রবিবার সন্ধ্যায় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর প্রতিযোগী মার্টিন শুলৎসের একমাত্র মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্ক দেখবার পর ডয়চে ভেলে সম্পাদক ক্রিস্টফ স্ট্রাকের একমাত্র কামনা: আবার ‘বড় জোট' নয়!
বিজ্ঞাপন
নাম দেওয়া হয়েছিল ‘টিভি ডুয়েল', কিন্তু পিস্তল হাতে দ্বন্দ্বযুদ্ধ তো দূরের কথা, কোনোরকম লড়াকু মনোবৃত্তিই দেখা যায়নি৷ পাঁচটি মুখ্য জার্মান ব্রডকাস্টার মিলে ২০০২ সালে ফরম্যাটটি সৃষ্টি করা যাবৎ এটি ছিল সবচেয়ে দুর্বল বিতর্ক৷ এ থেকে জার্মান রাজনীতি সম্পর্কে যতটা জানা গেছে, জার্মান টেলিভিশনের ধরণ-ধারণও ঠিক ততটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে৷
প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, যেন সমব্যথী
যে জোট সরকার গত চার বছর ধরে দেশশাসন করছেন, তার দুই ভাগীদার রাজনৈতিক দলের দুই প্রতিনিধি মঞ্চে পরস্পরের পাশে জায়গা নিলেন, চারজন বাছাই সাংবাদিকের বিভিন্ন বাছাই প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য৷ স্টুডিও-য় উপস্থিত দর্শকদের নীরব থাকতে বলা হয়েছিল৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
জার্মান অর্থনীতির ছছল-বছল সত্ত্বেও জার্মান সমাজ এখন বিভিন্ন চাপে মুখে৷ রবিবারের ৯৭ মিনিটের বিতর্কে সে বিষয়টি প্রায় উল্লেখ করা হয়নি বললেই চলে৷ সাধারণ পরিবাররা আজ যে টানাপোড়নে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ফলে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে, বিশ্বায়ন যেভাবে কর্মবাজারকে বদলে দিচ্ছে বা শিক্ষা সংক্রান্ত নানা সমস্যা – এ সবের কোনো কিছুই দৃশ্যত বিশদ আলোচনার যোগ্য ছিল না৷ পরিবর্তে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল ২০১৫ সালের উদ্বাস্তুর স্রোত ও অভিবাসীদের সমাজে অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গ দু'টি৷
উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের প্রসঙ্গ নিয়ে গত দু'বছর ধরে জার্মানির শহরে ও গ্রামে-গঞ্জে যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে, তার মুখোমুখি হওয়াটা রাজনীতিকদের কর্তব্য৷ কিন্তু এবারেও পপুলিজম পোড় খাওয়া রাজনীতিকদের বিক্ষিপ্ত করতে সমর্থ হয়েছে৷
তবে বিদেশনীতির ক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য শোনা গেছে৷ তুরস্কের ক্ষেত্রে দুই প্রার্থীই একটি নতুন ও সাহসী দিক পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন: উভয়েই শুল্ক ইউনিয়নের সম্প্রসারণ অথবা তুরস্কের ইইউ-তে যোগদান সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা বন্ধ রাখার পক্ষে৷ আংকারার স্বৈরশাসক যখন খেয়ালখুশি মতো জার্মানদের পণবন্দি করছেন, তখন তুরস্কের প্রতি জার্মানির নীতিও লক্ষণীয়ভাবে বদলাচ্ছে৷
উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে ম্যার্কেল আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় ফিরে গিয়ে আগামীতে মস্কো, বেইজিং, টোকিও, সৌল ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে তিনি যে সব টেলিফোনালাপ করবেন, তার ফিরিস্তি দেন৷
তৃতীয়ত, ম্যার্কেল ও শুলৎস উভয়েই দৃশ্যত কাতার ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়ায় বিশেষ সুখী নন – তবে দু'জন প্রথম সারির জার্মান রাজনীতিক যে এত স্পষ্টভাবে সে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেটা নতুন বৈকি৷
‘বৃহৎ জোট' আর নয়!
দীর্ঘ ৯৭ মিনিটের বিতর্ক থেকে যদি কোনো কিছু স্পষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে, তবে তা হল এই যে, জার্মানির আর তথাকথিত বৃহৎ জোট, অর্থাৎ সিডিইউ-সিএসইউ ও এসপিডি দলের জোট সরকারের প্রয়োজন নেই৷ এই দু'টি দল মিলে বড় বেশিদিন ধরে জার্মান সংসদে তাদের আধিপত্য চালাচ্ছে৷ এছাড়া রবিবারের বিতর্ক থেকে আরো বোঝা গেছে যে, তারা পরস্পরের হাঁড়িহদ্দ চেনে আর কেউই অপরকে সহ্য করতে পারে না৷
রবিবারের বিতর্কের একটি দুর্বলতা ছিল বাস্তবিক কোনো বিরোধীর অনুপস্থিতি – শক্তিশালী সরকারের মতোই গণতন্ত্রের যা প্রয়োজন৷
২০০৫ সাল যাবৎ এ ধরনের বিতর্ক জার্মান ফেডারাল নির্বাচন প্রথার অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে – কিন্তু শুধু একবারই এবং সেটাই হয়ত ভালো৷ জার্মানিতে সংসদীয় গণতন্ত্রের চল, প্রেসিডেন্সিয়াল গণতন্ত্রের নয়৷ এদেশে ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন করা হয়ে থাকে, সরকারপ্রধানকে নয়৷ সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রয়োজন জোরালো সরকারি নীতি ও একটি জোরালো বিরোধীপক্ষ৷ রবিবারের বিতর্কে সেটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷
জার্মান নির্বাচনের প্রচারণা প্ল্যাকার্ড
আসল? বিদেশিবিদ্বেষী? সেকেলে? জার্মানির নির্বাচনের জন্য তৈরি পোস্টারে এ রকম আরো অনেক শব্দ দেখা যাচ্ছে৷ ভোটারদের দলে ভেড়াতে বড় দলগুলোর পোস্টারে কী দেখা যাচ্ছে দেখে নেই চলুন৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ)
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নির্বাচনি পোস্টারে এখন আর কোনো অপরিচিত মুখ নন৷ তাঁর দল সিডিইউ ২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে গোটা জার্মানিতে ২২,০০ প্ল্যাকার্ড বসাচ্ছে৷ এতে জার্মান চ্যান্সেলরের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে জার্মান পতাকা ব্যবহারে করে দলটির দেশপ্রেম বোঝানো হয়েছে৷ আর স্লোগানে প্রাধান্য পেয়েছে নিরাপত্তা, পরিবার এবং কাজের মতো বিষয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি)
সামাজিক গণতন্ত্রীরা তাদের দীর্ঘদিনের লাল আর বর্গাকারের লোগোকে পোস্টারে প্রাধান্য দিয়েছে৷ তাদের পোস্টারে শিক্ষা, পরিবার, পেনশন, বিনিয়োগ এবং বেতন বৈষম্যের মতো বিষয়াদি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ২৪ মিলিয়ন ইউরোর নির্বাচনি প্রচারণার পর নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নাকি একটি বোমা ফাটাতে পারে এসপিডি, তবে সেসম্পর্ক কিছু এখনো জানা যায়নি৷
মুক্তগণতন্ত্রী দল (এফডিপি)
মুক্তগণতন্ত্রীদের নির্বাচনি প্রচারণায় খরচ হচ্ছে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সাদাকালো ফটোশুটের মাধ্যমে পোস্টারে আধুনিক মার্কেটিংয়ের ছাপ ফুটিয়ে তুলেছে সেদেল৷ তাদের পোস্টারে শোভা পাচ্ছেন একজন: ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার৷ তবে পোস্টারে ছোট করে লেখা নানা কথা পড়তে ভোটারদের বেশ কষ্টই করতে হবে৷ ‘অস্থিরতাও একটা গুণ’, লেখা হয়েছে পোস্টারে৷
সবুজ দল
সবুজ দল তাদের দলীয় নীতিকেই নির্বাচনের পোস্টারে তুলে ধরছেন৷ সেদলের স্লোগানে জায়গা করে নিয়েছে পরিবেশ, ইন্টিগ্রেশন এবং শান্তির মতো বিষয়৷ তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘‘পরিবেশই সবকিছু নয়, তবে পরিবেশ ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন৷’’
জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি)
তবে আসন্ন নির্বাচনের সবচেয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে ডানপন্থি এএফডি পার্টি৷ আপাত দৃষ্টিতে এই পোস্টারটি দেখলে মনে হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসছেন৷ কিন্তু স্লোগান কী বলছে জানেন? ‘‘নতুন জার্মান? তাদের আমরাই তৈরি করবো৷’’ দলটির আরেক পোস্টারে বিকিনি পরা তিন নারীকে দেখা গেছে৷ আর তাতে লেখা: ‘‘বোরকা? আমরা বিকিনি পছন্দ করি৷’’
বামদল
বামদলের পোস্টারে বিভিন্ন ফস্টের বর্ণিল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ ‘‘[বর্নিল] মানুষ৷ স্পষ্টভাবে ডানপস্থি ঘৃণার বিরোধী’’, বলছে তাদের স্লোগান৷ দলটির নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে সাশ্রয়ী ভাড়া, আরো স্বচ্ছ পেনশনের নিশ্চয়তা এবং অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের মতো বিষয়৷