1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২২ জুলাই ২০১৮

খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগের পরও বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছে না৷ তাদের সিদ্ধান্ত, যতই অনিয়ম হোক, জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সরকারের অধীনে সব নির্বাচনেই অংশ নেবে৷ কিন্তু কেন?

Bangladesch Parlament | Gebäude
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online/Tips Images

৩০ জুলাই দেশের তিনটি সিটি কর্পোরেশন বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনায় নির্বাচন৷ বিএনপি তিন সিটিতেই মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে৷ সিলেটে শুরুতে জামায়াতের প্রার্থী থাকলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হয়েছে৷ তিন সিটির বিএনপি প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন পুরোদমে৷ তবে এরইমধ্যে তাঁরা পুলিশি হয়রানি, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷

রবিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘‘তিন সিটিতে নৌকার প্রার্থীকে জেতাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কাজ করছে৷''

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনে গত ২-৩ দিনে জনসমর্থনহীন নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আইনশৃংখলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা খুলনা-গাজীপুরের সন্ত্রাসের আবহে নতুন মডেলের ভোট জালিয়াতির আসল রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে৷ বিএনপি নেতাকর্মীদের রাত-দিন গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী৷''

তিনি দাবি করেন, ‘‘তিন সিটিতে খুলনা ও গাজীপুরের মতোই ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ নির্বাচনি এলাকাগুলোতে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় বাধা, ধানের শীষের সমর্থক ও এজেন্টদের সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং তা অস্বীকার করা হচ্ছে৷''

বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে৷ তাদের দাবি ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ আর সেই দাবিতে তারা এখনো অনড় আছে৷ তারপরও বিএনপি কেন এই সরকারের অধীনেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে?

Ahmed Azam Khan - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চয়ই জানি গাজীপুর এবং খুলনার মত রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে বিএনপি'র বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার শঙ্কা আছে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে৷ তারপরও আমার তিনটি কারণে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি৷ তারা সিল মেরে নেয় নিক৷ তারপরও এই যে ভোটের বিকৃতি তা জনগণ দেখুক৷ আনচ্যালেঞ্জড যাতে না যেতে পারে৷ যেন বলতে না পারে যে নির্বাচন তো নিরপেক্ষ হতো, বিএনপি আসেনি৷ বিএনপি মিথ্যা অজুহাত দিচ্ছে৷ এটা যাতে এই সরকার না বলতে পারে৷''

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি৷ ‘‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে৷ আমরা এক একজন একজন করে ভোটারের কাছে যাব আর তাদের জানিয়ে দেবো এই সরকার একাধিক মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই যে নির্বাচনের করুন দশা তার মাধ্যমে বিশ্ববাসী এবং দেশবাসীকে জানিয়ে দেয়া, বুঝিয়ে দেয়া যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷ জাতীয় নির্বাচন আমরা যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই তার যৌক্তিতা প্রমাণ হবে৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা এরইমধ্যে আমাদের এই কৌশলের সুফল পেতে শুরু করেছি৷ দেশবাসীতো জানেই, এর বাইরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷''

Khalid Mahmud Chowdhury - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিএনপি'র এই কৌশলের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিএনপি'র অতীত রাজনীতি যদি আমরা দেখি তাহলে দেখবো তাদের কথায় আর কাজে কোনো মিল নাই৷ তারা যখন জিতে যায় তখন বলে ভোট সুষ্ঠু হলে আরো বেশি ভোটে জিততাম৷ তাদের কাজই হল নির্বাচনকে বিতর্কিত করা৷

তিনি বলেন, ‘‘মির্জা ফখরুল বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ২০টির বেশি আসন পাবেনা৷ এটা কোনো কথা! তারা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করেনা৷ তারা চায় ২০০১ (১৫ ফেব্রুয়ারি) সালের মত একটা নির্বাচন হোক৷ তারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না, সংসদ মানে না, আদালতকে মানতে চায়না৷ তারা চায় একটা নৈরাজ্য, তারা চায় বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি'র কথা মত যদি দেশ চলে তাহলে আর মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেনা৷ পাকিস্তানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে৷ মাটি থাকবে মানুষ থাকবেনা এখানে৷ বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গি ও নৈলাজ্যের রাজনীতি কখানোই ছাড়বেনা৷ তাদের কথাবার্তায় তা এখনো স্পষ্ট৷ বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিএনপি'র এই ধরণের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হবেনা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ