এক বানরকে নিয়ে মেতে উঠেছে ইন্টারনেট৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেরই দাবি, বাঁদর মহাশয়ের মুখশ্রী একেবারে মানুষের মতো৷
বিজ্ঞাপন
ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ ও বানরের আদিপুরুষ একই৷ অর্থাৎ, একই জেনেটিক ধারার দু'টি পথ দুইদিকে গেছে বেঁকে৷ কিন্তু এই একজন খুব বেশিদূর বোধ হয় যায়নি৷ কাছাকাছি রয়ে গেছে৷ বলা হচ্ছে, এক বানরের কথা, যার মুখ মানুষের মতো৷
এই বানরটির আপাত নিবাস চীনের তিয়ানজিন চিড়িয়াখানায়৷ একে নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়৷
টুইটারের মতো চীনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবোতে এই ভিডিও দেখা হয়েছে কমপক্ষে আশি লাখ বার৷
নেটিজেনরা ১৮ বছর বয়সি এই বানরের চোখ ও মুখের দিকে ইঙ্গিত করে একে একেবারে মানুষের প্রতিচ্ছবি বলে উল্লেখ করেন৷ পরে চীনের নিউজ নেটওয়ার্ক সিজিটিএন রোববার ভিডিওটি ইউটিউবে ছাড়ে৷ তাদের মতে, কালো মাথার এই কাপুচিনরা মূলত মধ্য ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার বাসিন্দা৷ এদের উচ্চ বুদ্ধিমত্তা ও হাতের দক্ষ গঠনের জন্য চলচ্চিত্র ও টিভি শুটিংয়ে খুব ব্যবহার করা হয়৷
জেডএ/এসিবি
মানুষ এবং গোরিলার মধ্যে মিল কতটা?
আমরা কি গোরিলাদের চেয়ে শুধুই কিছুটা আধুনিক? সামাজিক চেতনা এবং সংস্কৃতির বিচারে মানুষ এবং বানরের মধ্যকার ব্যবধান আমাদের মুগ্ধ করেছে৷ বার্লিনে এক প্রদর্শনীতে মানুষ এবং গোরিলার মধ্যকার মিল, অমিল শৈল্পিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: Filip Van Dingenen (Detail)
সাহিত্যে বনমানুষ
বিভিন্ন সময় নানা ধরনের শিল্পে স্থান পেয়েছে গোরিলা বা বানর৷ ই.টি.এ হফমান, ভিলহেল্ম হাউফ এবং ফ্রানৎস কাফকার মতো লেখকরা বনমানুষদের সাহিত্যে স্থান দিয়েছেন৷ সত্তরের দশকে নারী ‘টকিং গোরিলা’ কোকো বেশ সাড়া জাগিয়েছিল৷
ছবি: Les Films du Losange (Detail)
সুন্দরীর সঙ্গে শিম্পাঞ্জির প্রেম
বার্লিনের একটি মিউজিয়াম ‘হাউস ডেয়ার কুলটুরেন ডেয়ার ভেল্ট’ শিল্পকলায় বনমানুষদের অবস্থান নিয়ে গবেষণা করছে৷ এখানে একজন কূটনীতিকের স্ত্রী একটি শিম্পাঞ্জিকে বেছে নিয়েছেন প্রেমিক হিসেবে৷ ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কমেডি ছবি ‘মাক্স, মন আমোর’ বা ‘মাক্স, আমার প্রেমিক’-এর দৃশ্য এটি৷
ছবি: 2015 STUDIOCANAL GmbH, Berlin
বিশিষ্ট ভাবুক?
২০০৮ সালে শিল্পি ক্লাউস ভেবারের তৈরি এই ফটো কোলাজে একটি প্লাস্টিকের তৈরি বনমানুষকে ‘ভাবুক’ হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আর তার চারপাশে কমিক বাবলসের মতো রয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির মুখাবয়ব৷
ছবি: Klaus Weber
বানর এবং তার ক্ষমতা
ইন্দোনেশিয়ায় জাভার সংস্কৃতিতে ভগবান হনুমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র৷ ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য মাস্কড মাংকিস’ ছবিতে জাভার বানর ও তাদের মালিকদের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং কর্মপরিবেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: Anja Dornieden & Juan David González Monroy (Detail)
মানুষের মুখোশ
নিজের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি তৈরির ক্ষেত্রে ইউটিউব-এর একটি ভিডিও ছিল ফরাসি শিল্পী পিয়ের উইঘের প্রেরণা৷ ভিডিও-র ‘ফুকু-চান মাংকি ইন উইগ, মাস্ক, ওয়ার্কস রেস্টুরেন্ট’ ক্লিপে একটি পুরুষ বানরকে দেখানো হয়েছে, যে কিনা মুখোশ এবং পরচুলা পরে ছোট একটি মেয়ের রূপ নিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় থাকে৷ এই ক্লিপটি দেখেই সেই বানরটি খুঁজে বের করেন উইঘ এবং তৈরি করেন ১৯-মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি ‘হিউম্যান মাস্ক৷’
ছবি: Marian Goodman Gallery, New York; Hauser & Wirth, London; Esther Schipper, Berlin; Anna Lena Films, Paris (Detail)
আমার মধ্যে বানর
এরিক স্টাইনব্রেশার ‘মাল্টিলেয়ার্ড ইমেজ’ বা বিভিন্ন ধরনের, নানা স্তরের ছবি ও ‘স্যাটায়ার’ বা ব্যঙ্গরচনা, তথা হাস্যরস নিয়ে কাজ করেন৷ তাঁর তৈরি ইনস্টলেশন আর্ট ‘এএফএফই’ বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং অজৈব উপাদান দিয়ে তৈরি৷ এই শিল্পবস্তুটির অর্থ নানারকম হতে পারে, অর্থাৎ দর্শকের চোখে তা ধরা পড়তে পারে ভিন্ন ভিন্নভাবে৷ বার্লিনে এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত৷