বিদেশ থেকে ইটালিতে এসে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীই অ-নথিভুক্ত কৃষিকর্মী হিসাবে কাজ করেন৷ সরকার তাদের বৈধতা দেবার কাজে নামলেও তা সহজ হচ্ছে না৷
বিজ্ঞাপন
২০১২ সালে নাইজেরিয়া থেকে ইটালি এসে পৌঁছান ৪১ বছর বয়সি মোসের আইসাক ওসাজুয়া৷ ইটালির মাটেরা অঞ্চলে অনথিভুক্ত কৃষিকর্মী হিসাবে ২০১৭ পর্যন্ত কাজ করেছেন তিনি৷ মানবিক দিক বিবেচনা করে ও নাইজেরিয়ায় দাঙ্গার পরিবেশ থাকায় তাকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইটালিতে থাকতে দেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এই কাগজের মেয়াদ ফুরোনোর পর থেকেই ওসাজুয়ার জীবনে বাড়তে শুরু করে জটিলতা৷
ওসাজুয়ার মতোই এমন আরো অনেক কৃষিকর্মী রয়েছেন ইটালিতে, যাদের ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু গত জুন মাসের একটি প্রকল্প তাদের কিছুটা আশা দেখায়৷ বলা হয়, করোনা সংকটের মাঝে অন্তত দুই লাখ অ-নথিভুক্ত কৃষিকর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে৷ এই প্রকল্প ওসাজুয়ার মতো কর্মীদের নিয়োগ করবে সরকারি কৃষিখাতেই,, যা করোনা সংকটের কারণে এখন ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম৷
ফের জীবনের ছন্দে ইউরোপ
করোনা সংকটের মধ্যে কড়াকড়ি শিথিল হওয়ায় খুব ধীরে ধীরে ইউরোপের শহরগুলো জীবনের ছন্দে ফিরছে৷ রাস্তায় মানুষের দেখা মিলছে, খুলেছে স্কুল, অফিস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjias
সাইপ্রাস
সাইপ্রাসের কেন্দ্রে এই পোশাকের দোকানটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার খুলেছে৷ মার্চের শেষ থেকে এখানে লকডাউন ছিলো৷ চলতি মাসের ৪ তারিখে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছোট ছোট দোকানগুলো খোলার অনুমোদন দেন৷ এছাড়া ২১ তারিখ থেকে সবাই আগের মত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjias
পর্তুগাল
১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল৷ আর এটা উঠিয়ে নিতেই মুক্তির আনন্দে সবাই জড়ো হয়েছেন সমুদ্র সৈকতে৷ মাস্ক পরে সবাই দোকান, সেলুন, এমনকি রেস্তোরাঁতেও যেতে পারছেন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/SOPA Images/Diogo Baptista
গ্রিস
৪ঠা মে থেকে গ্রিসে সেলুনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে৷ বইয়ের দোকানসহ ছোট ছোট দোকান খুলেছে ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর৷ তবে রেস্তোরাঁ আর পাবগুলো খোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এই মাসের শেষ পর্যন্ত৷ দেশের মানুষ যেকোন জায়গায় যেতে পারবে, তবে অবশ্যই মাস্ক পরে, বিশেষ করে গণপরিবহনে চলার সময়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Stavrakis
হাঙ্গেরি
এই দেশের রাজধানীতে অন্যান্য শহরের তুলনায় বেশি কড়াকড়ি৷ অন্যান্য শহরে গণপরিবহন, জাদুঘর, ছোট দোকান খুললেও বুদাপেস্টে কিছু অফিস খুলেছে, গণপরিবহন চলছে, তবে কম৷ আর অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরে যেতে হচ্ছে অফিসে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Z. Balogh
স্পেন
গত ৪৮ দিন ধরে স্পেনের প্রতিটি শহর ছিলো জনশূন্য৷ খাবার, ওষুধ, কুকুরকে নিয়ে বের হওয়া ছাড়া বের হওয়া ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ৷ এখন সামাজিক দূরত্বসহ অনেক বিধিনিষেধ বহাল থাকলেও রাস্তায় বের হতে পারছে মানুষ৷
ছবি: Reuters/J. Medina
ইটালি
ইউরোপের মধ্যে এই দেশটির পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ৷ লকডাউনে সবচেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল এখানে৷ তবে ৪ মে থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Stinellis
ইটালিতে শেষকৃত্য
এমনকি এখন থেকে মৃতদেহ সৎকারে হাজির হতে পারবেন সর্বোচ্চ ১৫ জন, তবে সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে৷ লক ডাউন চলাকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রিয়জনদের শেষ বিদায় জানাতে পারেননি৷
ছবি: Reuters/A. Parrinello
অস্ট্রিয়া
স্কুলের ফাইনাল ইয়ারের পর্রীক্ষায় অন্তত এক লাখ শিক্ষার্থী যাতে অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যে খুলে দেয়া হয়েছে অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু স্কুল৷ তবে ক্লাসে যেতে হবে মাস্ক পরে৷ এপ্রিলের ১৪ তারিখ থেকে ছোট ছোট দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে৷ এছাড়া অসুস্থ স্বজনদের কেয়ার হোমে দেখতে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Punz
জার্মানি
সামনে বুন্দেসলিগার খেলা৷ জার্মানির পেশাদার ফুটবলাররা তাই শরীর চর্চা ও প্রশিক্ষণে ব্যস্ত৷ যেমন এখানে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়রা ছোট ছোট দলে প্র্যাকটিস করছেন৷ ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা৷ তবে সেসব ম্যাচে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
ছবি: Reuters/A. Gebert
9 ছবি1 | 9
টাকারবিনিময়েবৈধতা
কিন্তু এই নিযুক্তি পেতে গেলেও মোটা অঙ্কের ঘুষ চান অনেক নিয়োগকর্তারা, বলেন ওসাজুয়া৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন আমার কাছে দেড় হাজার ইউরো (প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি টাকা) চান, আরেকজন এক হাজার ২০০ ইউরো (প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টাকা) চান, আরেকজন ১ হাজার ইউরো (প্রায় এক লাখ টাকা) চান৷ কিন্তু এত টাকা আমার কাছে নেই৷ মিলান অঞ্চলে এই ঘুসের অঙ্ক পাঁচ হাজার ইউরো (প্রায় পাঁচ লাখ টাকা) পর্যন্ত হয়৷ ঘুস না দিলে বৈধতা পেতে যা কাগজপত্র লাগে, তা আমরা পাবো না৷''
কিন্তু সরকারের পক্ষে ইটালির কৃষিমন্ত্রী টেরেসা বেলানোভা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘যারা এসব বলছে, তারা অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ছড়াচ্ছে৷ বা তারা হয়ত জানে না বাস্তব কেমন৷ সিস্টেমের বাইরে থাকার ফলে এই অ-নথিভুক্ত কর্মীরা যে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তা হয়ত অভিযোগকারীদের নজরে আসছে না৷ আমিও জানি যে, এই প্রকল্প নির্ভুল নয়৷'' টেরেসার মতে, প্রতি দিন দুই হাজারের মতো অ-নথিভুক্ত কৃষিকর্মীদের আবেদন গৃহীত হচ্ছে৷
‘বুলশিট জব’ নিয়ে কিছু কথা
২০১৮ সালে প্রকাশিত মার্কিন নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড গ্রেবারের ‘বুলশিট জবস: আ থিওরি’ বইটি প্রকাশের পর থেকে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে৷ তাঁর মতে, পৃথিবীতে ‘বুলশিট জব’ বা অপ্রয়োজনীয় কাজে ভরে গেছে৷ চলুন তাঁর যুক্তিগুলো জেনে নিই৷
ছবি: picture-alliance/Chromorange/Bilderbox
‘বুলশিট জব’ ভর্তি সমাজ
অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেয়নেসের ১৯৩০ সালের একটি তত্ত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে গ্রেবার বলেন, একুশ শতকে প্রযুক্তি এতটাই এগিয়ে দেবে মানুষকে সপ্তাহে ১৫ ঘন্টার বেশি কাজ করতে হবে না৷ গ্রেবার বলছেন, প্রযুক্তি ঠিকই এগিয়েছে৷ কিন্তু কাজের ঘন্টা কমেনি৷ কারণ, মানুষ অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. Pederden
এই লোকের কি আদৌ প্রয়োজন আছে?
কার্ট জার্মানির মিলিটারির লজিস্টিক্স বিভাগকে সহযোগিতা করেন৷ ধরুন, একজন অফিসার অফিস বদল হয়ে নীচের তলায় গেলেন৷ তিনি চাইলেই কম্পিউটার সঙ্গে করে নিতে পারবেন না৷ অফিসকে জানাবেন৷ অফিস কার্টকে খবর দেবে৷ কার্ট পাঁচশ’ মাইল দূর থেকে এসে কাগজ সই করে লজিস্টিকস বিভাগের সহযোগিতায় কম্পিউটার নীচে নামাবেন৷ লেখকের প্রশ্ন, সমাজে কার্টের অবদান কী?
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
কমেছে উৎপাদনের কাজ, বেড়েছে ব্যবস্থাপনার
লেখক যুক্তি দিচ্ছেন, ১৯১০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শিল্প, খামার, এমনকি বাড়ির কাজের লোকের সংখ্যা কমেছে ব্যাপকহারে৷ কিন্তু বেড়েছে ব্যবস্থাপনা, বিক্রেতা ও অফিস সংক্রান্ত চাকরির সংখ্যা, যুক্তরাষ্ট্রে যা ৭৫ ভাগ৷ ব্রিটিশ জরিপ সংস্থা ইউগভের হিসেবে, ২০১৩ সাল নাগাদ ৩৭ ভাগ ব্রিটিশ নাগরিক মনে করেন, তাদের কাজ সমাজের জন্য বিশেষ কোনো অর্থ তৈরি করে না, ডেনমার্কে এমনটা মনে করেন ৪০ ভাগ চাকুরিজীবী৷
ছবি: Klett-Cotta Verlag
ক্লিনার ছাড়া চলবে না, কিন্তু এইচআর?
লেখকের যুক্তি, একজন ক্লিনার যে কাজটি করেন, সে হিসেবে এতই কম বেতন পান যে হয়তো একে কেউ কেউ ‘শিট জব’ ভাবতে পারেন৷ কিন্তু ক্লিনার ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান, একটি এলাকা চলবে না৷ কিন্তু এইচআর বা জনশক্তি বিভাগের এই যে এত কর্মচারী, তাদের একজন না থাকলে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হবে না৷ তাই এই চাকরি নিরর্থক৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/ Le Pictorium/B. Tarabey
পাঁচ ধরনের বুলশিট জব
গ্রেবার পাঁচ ধরনের কাজকে বুলশিট জব বলছেন৷ এর একটি হলো ভৃত্য বা চাকরের কাজ৷ রাজা যখন দরজা দিয়ে ঢোকেন বা বের হন, তখন দু’জন ভৃত্য দরজা খুলে দেন৷ রাজা কিন্তু দরজা নিজেই খুলতে পারেন৷ কিন্তু এই ভৃত্যরা হলো রাজা যে শ্রেষ্ঠ সেটা প্রমাণ করার জন্য৷ আজকের দিনে রিসেপশনিস্টকে এর সঙ্গে তুলনা করেছেন গ্রেবার৷ বলেছেন, সারাদিনে তাদের যতটা সময় কাজ করতে হয়, তার চেয়ে বেশি বসে থাকতে হয়৷
ছবি: Colourbox
গুন্ডা বা মাস্তানের কাজ হলো দ্বিতীয়টি
গুন্ডা বা মাস্তানের কাজ হলো চাপ দিয়ে বা কায়দা করে কাজ আদায় করে নেয়া৷ আজকের দিনে করপোরেট আইনজীবী, লবিয়িস্ট, ও জনসংযোগ কর্মকর্তাদের কাজের সঙ্গে লেখক তুলনা করেন একে৷
ছবি: Colourbox/A. Gravante
কিছু কাজ প্রয়োজন, কিন্তু না থাকলেও চলে
তৃতীয় ও চতুর্থ ক্যাটাগরিকে এই দলে ফেলেছেন লেখক৷ একদলকে তিনি বলছেন, ‘ডাক টেপারস’, যারা এমন সমস্যা নিয়ে কাজ করেন যা অন্য কেউ করবেন না৷ তিনি একজনের উদাহরণ দেন, যিনি দিনে আট ঘন্টা ব্যয় করেন বয়স্কদের স্বাস্থ্যের অবস্থার রেকর্ড ফটোকপি করতে৷ এই কাজটি প্রযুক্তির সহায়তায় এমনিতেই করা যায়৷ কিন্তু কোম্পানির কর্তারা মনে করেন, তাতে খরচ বেশি হবে৷
ছবি: picture-alliance/Ulrich Baumgarten
টিক দেয়াই যাদের কাজ
লায়লা নামের এক নারীর কাজ ‘করপোরেট কমপ্লায়েন্স’ নিয়ে৷ তিনি মার্কিন কোম্পানিগুলো যাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করে, তাদের দুর্নীতির ইতিহাস আছে কি না চেক করেন৷ প্রচুর শক্ত ‘জার্গন’-এ ভরা রিপোর্ট দেন৷ লায়লা লেখককে নিজেই বলেছেন, যদি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ না থাকলে রিপোর্ট সব একই হয়৷
ছবি: Imago Images/Science Photo Library
এই ম্যানেজারের কাজ কী?
আলফনসো নামের এক ব্যক্তি একটি অনুবাদক দলের ম্যানেজার৷ এই অনুবাদকেরা তাকে ছাড়াই ঠিকঠাক কাজ করেন৷ তার কাজ হলো অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে কাজ নেয়া এবং কাউকে দিয়ে কাজটি করানো৷ তিনি লেখককে বলেন, কাজের চাপ কম হলেও তা ওপরমহলকে উলটোটা বুঝিয়েই কেবল তিনি আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/McP
‘বুলশিট জব’ মানুষকে উদ্দেশ্যহীন করে
লেখক বলছেন, সমাজে মানুষের অবদান কী তা প্রমাণ হয় তার কাজ দিয়ে৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ভোগেন উদ্দেশ্যহীনতায়৷ কারণ নিজের কাজই তার কাছে নিরর্থক মনে হয়৷ তাদের বেশিরভাগ শুধু টাকার জন্য অপছন্দের কাজটি করেন৷ গ্রেবারের তত্ত্ব হলো, অপ্রয়োজনীয় খাতে টাকা ব্যয় না করে, রাষ্ট্র সবাইকে ন্যূনতম খাওয়া পড়ার নিশ্চয়তা দেবে৷ এতে সবার কাজও সমাজের জন্য অর্থপূর্ণ হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa Themendienst/C. Klose
ডেভিড গ্রেবার
মার্কিন নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড রলফে গ্রেবারের জন্ম ১৯৬১ সালে৷ তিনি এখন লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন৷ তাঁর প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে ‘ডেবট: ফার্স্ট ৫০০০ ইয়ার্স’, ‘দ্য ইউটোপিয়া অফ রুলস’ ও ‘বুলশিট জবস: আ থিওরি’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য৷ তিনি একাধিক সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও নৃতত্ত্ববিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন৷
ছবি: picture-alliance/Tagesspiegel/M. Wolff
11 ছবি1 | 11
কীভাবেকাগজপাবেনএইকর্মীরা?
বর্তমানে অ-নথিভুক্ত কর্মীদের বৈধ পারমিট পাবার দুটি পথ রয়েছে৷ এক, ৫০০ ইউরো দিয়ে একটি ফর্ম জমা দিয়ে নথিভুক্ত হওয়া৷ সেই ফর্মে নিয়োগকর্তাকে জানাতে হবে যে, এই কর্মীর সাথে তারা হয় আগে কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে কাজ করতে ইচ্ছুক৷
দুই, ৩১ অক্টোবর ২০১৯-এ যাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা সরাসরি নথিভুক্ত হবার জন্য আবেদন করতে পারেন৷ এর জন্য তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, এতদিন ধরে তারা বৈধ কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন৷ এই দ্বিতীয় পথটি অনেক অ-নথিভুক্ত কর্মীদের জন্য কার্যকর নয়৷
মানবাধিকার আইনজীবী আঙ্গেলা মারিয়া বিটন্টি প্রথম এই ব্যবস্থার সমালোচনা করেন৷ তাঁর মতে, বাস্তব অবস্থা খুব কষ্টকর হওয়ায় অনেক সময় এই কর্মীরা নথি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন৷ দেশের বাড়িতে জমিজমা বিক্রি করে হলেও ঘুস দিয়ে হাতে বৈধ কাগজ পেতে চান তারা৷
অন্যান্য আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা এড়ানো যেতো যদি ইটালির সাড়ে পাঁচ লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সেখানে থাকার অনুমতি দিতো সরকার৷ তাহলে এরকম অবৈধ উপায়ে কাগজ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতেন না তারা৷