1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেঁটে চালানো সাইকেল

মাইকে ক্র্যুগার/এসবি২৭ জুলাই ২০১৬

নেদারল্যান্ডস সাইকেল-চালকদের দেশ হিসেবেই পরিচিত৷ কিন্তু প্যাডেল ছাড়াই পায়ে হেঁটে সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা সেখানেও বেশি লোকের নেই৷ ডয়চে ভেলের এক সহকর্মী সেটাই করে দেখালেন৷

পায়ে হেঁটে চালানো যায় যে সাইকেল!
ছবি: Lopifit/Gert de Veerd

‘ইউরোম্যাক্স' অনুষ্ঠানের রিপোর্টার মাইকে ক্র্যুগার তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন৷ তাজা বাতাস খেতে খেতে হাঁটার মজাই আলাদা৷ বেশ আরামে হাঁটলেও আমার গতি কিন্তু বেশ বেড়ে গেছে৷ জিমের ট্রেডমিল যার একঘেয়ে লাগে, সে এবার ট্রেডমিল সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারে৷ দাঁড়াতে হয় না, ঠেলে এগিয়েও যেতে হয় না৷ তার উপর দাঁড়িয়ে হাঁটলেই হলো৷

কয়েক ঘণ্টা আগে নেদারল্যান্ডসের উটরেখট শহরের দৃশ্য৷ এখানেই আমি ‘লপিফিট' নামের এই যন্ত্রটি ধার নিতে এসেছি৷ সেখানেই রব ফান ওইয়েন-এর সঙ্গে দেখা৷ তিনিই এই যন্ত্র বিপণন করেন৷ সেটি কীভাবে চলে, নিজেই দেখিয়ে দিলেন তিনি৷ ঠেলা মারলেই হলো৷

একটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন যন্ত্রটিকে চালু করে৷ লপিফিট বিপণনকারী রব ফান ওইয়েন বলেন, ‘‘এটা একটা বাইসাইকেল৷ আরও দ্রুত গেলে ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার গতি ওঠে৷ লপিফিট নিলে আরও দূরে যাওয়া যায়৷ হাঁটার চেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং৷''

হেঁটে হেঁটে কীভাবে চালাবেন সাইকেল? দেখে নিন...

04:10

This browser does not support the video element.

২০১৪ সালে যন্ত্রটি বাজারে আসে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক আঙিনায় ব্যবসা সবে জমে উঠেছে৷ শুধু ইউরোপ নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ অ্যামেরিকাতেও লপিফিট পাওয়া যাবে৷ ফান ওইয়েন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে উৎপাদন শুরু করার সময় কিছু সমস্যা হয়েছিল৷ তাই এখনো বিক্রি করতে প্রস্তুত নই আমরা৷ বিশাল চাহিদা, কিন্তু আমরা এখনো উৎপাদন করছি৷''

গোটা বিশ্বের লোক যা পারে, মনে হলো আমিও তা পারবো৷ কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী যে ৫০০ ব্যক্তি পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই চালাতে পেরেছিলেন৷ ১০ শতাংশের বেশ সমস্যা হয়েছিল৷ আমি হয়ত সেই ৬০ শতাংশের মধ্যে পড়ি, যাদের কয়েক মিনিট সময় লেগেছিল৷ একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা৷

কিন্তু আমাকে পারতেই হবে৷ বড় চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছি৷ সারা দিনের ট্যুর৷ এর জন্য লাইসেন্স বা হেলমেট কিছুই লাগে না৷ রাস্তায় প্র্যাকটিস করে দেখলাম, আমি নিজে না হাঁটলেও আমার বাহনটি এগিয়ে যায়৷ কিন্তু প্রকৃতির কোল ছেড়ে আমি শহরের ব্যস্ততায় ভরা রাস্তায় যেতে চাই৷ উটরেখট শহরের কেন্দ্রস্থলে আমি আমার পারদর্শিতা দেখাচ্ছি৷

নেদারল্যান্ডস আসলে সাইকেল-চালকদের দেশ৷ লপিফিট সহজে চোখে পড়ে না৷ অনেকেই মাথা ঘুরিয়ে আমাকে দেখছেন৷ কিছুক্ষণ পর গতি কমে গেল৷ তবে এখনো সবার নজর কেড়ে চলেছি৷ তেমন জোর না দেওয়া সত্ত্বেও আমি সাইকেল চালকদের দিব্যি ওভারটেক করে যাচ্ছি৷ কিছু লোক সাহস করে আমার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে এলেন৷ কারণ তাঁরাও একবার চালিয়ে দেখতে চান৷

কৌতূহলী দৃষ্টি বাড়তে থাকায় আমি বাকিদেরও চালাতে দিলাম৷ এমনকি হাই হিল জুতো পরা নারীরাও বাদ গেলেন না৷ শহরবাসী ও পর্যটকরা এই অ্যাডভেঞ্চারে যোগ দিলেন৷ সবার মনেই রোমাঞ্চ৷ সত্যি, একটু প্র্যাকটিস থাকলে ভালো হয়৷ কিন্তু সাইকেল চালাতে চালাতেও তো আমি নিশ্চিন্তে আইসক্রিম খেতে পারতাম না৷ এটাই হলো আমার জীবনের সবচেয়ে দ্রুত ও সুন্দর ওয়াক ছিল৷ জীবনে কোনোদিন এত দ্রুত পায়ে হাঁটিনি৷ তবে এটা ঠিক, যে লপিফিট এত দ্রুত নেদারল্যান্ডসে রাস্তায় সাইকেলের জায়গা নিতে পারবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ