1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যে আন্দোলন ইতিহাস বদলে দিয়েছিল

৩ অক্টোবর ২০১৪

বার্লিন প্রাচীর পতন ও দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল শান্তিপূর্ণ মিছিলের মাধ্যমে৷ ঠিক ৩০ বছর আগে লাইপসিশ শহরে সেই আন্দোলন সাবেক পূর্ব জার্মানির মূলে ধাক্কা দিয়েছিল৷

ছবি: picture-alliance/dpa

১৯৮৯ সালের ৯ই অক্টোবর, অর্থাৎ ঠিক ৩০ বছর আগে সাবেক পূর্ব জার্মানির লাইপসিশ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমন এক মিছিল, যার জের ধরে বিশ্ব ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি বদলে যায়৷ এ দিন প্রায় ৭০,০০০ মানুষ ‘সোমবারের মিছিল'-এ অংশ নিয়েছিলেন৷ তাঁদের কণ্ঠে ছিল ঐক্য ও অহিংসার ডাক৷ পূর্ব জার্মান রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি করছিলেন তাঁরা৷ এমন অভূতপূর্ব ঘটনা এর আগে ঘটেনি৷ এত বড় সমাবেশের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারে নি কুখ্যাত পুলিশ ও ‘স্টাসি' গোয়েন্দা বাহিনী৷ এরপর সেই আন্দোলনের ঢেউ অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে৷

Secret films of Leipzig's Monday demonstrations

04:47

This browser does not support the video element.

কয়েক জন মানুষের নীরব ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়, তার ফলে একে একে ভেঙে পড়ে বার্লিন প্রাচীর, পূর্ব জার্মান কমিউনিস্ট রাষ্ট্র এবং অবশেষে পূর্ব ইউরোপ সহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থা৷ ফলে উধাও হয়ে যায় লৌহ যবনিকা, শেষ হয় শীতল যুদ্ধ৷ বদলে যায় পৃথিবীর ইতিহাস৷

সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক নিজে সেই অধ্যায়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন৷ সাবেক পূর্ব জার্মানিতে খ্রিষ্টান লুথেরান সম্প্রদায়ের ‘প্যাস্টর' বা যাজক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তিনি৷ পরে কুখ্যাত ‘স্টাসি' গোয়েন্দা বাহিনীর আর্কাইভ সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি এই কালো অধ্যায়ের খুঁটিনাটি অপরাধ বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করেছিলেন৷

গাউকের মতে, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সফল হলেও নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকলে চলবে না৷ সেই গণতন্ত্র কী ভাবে কাজ করছে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে৷ শুধু উগ্রবাদী, গোঁড়া ও বিকৃত মতাদর্শই গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয়, নাগরিকরা সেই গণতন্ত্রের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার না করে চললে তার কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে, বলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর মতে, শুধু দেশের মধ্যে নয়, তার বাইরেও গণতন্ত্র রক্ষা করা জার্মানদের নৈতিক দায়িত্ব৷ কেউ নীরবে বাইরে থেকে হাত গুটিয়ে বসে রইলে সে নিজেই অন্যায়ের শিকার হয়ে পড়ে৷ অতএব গোটা বিশ্বে জার্মানির সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজন আছে, বলেন ইওয়াখিম গাউক৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ