1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধে ইউক্রেনের সহায়তা করছে জার্মান ড্রোন

১৫ মে ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধে প্রযুক্তির অভাবনীয় প্রয়োগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ স্যাটেলাইট, ড্রোন থেকে শুরু করে নানা উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জাম হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করতে সাহায্য করছে৷ এক জার্মান কোম্পানি সে ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে৷

Ukraine | AKW Tschernobyl | Drohne von Quantum-Systems
ছবি: Quantum-Systems

এক ধরনের ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে৷ সম্ভাব্য রুশ হামলা শনাক্ত করাই সেগুলির কাজ৷ জার্মানির দক্ষিণে কোয়ান্টাম সিস্টেমস নামের এক হাইটেক কোম্পানি এই ড্রোন তৈরি করেছে৷ কোম্পানির কর্ণধার নিজে সামরিক বাহিনীতে সক্রিয় ছিলেন৷ এখন তিনি রিকনোসেন্স অপারেশনের জন্য ড্রোন তৈরি করেন৷ কোম্পানির কর্ণধার ফ্লোরিয়ান সাইবেল বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে আমাদের দেড়শো ইউনিট মোতায়েন রয়েছে৷ আমরা আরও পাঠানোর পরিকল্পনা করছি৷ যতদিন এই যুদ্ধ চলবে, ততদিন আমরা সাহায্য করতে চাই৷''

এমন ড্রোন ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সে দেশের সরকার চলতি বছরে আরও অনেক ড্রোন অর্ডার দিয়েছে৷ প্রত্যেকটির দাম এক লাখ আশি হাজার ইউরো৷ জার্মান সরকার দুই কোটি ইউরো অনুদান হিসেবে বরাদ্দ করেছে৷

ড্রোনগুলি উল্লম্বভাবে উড়তে ও নামতে পারে৷ উইংস্প্যান দুই দশমিক আট শূন্য মিটার৷ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে যেতে পারে সেগুলি৷ শুধু নিরীক্ষণের জন্য সেগুলি ব্যবহার করা যায়৷ থার্মাল ইমেজিং-এর মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক মানচিত্রে ড্রোন লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে৷ তবে বোমা ফেলতে পারে না৷ ফ্লোরিয়ান সাইবেল বলেন, ‘‘ড্রোন আকাশে ঘুরে ট্যাংক বা কামানের অবস্থানের মতো সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর সন্ধান করে৷ অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য অপারেটারের কাছে পাঠিয়ে দেয়, যে সেগুলি ঊর্দ্ধতন সামরিক কমান্ডের কাছে হস্তান্তর করে৷ সেই কমান্ড ইউক্রেনের আর্টিলারির কাছে শত্রুর অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পাঠায়৷ অর্থাৎ আমরা সেন্সর হিসেবে টার্গেট ডেটা পাঠাই, আর্টিলারি ইউনিট তার ভিত্তিতে হামলা চালায়৷''

ড্রোনের কাজ শেষ হলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে শত্রুপক্ষের অবস্থান জানানো হয়৷আকাশে এমন হাইটেক প্রযুক্তির নজরদারির মুখে রাশিয়ার বাহিনী বিশেষ কিছু করতে পারে না৷

অক্ষত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও জিপিএস সংক্রান্ত তথ্য থাকলে তবেই জমির উপর যোগাযোগ সম্ভব৷ কিন্তু ২০২২ সালে রুশ বাহিনী হামলা শুরু করে বোমারু বিমান ও হ্যাকারদের তাণ্ডবের মাধ্যমে ইউক্রেনের টেলিকম নেটওয়ার্ক কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছিল৷

ইউক্রেন যুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পেতে জার্মান ড্রোন

04:18

This browser does not support the video element.

আজকাল আকাশে অ্যামেরিকার বেসরকারি স্টারলিংক কোম্পানির স্যাটেলাইট বিচরণ করছে৷ আধুনিক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কাছে সেটাই ছিল একমাত্র ভরসা৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক যোগাযোগ সম্ভব করেছে৷ সেই পরিষেবার জন্য ইউক্রেনকে মাসুল দিতে হলেও পশ্চিমা বিশ্ব ও অন্যান্য সহযোগীরা তার জন্য অর্থ দিচ্ছে৷

মার্কিন শিল্পপতি ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানি স্টারলিংকের মালিক৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যাটেলাইট ও ড্রোনের মাধ্যমে চলমান এই যুদ্ধ ‘হাইব্রিড' সংঘাতের নতুন যুগের সূত্রপাত করছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রো. আন্দ্রেয়াস ক্নপ বলেন, ‘‘আমার মতে, মানুষ এখন অনেক দূরে বসে যুদ্ধক্ষেত্রের ঘটনার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারছে৷ অনেকে সেই সব হলিউড চলচ্চিত্রের কথা জানেন, যাতে নেভাদা মরুভূমিতে বসে কিছু মানুষকে এমন ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে৷ আজ সত্যি সেটা বাস্তব হয়ে উঠেছে৷

বিভিন্ন কোম্পানির নানা ধরনের ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে৷ তবে জার্মানি থেকে আনা এই ড্রোনের ফ্লিট সবচেয়ে বড়গুলির অন্যতম৷

জার্মানি আসন্ন গ্রীষ্মকালের মধ্যেই ইউক্রেনকে নজরদারি ড্রোন সরবরাহের কাজ শেষ করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ বিশ্বের প্রথম হাইব্রিড ও হাইটেক যুদ্ধ অবসানের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ নতুন ড্রোনগুলিও সেই বাস্তব পরিবর্তন করতে পারবে না৷

ক্রিস্টিয়ান প্রিসেলিউস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ