1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে শান্তিরক্ষার শেষ সুযোগ

ব্যার্ন্ড ইওহান/এসি৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ একটি মধ্যস্থতা সফরে কিয়েভ ও মস্কোয়৷ ইউরোপে শান্তিরক্ষার এটাই শেষ সুযোগ, বলে ব্যার্ন্ড ইওহান-এর ধারণা৷

Ukraine Kiew Merkel Poroschenko Hollande
ছবি: Reuters/Valentyn Ogirenko

ম্যার্কেল ও ওলঁদের সামনে বন্ধুর পথ: এ যাবৎ সব কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে৷ এবং এই সর্বাধুনিক অভিযানের ফলশ্রুতিও অনিশ্চিত৷ তবে জার্মান চ্যান্সেলর ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবার তাঁদের সামগ্রিক রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে এই শান্তি প্রচেষ্টার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন৷ তাঁরা জানেন, ব্যর্থতার ফল গুরুতর হতে পারে; যুদ্ধ আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে৷

ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ আজ প্রাণসংশয়ে দিন কাটাচ্ছেন৷ ছোট্ট শহর দেবালৎসেভে পড়েছে রণক্ষেত্রের ঠিক মাঝখানে; সেখানে আটক হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য ও হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক; বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শহরটি ঘিরে রেখেছে; এমন রক্তপাত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা বসনিয়া যুদ্ধ যাবৎ ইউরোপ আর দেখেনি৷ এটা স্পষ্ট যে, এই সংঘাত যদি ইউক্রেনের অপরাপর অংশে ছড়ায়, তাহলে সমগ্র ইউরোপকে তার নাটকীয় ফলশ্রতির সম্মুখীন হতে হবে৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বৃহস্পতিবারেই কিয়েভে গিয়েছিলেনছবি: picture-alliance/TASS/Ukrainian presidential press service

ইউরোপের শান্তি বিঘ্নিত, বিপন্ন

ইউরোপের শান্তিব্যবস্থা বিপন্ন৷ সত্তর বছর আগে সংঘটিত ইয়াল্টা সম্মেলনে ইউরোপে বিভিন্ন সীমান্ত ও প্রভাব বিস্তারের সীমানা নির্দেশ করে দেওয়া হয়েছিল৷ আজ আবার মস্কো তার সাম্রাজ্যবাদী নীতির মাধ্যমে নতুন সব বিভাজন রেখা সৃষ্টি করতে চলেছে – ইউরোপে যা কারোরই কাম্য নয়৷ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে পৃথক ও গোপনীয় আলাপ-আলোচনায় ম্যার্কেল এবং ওলঁদ একটি সমাধানের খোঁজ করছেন৷

এক্ষেত্রে কিয়েভ ও মস্কো হলো যাত্রার প্রথম পাদ; দ্বিতীয় পাদে, অর্থাৎ সপ্তাহান্তে মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে, এছাড়া আগামী সপ্তাহে ম্যার্কেলের যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতেও ইউক্রেনে শান্তি আনয়ন নিয়েই কথাবার্তা হবে৷ তবুও কিয়েভ এবং মস্কোয় ম্যার্কেল তথা ওলঁদের আলাপ-আলোচনাই হবে উত্তেজনা হ্রাসের পথে প্রথম পদক্ষেপ৷ইউক্রেনের পক্ষে এই যুদ্ধ সামরিকভাবে জেতা সম্ভব নয়৷ কাজেই তারা কূটনৈতিক মধ্যস্থতার উপর নির্ভরশীল৷ রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়াও কোনো ইউক্রেনীয় সরকারের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়৷

পুটিনের প্রতিক্রিয়া কি হবে?ছবি: picture-alliance/TASS/Russian presidential press service

অপরদিকে পুটিন পশ্চিমি অভ্যাগতদের সফরে কতটা প্রভাবিত হবেন, সেটা বলাও সম্ভব নয়৷ তবে ম্যার্কেল এবং ওলঁদ যে তার কাছে এসেছেন, তাতেই পুটিন সুখি হবেন – কেননা বিগত কয়েক মাসে পশ্চিমি বিশ্ব তাঁর সঙ্গে যাবতীয় রাজনৈতিক সাক্ষাৎ তথা মোলাকাত মোটামুটি স্থগিত রেখেছে৷ দৃশ্যত ম্যার্কেল ও ওলঁদ-এর একটি শান্তি পরিকল্পনা আছে, যা তাঁরা এ যাবৎ প্রকাশ করেননি৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী নাকি ইউক্রেনের রাজ্যাঞ্চলিক সংহতি ও সার্বভৌমত্ব অটুট থাকবে – একবিংশ শতাব্দীর ইউরোপে যে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বা অবকাশ আছে, সেটাই তো একটা কেলেঙ্কারি বলে গণ্য হতে পারে৷ অপরদিকে পুটিন সেটাকে তাঁর সাফল্য বলেই গণ্য করতে পারবেন৷

ব্যার্ন্ড ইওহানছবি: DW/P. Henriksen

দৌত্ব ব্যর্থ হলে কি হবে?

এই শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, নানা বেয়াড়া প্রশ্ন আবার মাথা চাড়া দেবে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে অস্ত্রসরবরাহ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সামরিক সাহায্য ছাড়া ইউক্রেনীয়রা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অগ্রগতি রুখতে পারবে না৷ কিন্তু সে ধরনের অস্ত্রসরবরাহ সংঘাতকে তীব্রতর করে তুলবে৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যদি রাশিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় কিয়েভ অবধি পৌঁছে যায়, তখন ইউরোপ কী করবে? পরিস্থিতি এখনও ততদূর গড়ায়নি, এখনও যুদ্ধ থামানো যেতে পারে৷ তবে এই ম্যার্কেল-ওলঁদ দৌত্ব ইউরোপে প্রকাশ্য যুদ্ধ থামানোর শেষ সুযোগ হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ