৷” বিবৃতিতে বলা হয়, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে৷ যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন৷”

ওয়াশিংটন সব দলকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷”

এদিকে যুক্তরাজ্য বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি৷ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর৷ মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান৷ নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি৷ ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন৷''

বিদেশিদের অবস্থান আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত: মাহবুব উদ্দিন খোকন

This browser does not support the audio element.

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে- উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সক্রিয় নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে৷”

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, "বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা দেখছে জাতিসংঘ৷ সেখানে কী ঘটছে অব্যাহতভাবে তা অনুসরণ (ফলো) করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব৷ বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও তিনি জানেন৷ অর্থাৎ, আমি বলতে চাচ্ছি, ভিন্নমত ও সমালোচকদের কণ্ঠরোধ ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি জানেন৷”

তিনি বলেন, "জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তিনি সব পক্ষকে সব রকম সহিংসতা পরিহার এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এটি গণতন্ত্রের সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য৷”
আর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বাংলাদেশ কঠিন পথে গণতন্ত্র অর্জন করেছিল, সেটিকে কৃত্রিমতায় পর্যবসিত করা যাবে না৷ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করবো এটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হবে৷ সকল বাংলাদেশির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে৷''

টুর্ক বলেন, "ভোটের আগে কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার বিরোধীদলের সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে অথবা ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে৷ ওই ধরণের কৌশল সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে সহায়ক নয়৷”

যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নির্বাচনের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করেন না বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এখানে তো কোনো নির্বাচনই হয়নি৷ বিদেশিরা বলছেন সুশৃঙ্খল হয়নি৷ তাদের বক্তব্য আরো পরিস্কার হলে ভালো হতো৷ যেখানে শতকরা দুই-তিন ভাগ ভোট পড়ে নাই৷ এমন কোনো কেন্দ্র নাই যেখানে প্রশাসনের সহায়তায় জালিয়াতি হয় নাই৷ বিদেশিদের অস্থান আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত৷ যারা ভোট জালিয়াতি করেছে, প্রতারণা করেছেন তাদের ব্যাপারে  বিদেশিদের আরো স্পষ্টভাবে অবস্থান নেয়া উচিত৷ তারা যা বলেছে এখানে নির্বাচন নিয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতারণা হয়েছে৷”
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বিদেশিদের জানাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন," আমরা ভোট বর্জন করেছি৷ আমাদের আহ্বানে দেশের মানুষ ভোট বর্জন করেছে৷ এখানে কোনো ভোট হয়নি৷

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷”

শুনতে হবে তোমরা ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করোনি: এম শহীদুল হক

This browser does not support the audio element.

সরকার নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিাক্রিয়া সরাসরি জানতে পারেনি ডয়চে ভেলে ৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে  আবদুল মোমেন মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিক-পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অবস্থান নিয়ে বলেন, "এগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই৷ জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ, আমাদের স্বপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদ দিয়েছে৷ ”

তিনি বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে সেটি নতুন সরকারের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "সবার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে এটা নতুন সরকারের সঙ্গেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি৷ নতুন সরকারকে সবাই গ্রহণ করবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে৷ আমরা খুব খুশি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে পেরেছি৷ জনগণ রায় দিয়েছে, এটাই যথেষ্ট৷ আমাদের আর কিছুর দরকার নেই৷ ”

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের বক্তব্য যেটা, সেটা গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) দিয়েছেন৷ এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই৷”
তিনি বলেন, "কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে৷ সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয়ে কিছু বলবো না, তবে নিয়ম অনুযায়ী যা করার দরকার, তার সবই করা হয়েছে৷ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে৷”

জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: শেখ হাসিনা

02:38

This browser does not support the video element.

সাবেক কূটনীতিকরা যা বলেন

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) এম শহীদুল হক মনে করেন, "যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বলেছে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি তাই তাদের যে নীতি সেই নীতি অনুযায়ী তাদের করণীয় তারা করবে৷ এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে গেছে৷ তারা যে স্টেটমেন্ট দেয় তার অ্যাকাউন্টিবিলিটি থাকতে হয় সিনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের কাছে৷  তারা এর প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নিলো তা জানাতে হয়৷ এখন আমাদের সেটা দেখার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে৷ ”

তার কথা, ‘‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী বললো তার চেয়ে বড় কথা হলো নৈতিকতার পরাজয়৷ এখন আমাদের শুনতে হবে- তোমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করোনি৷ দেশে-বিদেশে সব জায়গায়৷”

আর একসঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক প্রোগ্রামগুলো চালিয়ে যাবে৷ যেমন আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি৷ তবে তারা শেষ পর্যন্ত কীভাবে সম্পর্কগুলো চালিয়ে নিতে চায় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷”

কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিস্কার নয়: এম হুমায়ুন কবির

This browser does not support the audio element.

যুক্তরাষ্ট্রে  বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, "তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যেভাবে নির্বাচন চেয়েছিল সেভাবে হলো না৷ এটা ভালো খবর নয়৷ তারা কড়া ভাষায় বলেনি, তবে তারা মেসেজটা পরিস্কার করেছে যে, তারা এই ধরনের নির্বাচনে সন্তুষ্ট নয়৷ সাথে সাথে তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নাগরিক সমাজ ও জনগণের প্রত্যাশার কথা বলেছে৷ ”

তার কথা, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু এরপরে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিস্কার নয়৷ অপেক্ষা করতে হবে৷”

তিনি মনে করেন, ‘‘সরকার এই অসন্তুষ্টি খুব বেশি গুরুত্ব দেবে  বলে আপাতত মনে হচ্ছেনা৷ তারা মনে করছে এসব ম্যানেজ করে ফেলতে পারবে৷”
আর সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "তারা বিবৃতিতে বলেছে নির্বাচন যথযথ হয় নাই৷ কিন্তু এর ভিত্তিতে তারা কোনো অ্যাকশন নেবে তাতো বলেনি৷ ২০১৮ সালেও  তারা বলেছিলো নির্বাচন গণতান্ত্রিক হয় নাই৷ তারপরও তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখেছে৷ সুতরাং দুইটি সম্ভাবনা আছে এখানে৷ তার এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যার ফলে সম্পর্ক আরো খারাপ হয়৷ অথবা গতবারের মতই তারা রিঅ্যাক্ট করবে৷ আমরা এখনো জানিনা তারা কী করবে৷”

তার কথা, "তবে সরকারকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়৷ গত ছয় মাস ধরে যে টানাপোড়ের চলছে সেখান থেকে আমাদেও বেরিয়ে আসতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নাই৷”

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ