যুবলীগ নেতারা জড়িয়েছেন ক্যাসিনো ব্যবসায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টেন্ডার-চাঁদাবাজিতে আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা করেন সিন্ডিকেটেড ব্যবসা৷ সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো মূল কাজ থেকে এখন অনেক দূরে৷
বিজ্ঞাপন
চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে শোভন ও রাব্বানীকে সরিয়ে দেয়া হয় গত মাসে৷ সংগঠন চলছে এখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে৷ আর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এখন নিষ্ক্রিয়৷ যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ গা ঢাকা দিয়েছেন আরো অনেক নেতা৷ তাই এইসব সংগঠনে দ্রুত কাউন্সিল করে নেতৃত্বের বদল ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ৷ শীর্ষ পর্যায় থেকে চাপ আছে বিতর্কিত নেতৃত্ব বাদ দেয়ার৷
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারের নামও আছে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে৷ আছে কৃষকলীগ নেতার নাম৷ আর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ সংসদ সদস্য হলেও তার মূল জায়গা পরিবহন ব্যবসা৷
আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল৷ তার আগেই প্রায় সব সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের কাউন্সিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাউন্সিল ও নতুন কমিটি গঠনও করতে চায় দলটি৷ এজন্য ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর৷
জানা গেছে, ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং যুবলীগকে ২৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ আর ছাত্রলীগের মেয়াদ আছে আগামী মে মাস পর্যন্ত৷ তারপর কাউন্সিল হবে৷
বাংলাদেশের সবচেয়ে গুণী নেতৃবৃন্দই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
সহযোগী সংগঠনগুলোর এই দুরবস্থা নিয়ে দলে ব্যাপক সমালোচনা আছে৷ তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘‘সেচ্ছাসেবক লীগের কাজ কী? সাধারণ মানুষের পাশে থাকা, দলের উন্নয়নে কাজ করা৷ কিন্তু নেতারা কাজ করছেন নিজের উন্নয়নের জন্য৷ যুবলীগের কাজ কী? যুব সমাজের উন্নয়নে কাজ করা৷ কিন্তু দেশে এত বেকার তাহলে যুবলীগ কী করে? তারা নিজেদের অর্থ বিত্ত বাড়াতে ব্যস্ত৷ নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে৷ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনেরও একই অবস্থা৷ কোনোটাই আর সংগঠনের মূল কাজে নেই৷ সবাই ব্যস্ত নিজেদের স্বার্থে৷ ফলে মূল রাজনীতিই সংকটে পড়েছে৷ আওয়ামী লীগেও এখন বহিরাগতদের ভীড়৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এটা উপলব্ধি করেছেন৷ তাই তিনি একদিকে যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন৷ তেমনি দলকেও পরিশুদ্ধ করার কাজে নেমেছেন৷ আমরা আশা করি যোগ্য, দলের প্রতি অনুগত এবং সৎ নেতা-কর্মীরা এবার মূল এবং বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে আসবেন৷’’
এখন সবার উপরে আলোচনায় রয়েছে যুবলীগের কাউন্সিল৷ যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ক্যাসিনো বিতর্কে জড়িয়ে এখন আর যুবলীগ অফিসেই যান না৷ এমনকি তাকে ছাড়াই মিটিং করে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, ‘‘সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে ছাড়াই আমাদের কাউন্সিল হবে৷ তিনি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রাখছেন না৷ কাউন্সিলের আগে ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুবলীগ নিয়ে বৈঠক আছে৷ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকেও তিনি আমন্ত্রিত নন৷ তিনি শেষ পর্যন্ত যুবলীগের নেতৃত্বে থাকছেন কিনা তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে৷’’
যুবলীগে বিতর্কিতদের নেতা নির্বাচন করা হয়না: হারুন অর রশীদ
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন সংগঠনের আদর্শিক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ কোনো বিতর্কিত লোক যুবলীগে ঠাঁই পাবে না৷ যুবলীগে বিতর্কিতদের নেতা নির্বাচন করা হয় না৷ যুবলীগে এসে ব্যক্তিগত লোভ লালসার কারণে কেউ কেউ বিতর্কিত হয়৷’’
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিলের টার্গেট কী? নেতৃত্বে কি গুণগত পরিবর্তন আসছে? এই প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এটা নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তনের বিষয় নয়৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুণী নেতৃবৃন্দই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ তারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি হচ্ছে, জনসমর্থন আছে৷ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আছে৷ কিন্তু এখানে ক্ষমতার আড়ালে বিভিন্ন পর্যায়ে অনৈতিক কিছু ঘটনা ঘটছে যেগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, যেহেতু আমরা একটা উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি৷ দেশে আইনের শাসন যেহেতু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই আইনের আওতার বাইরে কোনো কর্মকাণ্ড থাকবে না৷ সবকিছু আইনের আওতায় আনা হবে৷ আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড চলতে পারবে না৷’’
ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক নৃশংসতা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ৷ বিশ্বজিৎ থেকে আবরার পর্যন্ত তাদের নির্যাতনে মারা গেছে বেশ কয়েকজন৷ কেউ হারিয়েছেন দৃষ্টি, কারো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে শরীরের হাড়৷ বিচার হয়নি অনেক ঘটনারই৷
ছবি: bdnews24.com
দখলবাজির শিকার আবু বকর
২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শক্ত ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে আবু বকরের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়৷ এই হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়৷ ২০১৭ সালে আদালতের রায়ে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পায়৷ (ছবি: সাম্প্রতিক)
ছবি: bdnews24.com
খাবার নিয়ে বিরোধে হত্যা
২০১০ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ইফতারের টোকেন সংঘর্ষ বাধে রাজশাহী ছাত্রলীগের মধ্যে৷ তার জের ধরে দলটির কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে পিটিয়ে শাহ মখদুম হলের দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়৷ এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ১০ জন, যাদের সবাই এখন জামিনে৷
ছবি: DW/A. Khanom
জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা
২০১২ সালে জানুয়ারিতে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের৷ তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তারই সংগঠনের প্রতিপক্ষরা৷ এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন৷ গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রাখে হাইকোর্ট৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজনই পলাতক৷
ছবি: bdnews24.com
দুর্ভাগা বিশ্বজিৎ
বিশ্বজিৎ দাস ছিলেন পুরান ঢাকার একজন দর্জি৷ ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নৃশংস হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়৷ সেসময় ১৮ দলের অবরোধ চলছিল৷ বিশ্বজিৎ শিবির কর্মী এমন ধারণা করে তাঁকে চাপাতি, কিরিচ দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ আলোচিত এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে আট আসামির মৃত্যুদণ্ড হলেও চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন, দুইজনকে খালাস আর পলাতক দুইজনের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট৷
ছবি: bdnews24.com
বাদ যায়নি শিশুও
২০১৩ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় মারা যায় ১২ বছরের শিশু রাব্বি৷
ছবি: bdnews24.com
আধিপত্য বিস্তারের বলি তাপস
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস সরকার৷ ২০১৬ সালে এই ঘটনায় ২৯ নেতাকর্মীর নামে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ৷ মূল আসামী আশরাফুজ্জামানসহ গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনই জামিনে পান৷ (ছবি: প্রতীকী)
ছবি: Fotolia/Scanrail
খাদিজার মৃত্যুর কাছ থেকে ফেরা
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবরের ঘটনা৷ এমসি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পরই খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)-র ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম৷ নার্গিসকে মৃত ভেবে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা বদরুলকে আটক কোরে পুলিশে দেয়৷ আলোচিত এই ঘটনায় বদরুলের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছে আদালত৷
ছবি: bdnews24.com
হেলমেট বাহিনীর হামলা
গত বছর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র কিছু যুবক ধানমন্ডি, জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে৷ হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে পরিচয় সহ খবর বের হয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, কারও বিচারও হয়নি৷
ছবি: Bdnews24.com
হাতুড়ি মামুনদের বিচার হয়নি
দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে৷ তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গত বছরের ২ জুলাই৷ তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পেটায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী৷ তাকে হাতুড়ি পেটা করে দলটির সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷
ছবি: bdnews24.com
চোখ হারানো এহসান
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে এহসান নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ নিজের ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে এই হামলা চালায় তারা৷ এসময় তাকে শিবির কর্মী বলেও অপবাদ দেয়া হয়৷ হামলায় এহসানের চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয়৷ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার হলেও তারা হলে থাকতেন বলে খবর বের হয়৷ অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় দেশ ছাড়ে এহসান৷
ছবি: bdnews24.com
আহ্ আবরার!
সবশেষ ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হল বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ৷ রাত ২টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা আগের দিন সন্ধ্যায় তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে৷ আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন, যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন ৷
ছবি: bdnews24
১০ বছরে ২৪ হত্যা
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত ১০ বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ যার প্রায় সবগুলোর সাথেই ছাত্রলীগ জড়িত রয়েছে৷ এর মধ্যে ১৭ টিই ঘটেছে নিজেদের অন্তর্কোন্দলে৷ সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত ১০ বছরে সেখানে ৮ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷
ছবি: bdnews24
ইচ্ছে হলেই মারধর, হামলা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচীতে ইচ্ছে হলেই হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা৷ কোটা আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সময় মারধর করেছে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা৷ গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনেও ছাত্রলীগের হামলা এবং ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা ঘটে৷ একাধিকবার তাদের হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর৷