1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ

১ ডিসেম্বর ২০১৬

ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা স্থান করে নেয়ায় আজ আনন্দিত বাঙালি, বাংলাদেশ৷ কিন্তু কাজটি সহজ ছিল না৷ এর জন্য সময়মতো আবেদন, বিতর্ক, তথ্য-প্রমাণ জমা দেয়া – সবকিছুই করতে হয়েছে৷

ঢাকায় পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা
ছবি: Reuters

প্রমাণ করতে হয়েছে এই শোভাযাত্রা অসাম্প্রাদয়িক, বিশ্বজনীন ও মানব কল্যাণে নিবেদিত৷ ডয়চে ভেলেকে এ কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম৷ দেড় বছর আগে তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে সশরীরে হাজির হয়ে ইউনেস্কোকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷

এর আগে এই বিষয়টি নিয়ে ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক' করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, বাংলা একাডেমি এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘চূড়ান্ত বিতর্কে অংশ নিতে যাওয়া চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এখনো আদ্দিস আবাবায় আছেন৷ তাঁর কাছ থেকেই সুখবরটি আমি প্রথম পেয়েছি৷''

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

This browser does not support the audio element.

প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়৷ সেই শোভাযাত্রায় প্রতিবছরই একটি ‘থিম' থাকে – শান্তির পক্ষে, অশুভের বিরুদ্ধে৷ ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিউটের উদ্যোগেই এর শুরু হয়৷ চিত্রশিল্পী বিপূল শাহ ছিলেন এর নেপথ্য কারিগর৷

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বুধবার বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেই বৈঠকে অনুষ্ঠিত বিতর্কে ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউমিনিটি'-র তালিকায় বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ‘‘দেড় বছর আগে আমি ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে যখন যাই, তখন প্রথম বিষয়টি আলোচনা করি৷ এরপর সেখানে আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. শহীদুল ইমলাম আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ‘প্রসেস' করে৷ একবছর আমরা এটা নিয়ে কাজ করি৷ বিতর্কে অংশ নিই, তথ্য-উপাত্ত দেই৷ তারপর আমরা সফল হই৷''

শাহরিয়ার আলম

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘আমরা শক্তভাবেই আটঘাট বেধে নেমেছিলাম৷ কারণ একবার ‘মিস' হয়ে গেলে অনেক পিছিয়ে পড়তাম৷ এই কাজে যুক্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চারুকলা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়৷ সবার চেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি৷ ইউনেস্কো মনে করে, আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব মানবতাকে গুরুত্ব দেয় এমন একটি অনুষ্ঠান৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম শ আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘চূড়ান্ত বিতর্কে আদ্দিস আবাবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও অংশ নেন৷ তিনি এখনো সেখানেই আছেন৷ তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি বিষয়টি প্রথমে সামনে নিয়ে আসে৷ এর জন্য কাজ করে তারা৷''

তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের ঐতিহ্য৷ আর এখন এটা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷ এতে করে প্রমাণ হলো, আমরা সব কুপমণ্ডুকতা এবং অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে৷ আমাদের সংস্কৃতি মানবতাবাদী, মানবিক৷''

প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ'-এর তালিকায় বাংলাদেশের কারুশিল্প জামদানি এবং বাউল গান স্থান পায়৷ এছাড়া, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বাগেরহাটের ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর', পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের নামও রয়েছে৷

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ‘‘আরো কিছু বিষয় নিয়েও আমরা কাজ করছি৷ আশা করি সেখানেও আমরা সফল হবো৷''

বন্ধু, এ সংবাদটি পেয়ে আপনার কেমন লাগছে? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ