বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার কোনো আগ্রহ বা যোগ্যতা নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের – অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে নাড়া পড়েছে ওয়াশিংটনে৷ এবিসি টিভিতে তাঁর এই বিশ্লেষণ ভাইরাল হয়েছে বিশ্বজুড়ে৷
বিজ্ঞাপন
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ট্রাম্পের কথা বলা, হাঁটা চলা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে ক্রিস বিশ্বনেতাদের মাঝে ট্রাম্পকে ‘অস্বচ্ছন্দ, একা ও বেমানান' বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি আরো বলেন, ট্রাম্পের সর্বনাশা বৈদেশিক নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে তলানিতে নিয়ে গিয়ে ঠেকাবে৷ ৯ জুলাই করা তাঁর এই বিশ্লেষণটি এবিসির রাজনীতি নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ইনসাইডার্স'-এ প্রচারিত হয়৷
এটি সারা বিশ্বে হাজারো বার দেখা হয়েছে এবং ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও অবাক করেছে৷ টুইটারে অসংখ্যবার ভিডিওটি শেয়ারও হয়েছে৷
উলমান এখানেই থামেননি, প্রায় সোয়া দু'মিনিটের ভিডিওটিতে তিনি এও বলেছেন যে, ট্রাম্প হলেন পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি৷ তিনি অ্যামেরিকাকে একঘরে করে ফেলছেন বলেও মন্তব্য ছিল ভিডিওতে৷
উলমান বলেন, ‘‘তিনি (ট্রাম্প) এমন একজন মানুষ, যিনি চিৎকার করেন ১৪০ অক্ষরে৷ প্রেসিডেন্সির গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো তিনি পশ্চিমা বিশ্বের বিচার বিভাগ, অন্যান্য স্বাধীন সংস্থাগুলো এবং মুক্ত গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অযথা সংগ্রাম করে নষ্ট করেন৷''
ক্রিস উলমান ২০১৫ সাল থেকে এবিসি-র পলিটিক্যাল এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ তিনি ২০০৮ সালে ব্রডকাস্ট সাংবাদিকতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সাংবাদিকতার সম্মাননা পান৷
জেডএ/ডিজি
বন্ধুদের কাছে শত্রুর মতো এলেন ট্রাম্প
নির্বাচনি প্রচারে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর তোপ দেগেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি এমন বৈরি মনোভাব দেখাবেন, তেমনটা কেউ ভাবতে পারেনি৷
ছবি: Reuters/F. Lenoir
সৌদি আরবে স্বাচ্ছন্দ্য
নির্বাচনি প্রচারে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কড়া কথা শোনালেও প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়ে সে দেশকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন ট্রাম্প৷ সেখানকার নেতাদের সঙ্গে তাঁকে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেছে৷ ইসরায়েলেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Ernst
পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ
অ্যামেরিকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় পোপ ফ্রান্সিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প পরস্পরের সম্পর্কে বেশ কটু কথা বলেছেন৷ তাই ভ্যাটিকান সিটিতে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল৷ সদা হাস্যময় ও রসিকতার জন্য পরিচিত পোপ ফ্রান্সিসের মুখচ্ছবিই তাঁর মনোভাব প্রকাশ করছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci
ন্যাটো সম্মেলনে কড়া সুর
ভ্যাটিকান থেকে ব্রাসেলসে পৌঁছেই বদলে গেল ট্রাম্পের কণ্ঠ ও শরীরের ভাষা৷ ন্যাটো শীর্ষ নেতাদের সামনে এই সামরিক জোটের প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করার বদলে তিনি ‘বকেয়া চাঁদা’ ও ‘মার্কিন করদাতাদের স্বার্থ’ নিয়ে সোচ্চার হয়ে পড়লেন৷
ছবি: Getty Images/M.Ngan
সৌজন্যবোধের অভাব
ন্যাটোর সবচেয়ে শক্তিশালী সদস্য দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও নেতাদের ভিড়ে নিজেকে জাহির করতে পিছপা হননি ট্রাম্প৷ সবাইকে পেছনে ফেলে, প্রয়োজনে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সামনের সারিতে পৌঁছতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M.Dunham
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অবজ্ঞা
রাষ্ট্রজোট হিসেবে ইইউ সম্পর্কেও তাঁর অবজ্ঞা এখনো দূর হয়নি৷ মুক্ত বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, রাশিয়ার দৌরাত্ম্যের মতো বিষয় সম্পর্কে ইইউ’র মনোভাব তিনি পছন্দ করেন না৷ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর সেকথা সাফ জানিয়েও দিয়েছেন ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/F. Lenoir
জার্মানির প্রতি বিদ্বেষ
‘জার্মানরা খারাপ, খুবই খারাপ’ – ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন৷ অ্যামেরিকা ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প শুরু থেকেই বিরক্ত৷ তবে মুক্ত বাণিজ্যের উপকার ও সার্বিক সুবিধার বদলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চান তিনি৷
ছবি: Getty Images/M.Medina
জি-সেভেন বৈঠক
ন্যাটো ও ইইউ-র অনেক নেতার সঙ্গে আবার দেখা জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে৷ সেখানেও অ্যাজেন্ডা নিয়ে খুশি নন ট্রাম্প৷ বাকিদের সঙ্গে মতপার্থক্য বজায় রেখেই ট্রাম্প আবার ফিরে গেলেন ওয়াশিংটন৷