আনুষ্ঠানিক ভাবে আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন জো বাইডেন। জানালেন, সব কিছুরই একটা শেষ আছে।
বিজ্ঞাপন
যুদ্ধ যেমন চিরকাল চলতে পারে না, তেমন যুদ্ধ শেষের প্রক্রিয়াও চিরকাল চলতে পারে না। সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আফগান যুদ্ধের এভাবেই সমাপ্তি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানালেন, যুদ্ধ শেষ হলেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
যুদ্ধের খরচ
বাইডেন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ডলার করে খরচ হয়ে অ্যামেরিকার। ২০ বছর ধরে এই বিপুল খরচ হয়েছে। তার কথায়, ''আট লাখ মার্কিন আফগান যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। প্রায় আড়াই হাজার সেনা মারা গেছেন। যার মধ্যে ১৩ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরের শেষ বিস্ফোরণে। অ্যামেরিকা তাদের ভুলবে না।'' একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বিপুল খরচ করে দীর্ঘদিন ধরে তিন লাখেরও বেশি আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তারা ময়দানে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারল না।
২০ বছরের দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ
৯/১১-র ঠিক পরেই আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়েছিল অ্যামেরিকা। ২০ বছর পর কাবুল ছাড়ল মার্কিন সেনা। শেষ হলো ২০ বছরের যুদ্ধ।
ছবি: AFP/W. Kohsar
ঘটনাবহুল ২০ বছর
গত ২০ বছরে নানা ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। তালেবান, আইএস-এর সঙ্গে লাগাতার যুদ্ধ চলেছে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনীর। আফগান সেনাও সেই বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। শেষপর্যন্ত আফগান বাহিনীর হাত থেকে ক্ষমতা দখল করে তালেবান ফৌজ।
ছবি: Getty Images/A. Renneisen
৯/১১ এবং যুদ্ধ
২০০১ সালে অ্যামেরিকার টুইন টাওয়ারে বিধ্বংসী আক্রমণ চালায় আল কায়দা। গোটা বিশ্ব হতবাক হয়ে যায় বিমান দিয়ে টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার সেই দৃশ্য দেখে।
ছবি: Imago/ZUMA Press
জর্জ বুশের যুদ্ধ ঘোষণা
ওই ঘটনার পরেই যুদ্ধ ঘোষণা করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ জুনিয়র। তিনি বলেন, বিশ্ব হয় তাদের দিকে, অথবা সন্ত্রাসবাদের দিকে। ৮ অক্টোবর আফগানিস্তানে প্রথম হামলা চালায় মার্কিন সেনা।
ছবি: Jim Watson/AFP /Getty Images
প্রথম তালেবান শাসন
আফগানিস্তানে তখন তালেবানের শাসন। ১৯৯৬ সালে তালেবান আফগানিস্তানে প্রথমবার ক্ষমতা দখল করে। মার্কিন প্রশাসন অভিযোগ করে, তালেবান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে আছে, এবং তালেবান তাকে আশ্রয় দিচ্ছে বলে জানায় বুশ প্রশাসন।
ছবি: picture-alliance/dpa/Ausaf Newspaper
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা
৯/১১-র পরেই আফগানিস্তানে ঢুকে পড়ে মার্কিন সেনা। তালেবান এবং আই এস-এর সঙ্গে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়।
ছবি: AFP/Getty Images
তালেবানের পতন এবং নতুন সরকার
অ্যামেরিকার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর আক্রমণের সামনে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন হয়। অ্যামেরিকার তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় আফগানিস্তানে।
ছবি: Reuters/M. Ismail
হামিদ কারজাই প্রধানমন্ত্রী
২০০৪ সালে নির্বাচনের আয়োজন হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন হামিদ কারজাই। পরবর্তী নির্বাচনেও তিনিই নির্বাচিত হন। তৈরি হয় নতুন আফগান সেনাবাহিনী। অ্যামেরিকা সহ পশ্চিমা শক্তির সাহায্যে আফগানিস্তান শাসন করতে শুরু করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কোনো কোনো মহলের অভিযোগ, কারজাই কার্যত অ্যামেরিকার পুতুল হিসেবেই কাজ করেছেন।
ছবি: AP
ওসামা বিন লাদেনের হত্যা
২০১১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনী হত্যা করে ওসামা বিন লাদেনকে। ২ মে অভিযান চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করা হয়।
ছবি: Getty Images/AFP
আশরাফ গনি প্রধানমন্ত্রী
২০১৪ সালে আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আশরাফ গনি। সমস্ত জনগোষ্ঠীর মানুষকে প্রশাসনে রেখে নতুন আফগানিস্তান তৈরির অঙ্গীকার করেন গনি।
ছবি: Sajjad Hussain/AFP/Getty Images
ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ঐতিহাসিক চুক্তি
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দোহায় তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন। স্থির হয়, এক বছরের মধ্যে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে আফগানিস্তানের মাটি থেকে।
ছবি: U.S. Department of State/AA/picture alliance
ন্যাটোর আপত্তি
দ্রুত সেনা সরানোয় আপত্তি জানিয়েছিল ন্যাটো এবং ইউরোপের একাধিক দেশ। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই আপত্তি শুনতে চায়নি। বাইডেন ৩১ অগাস্ট ডেডলাইন স্থির করেন।
ছবি: Daniel Kubirski/dpa/picture alliance
আট দিনে দখল
অগাস্টের গোড়ায় মাত্র আটদিনের মধ্যে কার্যত পুরো আফগানিস্তানের দখল নিয়ে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। মার্কিন সেনার হাতে থাকে কেবলমাত্র কাবুল বিমানবন্দর।
ছবি: Zabi Karim/AP/picture alliance
উদ্ধারকাজ এবং লড়াই
গত দুই সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে অ্যামেরিকা সহ একাধিক দেশের সেনা। বহু আফগানকেও দেশ ছাড়তে সাহায্য করা হয়েছে। ৩০ অগাস্ট মধ্যরাতে শেষ মার্কিন বিমান আফগানিস্তানের জমি ছাড়ে। মাঝের দুই দিন কাবুল বিমানবন্দরে একাধিক হামলা করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান। ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন সেনাও পাল্টা ড্রোন আক্রমণ করেছে।
ছবি: 1stLt. Mark Andries/U.S. Marine Corps/Handout/REUTERS
পালানোর অপেক্ষায় বহু আফগান
অ্যামেরিকা চলে গেছে। কিন্তু এখনো দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন বহু আফগান। সমস্ত বিদেশিকেও উদ্ধার করা যায়নি।
২০ বছর ধরে চলা অ্যামেরিকার আফগান যুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রাণ গেছে এক লাখ ৭২ জন মানুষ। এর মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। প্রায় চার হাজার মার্কিন কন্ট্রাক্টরের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য দেশের সেনা মারা গেছে প্রায় এগারোশ।
ছবি: Getty Images/AFP/W. Kohsar
আফগানের মৃত্যু
যুদ্ধে বহু আফগান সেনার মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৬ হাজার। ৪৭ হাজার সাধারণ আফগানের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে। তালেবান এবং আইএস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ৫১ হাজারের কিছু বেশি।
ছবি: Getty Images/AFP/N. Mohammad
16 ছবি1 | 16
সমালোচনার জবাব
আন্তর্জাতিক বিশ্বে তো বটেই দেশের ভিতরেও বাইডেনের বিরোধীরা তার সমালোচনায় সোচ্চার। যে কায়দায় প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়েছেন, যেভাবে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে এবং যেভাবে উদ্ধারকাজ হয়েছে, তার সবকিছুরই সমালোচনা হচ্ছে। বাইডেনের জবাব, চিরকাল ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ শেষও করা যায় না। এক সময় চরম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। তিনি সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যে ভাবে উদ্ধারকাজ হয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন বাইডেন।
উদ্ধারকাজ
বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা যেভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, তা ঐতিহাসিক। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ দেশে ফিরতে চাওয়া অ্যামেরিকান আছেন। যাদের আনা যায়নি, তাদেরও কিছুদিনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তালেবান কাবুল বিমানবন্দর খুললেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আফগান নারীদের সোনালি অতীত
তালেবান শাসনামলে মেয়েদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করা হয় আফগানিস্তানে৷ অথচ আফগানিস্তানে এমন একটা সময়ও ছিল, যখন সে দেশের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা পশ্চিমা পোশাকে অভ্যস্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উচ্চাকাঙ্খী চিকিৎসকরা
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জন নারী মেডিসিন শিক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে এক অধ্যাপকের সঙ্গে মানবদেহের একটি অংশ পরীক্ষা করতে৷ ছবিটি ১৯৬২ সালে তোলা৷ সে’সময় আফগান সমাজে নারীদের একটি সক্রিয় ভূমিকা ছিল৷ তখন তাঁদের শিক্ষার সুযোগ যেমন ছিল, তেমনই বাড়ির বাইরেও ছিল অবাধ বিচরণ৷
ছবি: Getty Images/AFP
পাশ্চাত্যের পোশাক কাবুলের রাস্তায়
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি রেডিও স্টেশনের বাইরে হাঁটছেন পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরা দুই নারী৷ ১৯৬২ সালে তোলা ছবি এটি৷ কিন্তু উগ্র ইসলামপন্থি তালেবান গত শতকের নব্বইয়ের দশকে ক্ষমতা গ্রহণের পর, সব কিছু বদলে যায়৷ আর সব কিছু ঢাকা যায়, এমন বোরকা পরে জনসমক্ষে যেতে বাধ্য করা হয় নারীদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য সম অধিকার - সবসময় নয়
গত শতকের সত্তরের দশকে আফগান শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে মেয়েদের বিচরণ স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল৷ কিন্তু তার মাত্র ২০ বছর পর শিক্ষাকেন্দ্রে মেয়েদের যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়৷ ২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর পরিস্থিতি আবার কিছুটা বদলেছে৷ ২০০৩ সালে আফগান সংবিধানে নারী ও পুরুষ উভয়ের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/Hulton Archive/Zh. Angelov
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
কাবুল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে আফগান শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন একজন সোভিয়েত প্রশিক্ষক৷ ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত – অর্থাৎ এই দশ বছর আফগানিস্তান সোভিয়েতদের দখলে ছিল৷ তাই সেই সময়টায় আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বহু অধ্যাপক অধ্যাপনা করেছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
শিক্ষার্থীদের ঘোরাফেরা
১৯৮১ সালে তোলা এই ছবিটিতে আফগান ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে৷ ১৯৭৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তানে হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয় এবং তা দশ বছর ধরে চলে৷ পরবর্তীতে, ১৯৮৯ সালে, সোভিয়েতরা দেশটি ছেড়ে গেলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় আফগানিস্তানে৷ এই গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯৬ সালে, তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP
সবার জন্য স্কুল
সোভিয়েতদের অধিকৃত আফগানিস্তানের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছবি এটি৷ তবে তালেবানের শাসনামল শুরু হওয়ার পর আফগান মেয়েদের স্কুলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়৷ এমনকি বাড়ির বাইরে কাজ করাও নিষিদ্ধ ছিল তাঁদের৷
ছবি: Getty Images/AFP
তেমন কিছু বদলায়নি
এই ছবিটি ১৯৮১ সালে তোলা৷ হিজাব, বোরকা ছাড়া এক মা তাঁর সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন৷ এমন দৃশ্য এখন আর আফগানিস্তানে দেখা যায় না৷ এমনকি তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৫ বছর পরেও না!
ছবি: Getty Images/AFP
7 ছবি1 | 7
বস্তুত, কাবুল বিমানবন্দর এখন তালেবানের হাতে। তারা আদৌ বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য খুলবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যে অ্যামেরিকানরা এখনো আফগানিস্তানে আটকে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে তালেবান কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, তাও জানা যায়নি। বাইডেন বিরোধীদের অনেকেই উদ্ধারকাজের সমালোচনা করেছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, এর চেয়ে ভালোভাবে উদ্ধারকাজ সম্ভব ছিল না। বহু প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা।
পররাষ্ট্রনীতিতে বদলের ভাবনা
বাইডেন এদিনের বক্তৃতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। এরপর অ্যামেরিকা কোনো দেশে কোনো মিশনে গেলে স্পষ্ট ভাবনা নিয়ে যাবে। অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে, এমন মিশন অ্যামেরিকা নেবে না। বাইডেনের কথায় স্পষ্ট, তিনি আফগানিস্তানে যেভাবে ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা থেকেছে, তার সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্য, আফগানিস্তানে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন সেনা গেছিল। সেই কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় এক দশক মার্কিন সেনা সেখানে থেকে গেছিল। এই বিষয়টিই মেনে নিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট। আগামী দিনে এমন পররাষ্ট্রনীতি অ্যামেরিকা নেবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন।