1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিপ্লবের দাম চুকাচ্ছেন' মুন্সী

১৭ নভেম্বর ২০১৬

মাহমুদুল হক মুন্সী একজন ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট৷ শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম এই কর্মী দেশ ছেড়েছেন গতবছর৷ জার্মানির একটি শহরে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে৷

Mahmudul Haque Munshi Aktivist aus Bangladesch
ছবি: DW/A. Islam

মুন্সীর সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় শাহবাগ আন্দোলন চলাকালে৷ বিশালদেহী এই যুবক একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ছিলেন সদা তৎপর৷ মিছিলে, মিটিংয়ে তাঁকে দেখা গেছে অগ্রভাগে৷ নিজের সমর্থকদের একটি ছোটখাট দলও তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন সেসময়৷ একজন তো আমাকে দিব্যি জানিয়েছিলেন, বাঁধন ভাইয়ের (মুন্সীর ডাকনাম) সঙ্গে আন্দোলন করেন তিনি৷

‘একা থাকলে জয়বাংলা স্লোগান দেই’

03:51

This browser does not support the video element.

শাহবাগ আন্দোলন মুন্সীর মতো আরো অনেক অ্যাক্টিভিস্টের পরিশ্রমের ফসল৷ আর ঠিক কে, কতটা অবদান রেখেছেন সেই আন্দোলনে সেটা মূল্যায়ন যেমন কঠিন, তেমন এরকম একটি বড় আন্দোলনের একক কৃতিত্বের দাবি করাটাও অর্থহীন৷ সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকে আহ্বানের ভিত্তিতে রাজপথে জড়ো হয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা এক বড় আন্দোলন৷

শাহবাগ আন্দোলনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুতই হয়েছে৷ যদিও আন্তর্জাতিক একাধিক মানবাধিকার সংগঠন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তাসত্ত্বেও সরকার বিচার কার্যকরে পিছপা হয়নি৷ বিচারের প্রতি সাধারণ মানুষের জনসমর্থন সম্ভবত সরকারকে সাহস জুগিয়েছে৷

তবে বিপাকে পড়েছেন কিছু ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট৷ বিশেষ করে যাঁরা নাস্তিক, তাঁদের ধর্মের সমালোচনামূলক লেখাগুলো সামনে নিয়ে আসে একটি পত্রিকা৷ আর উগ্রপন্থিরা ইস্যু পেয়ে যায় আন্দোলনের৷ নাস্তিক ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শুরু হয় উগ্রপন্থিদের নানা কর্মসূচি৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন হামলায় প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন মুক্তমনা ব্লগার৷ ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন অনেক ব্লগার৷

মাহমুদুল হক মুন্সী একজন স্বঘোষিত নাস্তিক৷ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাভোগ করার সময় কারা হাসপাতালে মারা যাওয়া গোলাম আযমের মরদেহবাহী গাড়ির দিকে জুতা ছুঁড়ে মেরেছিলেন তিনি৷ পুলিশের হাতেও নিগৃহীত হয়েছেন একাধিকবার৷ মুন্সীর কথায়, সব মিলিয়ে বাংলাদেশে থাকার মতো পরিস্থিতি আর ছিলো না৷ তাই স্ত্রীসহ দেশত্যাগের পথ বেছে নেন তিনি৷

আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

জার্মানির একটি শহরে আলাপকালে মুন্সী জানান, দেশত্যাগ করে ‘বিপ্লবের দাম চুকাচ্ছেন' তিনি৷ ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার তাঁর আন্দোলন এখন পুরোপুরি ফেসবুককেন্দ্রিক৷ মুন্সী ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করেন অত্যন্ত কড়াভাবে, যা বাংলাদেশে বসে কারো পক্ষে করা কার্যত অসম্ভব৷ তাঁর লেখার মধ্যে ধর্ম বিশ্বাসীদের আঘাত করার প্রবণতা রয়েছে বলে ফেসবুকে অনেকেই মনে করেন৷

জার্মানিতে একাধিক সংগঠন মুন্সীকে সহায়তা করছে৷ এখানে জীবন অনেক নিরাপদ, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ারও তেমন কেউ নেই৷ তাতে অবশ্য খুবই সন্তুষ্ট নন তিনি৷ বরং মিস করেন শাহবাগকে, আন্দোলনকে, নিজের দেশকে৷ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলে দেশে ফিরে যেতে চান তিনি৷ তবে সেই পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ