সংবাদমাধ্যমে এবং ফেসবুক ও টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে৷ দেখে মনে হচ্ছে, যুদ্ধ যেন এক নতুন সিনেমা৷ উৎসবের মরশুমে রিলিজ করবে!
বিজ্ঞাপন
হিন্দি ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা সলমন খান৷ দোষের মধ্যে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানি অভিনেতারা তো সন্ত্রাসবাদী নন! ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার যে ফতোয়া জারি করেছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো, তারই প্রতিক্রিয়ায় সলমনের এই বক্তব্য৷ সেটাও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নয়৷ সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে সলমনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ সলমনের জবাব শোনার পর রীতিমত ক্ষিপ্ত শিবসেনা, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার মতো দক্ষিণপন্থি সংগঠন৷
দাবি উঠেছে, শুধু পাকিস্তানি অভিনেতা নয়, পাকিস্তানের সমর্থকদেরও পাকিস্তানেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া উচিত৷ হিন্দি ছবির অভিনেতাদেরও কেউ কেউ এই পাকিস্তান বিরোধিতায় সামিল৷ জনপ্রিয় অভিনেতা নানা পাটেকর যেমন সদ্য বিবৃতি দিয়েছেন, দেশ সবার আগে৷ পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারতে কাজ করতে আসার এটা ঠিক সময় নয়৷ তবে সলমনের মতো মুখ খুলেই যে শুধু বেকায়দায় পড়ছেন তা নয়, কোনো বিরোধে না থেকেও শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন শিল্পীরা৷
এর আগে বিশ্ববিশ্রুত গজল গায়ক গুলাম আলির অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছিল হিন্দুত্ববাদীদের আপত্তিতে, সদ্য আরেক জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক আতিফ ইসলামের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিতে হল দিল্লির কাছে, গুরগাঁও-তে৷ এখানেও আপত্তি জানিয়েছিল হিন্দুত্ববাদীরা৷ সমস্যা হচ্ছে, এমন এক পরিস্থিতিতে অন্য শিল্পীরা সবাই মুখ বুজে থাকাই নিরাপদ মনে করছেন৷ যাঁরা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিরুদ্ধে, শিল্পীদের মধ্যে এই ভারতীয়, পাকিস্তানি বিভাজনের বিরুদ্ধে কথা বললে লোকে শুনত, হয়ত বা বুঝতও, তাঁরা একটি কথাও বলছেন না৷
এবং পাকিস্তানের বিরোধিতা, এখনই যুদ্ধ বাধিয়ে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যাঁরা তড়পাচ্ছেন, তাঁদের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, যুদ্ধ যেন নতুন কোনো সিনেমা, যা এই উৎসবের মরশুমে দেশজুড়ে রিলিজ করবে! যুদ্ধ যেন পারিবারিক বিনোদন! সবাই মিলে টিভির সামনে বসে যেটা জমিয়ে উপভোগ করা যাবে৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশ ইন্ধন জোগাচ্ছে এই যুদ্ধ যুদ্ধ উন্মাদনায়৷ টিভিতে নিয়মিত চর্চা চলছে রণকৌশল নিয়ে, পত্র-পত্রিকায় লেখা বেরোচ্ছে, দু'দেশের তুল্যমূল্য সামরিক শক্তি নিয়ে৷ সক্ষমতায় ভারত কীভাবে সব বিষয়েই এগিয়ে আছে পাকিস্তানের থেকে, তা ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে৷ খবরের কাগজের প্রথম পাতার শিরোনাম হচ্ছে, দরকার হলে মোক্ষম মার দেওয়া হবে পাকিস্তানকে! যুদ্ধ হলে দেশের অর্থনীতির ওপর কীভাবে চাপ বাড়বে, কীভাবে সেই চাপ ঘুরে আসবে সাধারণ মানুষের কাঁধে, সেই নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না৷ এমনকি সামগ্রিকভাবে যুদ্ধের বিরুদ্ধেই কম কথা বলছে লোকে, কারণ তা হলে হয়ত তাকে দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হবে৷ বলা হবে পাকিস্তানপন্থি, বলা হবে পাকিস্তানে চলে যেতে৷ ফলে যুক্তি-বুদ্ধি মুখ লুকিয়েছে কুযুক্তির ভয়ে৷ রয়েছে শুধু জাতীয়তাবাদী প্রচারের ঢক্কানিনাদ আর দেশভক্তির উন্মাদনা৷
ভারতে পাকিস্তানি যে ৭ তারকাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে, এর জের ধরে এবার সাতজন পাকিস্তানি তারকাকে ভারতে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা৷ অবিলম্বে তাঁদের ভারত ছাড়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
ফাওয়াদ খান
বর্তমানে বলিউডে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাকিস্তানি তারকা ফাওয়াদ খান৷ ২০১৪ সালে ‘খুবসুরত’ মুভির মাধ্যমে তিনি বলিউডে ঘাঁটি গাড়েন৷
ছবি: STRDEL/AFP/Getty Images
মীরা
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরা যখন বলিউডে পদার্পণ করলেন, তখন তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল৷ বলিউডে তাঁর সবশেষ মুভি ‘ভড়াস’, যা ২০১৩ সালে মুক্তি পায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বীণা মালিক
বীণা মালিক বিগ বস-এর মাধ্যমে ভারতীয় মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন৷ এরপর তিনি বলিউডে প্রবেশ করেন৷ ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি৷ কিন্তু দর্শক তাঁকে ভালোভাবে নেয়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
আতিফ আসলাম
গায়ক অভিজিতসহ বলিউডের বেশ কিছু ব্যক্তি বরাবরই আতিফ আসলামের বিরোধিতা করে আসছেন৷ কিন্তু এরপরই বলিউডের বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সুপারহিট গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আতিফ আসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
জাবেদ শেখ
‘জান্নাত’, ‘যুবরাজ, ‘তামাশা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন জাবেদ শেখ৷
ছবি: DW/T. Saeed
আলী জাফর
‘তেরে বিন লাদেন’ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন আলী জাফর৷ এরপর বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি৷
ছবি: Imago/Hindustan Times/W. Gashroo
রাহাত ফাতেহ আলী খান
‘তুঝে দেখ দেখ সোনা’ রাহাত ফাতেহ আলী খানের অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ এরপরও বহু হিন্দি চলচিত্রে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি শ্রোতাদের৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Dunham
7 ছবি1 | 7
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি মন্তব্য ইদানীং ফিরে ফিরে আসছে৷ সরকার একটা যুদ্ধ তহবিল গঠন করুক৷ আর যাঁরা সত্যিই যুদ্ধ চান, সেই নাগরিকেরা নিজেদের সঞ্চয়ের একটা অংশ সেই তহবিলে দান করুক, যাতে যুদ্ধের খরচ তুলতে সরকারকে সবার ওপর কর না বসাতে হয়৷ ওই তহবিলের টাকাতেই দিব্যি যুদ্ধ চলতে পারে৷ একমাত্র তখনই বোঝা যাবে, কার দেশভক্তি কত জোরালো! এটাও কুযুক্তি, কারণ যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হলে যুদ্ধ করতেই হবে৷ কিন্তু যাঁরা যুদ্ধ চাই বলে ক্ষেপে উঠেছেন, তাঁরাও তো যুদ্ধের সপক্ষে কুযুক্তি ছাড়া কিছু দিচ্ছেন না!
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
যুদ্ধ কি করতেই হবে? জানান আপনার মন্তব্য, নীচের ঘরে৷