1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফ্রি’ ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার?

গ্রিট হোফমান/জেডএইচ১৮ মে ২০১৬

উত্তর ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়া৷ মাত্র ১৩ লক্ষ মানুষের বাস সেখানে৷ যে কোনো সময় যে-কোনো স্থানে তাঁরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন৷ কারণ সরকার মনে করে এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার৷

এস্তোনিয়ায় ওয়াইফাই পাওয়া যায় একেবারে বিনামূল্য!
ছবি: picture-alliance/dpa/Estonian Tourist Board

শুধু বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নয়, প্রায় সব ধরণের সরকারি সেবাও পাওয়া যায় অনলাইনে৷

বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মার্কোস ইসোটাম প্রোগ্রামিং করছে পাঁচ বছর বয়স থেকে৷ সেসময় মিনি রোবট নিয়ন্ত্রণের সফটওয়্যার তৈরি করেছে সে৷ মার্কোস বলছে, ‘‘সফটওয়্যার বানাতে চাইলে আপনাকে এমন পারদর্শী হতে হবে, যেন আপনি যা চান, রোবট ঠিক তাই করে৷ আমি এস্তোনিয়ার সেরা প্রোগ্রামার হতে চাই৷''

এস্তোনিয়ার এই অবস্থার পেছনে আছেন সরকারের আইটি উপদেষ্টা সিম সিকুট৷ ডিজিটাল আইডি দিয়ে তিনি তাঁর সব ডিজিটাল তথ্য দেখতে পারেন৷ যেমন ব্যক্তিগত তথ্য ও চিকিৎসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আয় সংক্রান্ত তথ্য৷ মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আয়করও দাখিল করতে পারেন৷

‘ডিজিটাল এস্তোনিয়া’ – ইন্টারনেট বিশ্বের স্বপ্ন

04:23

This browser does not support the video element.

তবে সমস্যা হলো, আগে থেকে ব্লক না করলে অন্যরাও এ সব তথ্য দেখতে পান৷ সিম সিকুট বলেন, ‘‘আমরা নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ দিয়েছি৷ কে বা কারা তথ্য দেখছে লগবুকের মাধ্যমে তা জানা যায়৷ যেমন এখানে আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার পারিবারিক ডাক্তার ও দাঁতের চিকিৎসক আমার তথ্য দেখেছেন৷

সেটা ঠিক আছে৷ কিন্তু যদি দেখি, এমন কেউ আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য দেখছে, যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি৷ এভাবে পুলিশ ও নার্সদের শাস্তি পাওয়ারও উদাহরণ আছে৷''

সব কিছু অনলাইন হওয়ার কারণে বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি৷

তবে এমন ডিজিটাল ব্যবস্থা অরক্ষিতও বটে৷ ২০০৭ সালে একবার সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল এস্তোনিয়া৷ এখন তারা দেশের বাইরের সার্ভারে ব্যাকআপ স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছে৷

সিম সিকুট বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত কিংবা অন্য কোনো কারণে ডিজিটাল ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিলেও আমাদের সরকার পুরোপুরি কাজ করতে পারবে, নাগরিকরা সব সেবা ব্যবহার করতে পারবেন৷ কারণ ভবিষ্যতে দেশের বাইরে স্থাপিত সার্ভারে সব তথ্য জমা থাকবে৷ ফলে আমরা সব সেবা দিতে পারবো৷''

এমন পরিবেশ পেয়ে একের পর এক স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে উঠছে৷ আলভার লুমবার্গ ও তাঁর এক সহকর্মী মাত্র ১৮ মিনিটে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন৷ এ জন্য তাদের কারও সঙ্গে কথা বলতে হয়নি কিংবা জটিলতা পোহাতে হয়নি৷

তাদের কোম্পানি অনলাইনে অর্থ প্রেরণ সুবিধা দিয়ে থাকে – ব্যাংকের চেয়ে কম দামে৷

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয় এস্তোনিয়া৷ এরপর একেবারে নতুন করে শুরু করে দেশটি৷

বিদেশি কোম্পানিগুলো যেন এস্তোনিয়ার ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করতে পারে সেজন্য সরকার তাদেরও ‘ই-রেসিডেন্সি' সুবিধা দিচ্ছে৷ এই বিষয়টিকে অন্যায় হিসেবে দেখছেন না তাঁরা৷ উদ্যোক্তা লুমবার্গ বলেন, ‘‘আমাদের দেশ ছোট৷ তাই, শুধু এস্তোনিয়ার বাজারের জন্য কিছু বানানোর মানে নেই৷ এ কারণে শুরু থেকেই আপনাকে বৈশ্বিক পরিসরে ভাবতে হবে৷ আর সেটা শুরু করা মানেই আপনি বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে গেছেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ