1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রসঙ্গ: যুদ্ধাপরাধ বিচারের স্বচ্ছতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ মার্চ ২০১৬

২৫ শে মার্চ মানেই স্মৃতিপটে একাত্তরের কালো রাত্রির জেগে ওঠা৷ রাত পেরোলেই স্বাধীনতা দিবস৷ তার আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা হলো তাঁদের সঙ্গে৷ বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন তাঁরা৷

জাতীয় স্মৃতি সৌধ
ছবি: National Monument of Savar

বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তৈরি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে চারজনের৷ এই বিচার নিয়ে সমালোচনা থাকলেও রয়েছে ভিন্নমতও৷

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ৷ সেই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে কেউ সমালোচনা করতেই পারেন৷ এটাকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই দেখি৷ মুশকিল হলো, এই সমালোচনাগুলো যৌক্তিক এবং তথ্যভিত্তিক হলে তা গ্রহণ করা যেত৷ কিন্তু সমালোচকদের অধিকাংশ সমালোচনারই কোনো ভিত্তি নেই৷''

তুরিন আফরোজ

This browser does not support the audio element.

তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আপিলের সুযোগ আছে৷ ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে যা ছিল না৷ তাছাড়া এই বিচারে আপিলের পরও রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন অভিযুক্তরা৷ তাদের সব ধরনের আইন ও সাংবিধানিক অধিকার এবং সুযোগ দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া আরও একটি সুযোগ তারা পাচ্ছেন৷ আর সেটা হলো জামিন৷ বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অভিযুক্তের জামিনের সুযোগ আছে বলে আমার জানা নাই৷''

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আরো বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আইন যে একটা আলাদা আইন, এটা অনেকে বুঝতে পারেন না৷ একবছর পরও পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচার হচ্ছে৷ যারা সমালোচনা করছেন, তারা কিন্তু বিচার প্রক্রিয়াতেও অংশ নিচ্ছেন৷ তাই রায় তাদের বিপক্ষে গেলেই বলছেন বিচার মানি না৷ এটা তো আদালত অবমাননার সামিল৷''

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী

This browser does not support the audio element.

এ বিষয়ে শহিদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা খুশি যে, দেরীতে হলেও বিচার পাচ্ছি৷ আমাদের স্বজন হত্যার বিচার পাচ্ছি৷ দেশ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে৷ বাংলাদেশে একজন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে থাকা পর্যন্ত এই বিচার অব্যাহত রাখতে হবে৷ একমাত্র তবেই আমাদের স্বাধীনতা দিবস-বিজয় দিবস পূর্ণতা পাবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই ঘাতক এবং স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে৷ এখনো তারা পাকিস্তানি ভাবধারা লালন করে৷ তাই তাদের কোনো ক্ষমা নাই৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘‘আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চাই৷ কিন্তু তারাও যাতে বিচারের সব সুযোগ পাক, সেটাও চাই আমরা৷ আমার মনে হয় তারা আইনগত সব সুবিধাই পাচ্ছেন৷ বরং আমরা যারা বিচারপ্রার্থী, তারা দীর্ঘদিন কোনো বিচার পাইনি৷ আর এখনো বিচার হচ্ছে সাধারণ গতিতে৷ এটা কোনো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নয়৷ আমিও চাই যে, স্বাভাবিক গতিতেই বিচার চলুক৷ কারণ বিচারটা তো সব পক্ষের৷''

মুনতাসির মামুন

This browser does not support the audio element.

ইতিহাসবিদও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক মুনতাসির মামুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যারা বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন তারা রাজনৈতিক কারণে করেন৷ ট্রাইব্যুনালের রায় শুধু মানোত্তীর্ণ নয়, কালোত্তীর্ণ বলে আমি মনে করি৷ এই রায় একসময় অনুসরণীয় হবে বলেই আমার বিস্বাস৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বিচারে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ঘাটতি নেই৷ আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে যারা সমালোচনা করছেন তারা অধিকাংশই আসামিদের পক্ষে কাজ করছেন৷ তাদের পক্ষে কথা বলার জন্যই তারা নিযুক্ত৷''

আপনিও কি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ঘাটতি নেই? জানান নীচের ধরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ