1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে দেশের পাসপোর্ট মূল্যহীন

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জাতিসংঘের কোনো সদস্যই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার অস্তিত্ব স্বীকার করে না৷ বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট এই দেশের নাগরিকদেরই৷

ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার জনগণছবি: picture-alliance/dpa/S. Savostyanov

ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের দেশ মলডোভা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই এই দেশ৷ ইউক্রেন ও মলডোভার মাঝামাঝি এক চিলতে জমির নাম ট্রান্সনিস্ট্রিয়া৷ কাগজে কলমে এই দেশের নাম প্রিডনেস্ট্রোভিয়ান মলডোভিয়ান রিপাবলিক বা পিএমআর৷ কিন্তু আসলে এই দেশের কোনো অস্তিত্বই নেই৷

মানচিত্রে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার অবস্থান

বর্তমানে, জাতিসংঘের সদস্য সবকটি দেশই মনে করে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া আসলে মলডোভারই অংশ৷ কিন্তু ১৯৯০ সালে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া নিজেকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা করলে শুধু দক্ষিণ ওসেটিয়া, আর্টসাখ ও আবখাজিয়ার মতো আধাস্বীকৃত দেশগুলিই তাকে পূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকার করে৷

মাত্র সাড়ে পাঁচ লাখ জনবসতির এই দেশের মানুষ একসাথে দুই বা তিন দেশের নাগরিকত্ব রাখতে পারেন৷ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আবার রাষ্ট্রহীন

অর্থহীন যে পাসপোর্ট

দেশটির ৯০ শতাংশ মানুষই ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার নাগরিক হবার পাশাপাশি হয় মলডোভা, রাশিয়া বা ইউক্রেনের নাগরিক৷ ফলে, ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট থেকেও নেই৷ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে কোথাও যেতে হলে তাই ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার বাসিন্দাদের ভরসা এই তিন পাসপোর্টই৷

সমীক্ষা বলছে, স্বাধীনতা ঘোষণার পর প্রায় তিন দশক কেটে গেলেও ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার রাজধানী টিরাসপোলের জনসংখ্যা কমছে৷ বেশির ভাগ মানুষই জীবিকার খোঁজে পাড়ি দিয়েছেন রাশিয়ায়৷ স্থানীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের গর্ব থাকলেও বাস্তবিক চিত্র নিয়ে রয়েছে হতাশাও৷

বিবিসি'র একটি প্রতিবেদনে রয়েছে ৪৫ বছর বয়েসি ট্রান্সনিস্ট্রিয়ান নারী ভেরা গালচেংকোর কথা৷ তিনি সেখানে বলেছেন, ‘‘আমাদের দুঃখ হয় যে আমাদের স্বাধীনতা স্বীকৃত নয়, কিন্তু তাও আমরা স্বাধীনতা অনুভব করি৷ আমাদের নিজস্ব সংবিধান, সরকার, সামরিক বাহিনী, টাকা এমনকি পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার স্বীকৃতি নেই৷’’

এসএস/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ