1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে কেক খাবার আগেই ফেটে যায়!

৫ মার্চ ২০২১

ভালো কেক-পেস্ট্রি খেতে কার না ভালো লাগে৷ পরিচিত সম্ভারের বাইরেও কত ধরনের সৃষ্টি যে থাকতে পারে, বিশ্বের কিছু কনফেকশনরি তা যুগে যুগে পরিবেশন করে চলেছে৷ স্পেনের বার্সেলোনা শহরে এক দম্পতি এমনটাই করে চলেছেন৷

খাবার আগেই ফেটে যাওয়া কেক
খাবার আগেই ফেটে যাওয়া কেকছবি: Hans Gissinger

কেকের মধ্যে বিস্ফোরণ অথবা তার উপর মিষ্টি দিয়ে তৈরি প্রাণী৷ কখনো বা চকোলেট দিয়ে তৈরি জলপ্রপাত৷ বার্সেলোনার কেক-পেস্ট্রি প্রস্তুতকারক ক্রিস্টিয়ান এস্ক্রিবা এ সব সৃষ্টি করেছেন৷ অদ্ভুত ও সৃজনশীল সব আইডিয়া তাঁর মাথায় ঘোরে৷ এমন অপ্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘‘আমাদের কাজের নীতি তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ আমরা বিস্ময়, উৎসাহ এবং এক অনবদ্য মুহূর্ত সৃষ্টি করতে চাই৷''

স্পেনের এই কেক প্রস্তুতকারক যতটা সম্ভব টেকসই পদ্ধতিতে স্থানীয় ও মৌসুমি উপকরণ ব্যবহার করেন৷ কেক-পেস্ট্রির মধ্যে এমন চমকপ্রদ প্রভাব আনার ক্ষেত্রে ক্রিস্টিয়ান এস্ক্রিবা অন্যতম পথিকৃৎ৷ গত শতাব্দীর আশির দশক থেকেই তিনি বিস্ফোরণরত কেক বানিয়ে চলেছেন৷ এমন উদ্ভট উদ্ভাবনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘পার্টির সময়ে অনেকেই কেকের ভাগ না পাবার আশঙ্কা করে৷ তাদের আমি সবসময়ে বলি – অপেক্ষা করো, অবশ্যই কেকের ভাগ পাবে৷ কারণ বিস্ফোরণ ঘটলে কেকের টুকরো ৫০ মিটার দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে৷''

কেকের উপর প্রাণী, জলপ্রপাত তৈরি করেন এস্ক্রিবা

04:08

This browser does not support the video element.

বার্সেলোনা শহরের কেন্দ্রস্থলে গ্রান ভিয়া সড়কের ধারে ক্রিস্টিয়ানের দোকানের একটি শাখা রয়েছে৷ ১৯০৬ সালে সেখানেই এই কনফেকশনরির যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ পারিবারিক এই ব্যবসা তাঁর বাবা আন্তোনি এস্ক্রিবার দৌলতে গোটা বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠেছিল৷ তিনি ‘চকোলেটের জাদুকর' হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷

এখন চতুর্থ প্রজন্ম এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে৷ বার্সেলোনা শহরে চারটি দোকানে অভিনব কেক-পেস্ট্রি বিক্রি হয়৷ বিশেষ অর্ডার অনুযায়ীও সে সব সরবরাহ করা হয়৷

১০ বছর ধরে ক্রিস্টিয়ান এস্ক্রিবা তাঁর স্ত্রী পাট্রিসিয়া স্মিটের সঙ্গে কাজ করছেন৷ ব্রাজিলীয় এই নারী ফন্ড্যান্ট কেক তৈরির কাজে হাত পাকিয়েছেন৷ চিনির তাল নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার সুবাদে তিনি কেকের ডেকরেশনের দায়িত্বে রয়েছেন৷ পাট্রিসিয়া বলেন, ‘‘আমি চিনির তাল এবং ক্রিস্টিয়ান ক্যারামেল ও মেরিংগ বিশেষজ্ঞ৷ আমি ফন্ড্যান্ট, চিনির তাল, গাম পেস্ট এবং গ্লেজ নিয়ে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি৷ আমি কাজের সূত্রে এবং ক্রিস্টিয়ানের সঙ্গে বাস করতে স্পেনে এসেছিলাম৷ তখনই সে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল৷ তিন মাস পরেই বিয়ে হলো৷ দেখতে দেখতে দশ বছর পেরিয়ে গেছে৷''

৪০ জনের এক আন্তর্জাতিক টিম নিয়ে এই দম্পতি সব সময়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করে চলেছেন৷ বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানে নতুন কিছু পরিবেশনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন তাঁরা৷ ক্রিস্টিয়ান এস্ক্রিবা বলেন, ‘‘আমাদের তৈরি মিষ্টি খেয়ে মানুষের মুখে বিস্ময় ও আবেগ দেখলে উপলব্ধি হয়, যে এটাই তো চেয়েছিলাম৷ এই অনুভূতিই তো আমাকে আনন্দ দেয়৷''

৪০ বছরেরও বেশি সময়ের পেশাদারী জীবনের পর ক্রিস্টিয়ান এস্ক্রিবা এবার কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারেন৷ মাথায় কিন্তু পরের ‘মিষ্টি আইডিয়া' ঘুরতেই থাকে৷

ডিয়ানা পিনিয়েরোস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ