1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৫৭ ধারা বাতিলের দাবি

২৫ আগস্ট ২০১৫

২০০৬ সালে প্রণীত তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি উঠেছে৷ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে সংবাদপত্রের সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ অনেকে এই দাবি জানাচ্ছেন৷ দাবিটি বিবেচনা করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী৷

Bangladesch Erster Jahrestag der Shahbagh Bewegung 2014
ছবি: DW/M. Mamun

সম্পাদক পরিষদ এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে৷ তাঁরা মনে করছেন, আইনের ৫৭ ধারাটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি৷

গণজাগরণ মঞ্চ ৫৭ ধারাকে ‘কালো আইন' বলে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে৷ সংগঠনটি বলছে, বিএনপি-জামায়াত তাদের আমলে এরকম কালো আইন তৈরির সাহস করেনি, অথচ কথিত ‘সুকুমার প্রবৃত্তির সরকার' তা করেছে৷

মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার মনে করেন আইনটি সংবিধানের সঙ্গে গণবিরোধী৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই আইনে মতপ্রকাশ করার অপরাধে যে কোনো সময় যে কাউকে জেলে নেওয়া যেতে পারে৷ এই ৫৭ ধারার মতো কালো আইন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনর্থক করে দিতে পারে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকও মনে করেন এটি একটি কালো আইন এবং এটি সংশোধনের জন্য চিন্তাভাবনা করা উচিত৷

মাহমুদ পলাশ সুলতান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাকস্বাধীনতা হরণকারী তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করো৷ আমরা দেশ আর দশের কথা বলতে চাই, লিখতে চাই, পড়তে চাই, জানতে চাই৷''

মাহমুদ শাকিল মনে করছেন, ৫৭ ধারা দিয়ে বাক স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরে শুধু বাকস্বাধীনতাকে হত্যার চেষ্টা চলছে না; বরং এটি বাঙালির পূর্ণ স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরার আনুষ্ঠানিকতা৷

আইনমন্ত্রীর ৫৭ ধারা পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আফজালুর রহমান হেলাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বিতর্কিত ৫৭ ধারা পরিবর্তন হতে যাচ্ছে!! তবে আমাদের দাবি ৫৭ ধারা বাতিল করিতেই হবে৷ না হলে আমারা তাদেরকেই পরিবর্তন করব যারা এই গণবিরোধী আইন করিয়াছেন৷ আমার কথা বলার অধিকার আপনি কেড়ে নিবেন তা হতে পারে না৷ এটা বাংলাদেশ, একটি স্বাধীন দেশ৷ আর স্বাধীন দেশে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না, তা কি করে হয়?''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ