1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে দেশে বিদেশি বেতার শোনার শাস্তি জেল

২৬ এপ্রিল ২০১৭

প্যারিসভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বা আরএসএফ- এর সবশেষ ‘প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’-এ একেবারে তলার নামটি উত্তর কোরিয়ার৷ এক দশক ধরে সেখানে নাম থাকা ইরিত্রিয়াকে এবার সরিয়ে দিয়েছে তারা৷

Medienfreiheit
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez

বুধবার এই সূচক প্রকাশ করে জাতিসংঘের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা সংগঠন আরএসএফ৷ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে তারা প্রতিবেদনে লিখেছে,‘‘এমনকি বিদেশি রেডিও শোনার জন্য কারও অবস্থান হতে পারে কনশেনট্রেশন ক্যাম্পে৷’’ উল্লেখ্য, বিরোধী মতের লোকজনকে আটকে রাখার জন্য উত্তর কোরিয়ায় কয়েকটি‘পলিটিক্যাল প্রিজন ক্যাম্প’ রয়েছে৷ সেখানকার বন্দিদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷ দিনের পর দিন বন্দিদের খেতে না দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে জানা গেছে৷

আরএসএফ-এর সূচকে সবার ওপর আছে নরওয়ের নাম৷ অর্থাৎ সারা বিশ্বে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার এই দেশটির গণমাধ্যম সবচেয়ে স্বাধীন বলে জানতে পেরেছেন আরএসএফ-এর গবেষকরা৷ প্রতিবেদন তৈরিতে তাঁরা ১৮০টি দেশের গণমাধ্যম নিয়ে গবেষণা করেছেন৷

আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য

  • সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী দেশ সিরিয়া৷ ২০১৬ সালে সেখানে ৬১ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন৷ নেটিজেন নিহত হয়েছেন ৯ জন৷ আর ৮ জন গণমাধ্যম সহকারী মারা গেছেন৷ আর ২০১৭ সালে সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ সাংবাদিক, ২ জন নেটিজেন ও একজন গণমাধ্যম সহকারী৷ এছাড়া এই মুহূর্তে সেখানে আটক আছেন ১৯৩ জন সাংবাদিক৷
  • সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল হিসেবে নাম এসেছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার৷
  • বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমেছে৷
  • ফিনল্যান্ডের (৩) প্রধানমন্ত্রী ইউহা সিপিলের বিরুদ্ধে দেশটির সরকারি প্রচারমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর সেখানকার সম্পাদকীয় বিভাগে সিপিলে ২০টি ইমেল পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এর ফলশ্রুতিতে ঐ গণমাধ্যমের প্রধান সম্পাদক প্রচারের অপেক্ষায় থাকা অন্য প্রতিবেদনগুলোর প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷
  • নিউজিল্যান্ডে (১৩) গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ক্ষমতা অনেক বাড়ানো হয়েছে৷
  • ক্যানাডায় (২২) যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে পুলিশি তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাঁদের ওপর নজরদারি করেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা৷
  • ব্রিটেনে (৪০) গোয়েন্দা নজরদারির হাত থেকে সাংবাদিকদের বাঁচাতে যে আইন ছিল তা ইচ্ছাকৃতভাবে খর্ব করা হয়েছে৷
  • যুক্তরাষ্ট্রে (৪৩) বিক্ষোভের ওপর খবর প্রকাশ করা সাংবাদিকদের বিচার করা হয়েছে৷ আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করা হয়েছে৷
  • জার্মানিতে (১৬) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন৷ হুইসেলব্লোয়ারদের বিরুদ্ধে আইন করায় জার্মানির সমালোচনা করেছে আরএসএফ৷
  • সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ নম্বরে৷ সংবিধান ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে সরকার ভালো চোখে দেখে না বলে মন্তব্য করেছে আরএসএফ৷

আরএসএফ-এর প্রধান নির্বাহী মাইকেল রেডিস্ক বলছেন, ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতারা গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বাতিল করতে তাঁদের ক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছেন, যা আতঙ্কের বিষয়৷

অ্যালিস্টেয়ার ওয়ালশ, ভল্ফগাঙ ডিক/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ