1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে তিনটি বিষয়ে ট্রাম্প ও ক্লিনটন একমত

১৮ অক্টোবর ২০১৬

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আর হিলারি ক্লিনটনের মত পরস্পরের বিপরীত৷ কিন্তু এমন তিনটি বিষয় আছে যেখানে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাস্তবিক একমত৷

US TV Debatte Trump vs Clinton
ছবি: Reuters/L. Nicholson

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিরোধিতা

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমকগুলির মধ্যে একটি হলো এই যে, উভয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুক্ত বাণিজ্যের বিরোধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন৷ ট্রাম্প আর ক্লিনটন দু'জনেই ঘোষণা করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁরা টিপিপি বা ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি আটকে দেবেন, যদিও এই চুক্তি নিয়ে যাবতীয় আলাপ-আলোচনা ইতিমধ্যেই সাঙ্গ৷

ব্যাপারটা লক্ষণীয়, কেননা, যেমন ডেমোক্র্যাট, তেমনি রিপাবলিকানরা প্রথাগতভাবে মুক্ত বাণিজ্য সমর্থন করে এসেছে৷ রিপাবলিকান দল তো চিরকালই নিজেদের মুক্ত বাণিজ্যের প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করে৷ ডেমোক্র্যাটরা মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্কে অতটা উৎসাহী না হলেও, বিল  ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সি চলাকালীন উত্তর অ্যামেরিকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মতো বিতর্কিত বিল পাশ হওয়ার পিছনে ছিল ডেমোক্র্যাটরা৷

দ্বিতীয়ত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিন্টন নিজেই টিপিপি সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় অংশ নিয়েছেন৷ কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে বার্নি স্যান্ডার্সের মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর অবস্থান বদলাতে বাধ্য হন৷ কাজেই ক্লিনটন আজ টিপিপি বিরোধী৷ অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার বিষোদ্গার করেছেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন মেক্সিকোর মতো দেশে ‘আউটসোর্স' করেছে বলে, অথচ তিনি নিজেও তার ব্যবসায়ে ঠিক তা-ই করে থাকেন৷

যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোয় বিনিয়োগ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাস্তাঘাট, সেতু, বিমানবন্দর বা জলপথগুলির জীর্ণদশা৷ কাজেই অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্লিনটন ও ট্রাম্প, উভয়েই৷ ক্লিনটন জানিয়েছেন, তিনি অবকাঠামোর আধুনিকীকরণে পাঁচ বছরে মোট ২৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবেন৷ ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অন্তত তার দ্বিগুণ ব্যয় করবেন অবকাঠামোর উন্নতিসাধনে৷ উভয়েরই প্রত্যাশা যে, এই বিনিয়োগের ফলে হাজার হাজার নতুন চাকুরি সৃষ্টি হবে৷ অবকাঠামোর উন্নতি ভোটারদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ: সাম্প্রতিক এক জরিপে ৬৮ শতাংশ রিপাবলিকান, ৭০ শতাংশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও ৭৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ভোটাররা এই মত প্রকাশ করেছেন যে, ওয়াশিংটনের দেশের অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানো উচিৎ৷

যুদ্ধফেরত সৈন্যদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা

ট্রাম্প ও ক্লিনটন, উভয়েই তথাকথিত ‘ভেটারানস' হেল্থ অ্যাডমিনস্ট্রেশন'-এর আমূল সংস্কার করে যুদ্ধফেরত মার্কিন সৈনিকদের জন্য উন্নততর স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করতে চান৷ কাজটা খুব সহজ হবে না: দেশের প্রায় দু'কোটি সাবেক সৈন্য ও তাদের পরিবারের ভোট খুব কম নয়৷ তবে ট্রাম্প যেখানে তথাকথিত ‘ভেটারান'-দের বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবার পক্ষে, ক্লিনটন তার বিরোধী৷

প্রতিবেদন: মিশায়েল ক্নিগে/এসি

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ