করোনা ভাইরাসের কারণে যৌনকর্মীদের কাজ কয়েকমাস নিষিদ্ধ ছিল৷ আবার তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বার্লিনে৷
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার বার্লিনের সিনেটের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যৌনকর্মীরা ৮ আগস্ট থেকে যৌনসেবা দিতে পারবে৷ তবে স্বাস্থ্য প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী যৌনকর্মীরা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার পুরোপুরি যৌনমিলনের অনুমতি পাবে৷
যৌনকর্মীদের অনিশ্চিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শুধু স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে নয়, নারীর নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির কথা ভেবেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তা না হলে ক্ষতিগ্রস্তরা আর্থিক সমস্যার ঝুঁকির মুখে পড়ে গোপনে তাদের কাজ চালিয়ে যাবে, যা হবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ)
২৬ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...
করোনার বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের লড়াই
যৌনব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে জার্মানিতে৷ এর প্রতিবাদে খোলা চিঠি লিখেছেন যৌনকর্মীরা, করোনা ভাইরাসের কারণে মহাসংকটে থেকেও নেমেছেন নতুন লড়াইয়ে৷ দেখুন ছবিঘরে....
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
‘তারা সুপার স্প্রেডার’
সম্প্রতি ১৬ জন সাংসদ জার্মানিতে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন৷ এমন দাবি তুলে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যৌনকর্ম কখনো সম্ভব নয়৷ এ কারণে যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থায়ীভাবে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১৬ জন সংসদ সদস্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Schlueter
‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই’
ওই ১৬ জন সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জার্মানির যৌনকর্মীদের কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসডি৷ চিঠির মাধ্যমে 'পরিচ্ছন্নতার ধারনা' তুলে ধরে বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই৷ অন্যসব ব্যবসার মতো আমাদেরকেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Lipinski
ভুল ধারণা, ভিত্তিহীন আশঙ্কা
খোলা চিঠি এবং সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বক্তব্যে জার্মানির যৌনকর্মীরা দাবি করছেন, তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকায় ওই সংসদ সদস্যরা যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করতে চাইছেন৷ বিএসডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়, জার্মানিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুব কঠোরভাবে বজায় রেখেই যৌনব্যবসা পরিচালিত হয় এবং সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দূরে রেখে এই ব্যবসা চালু রাখা সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
দাবি ও পরামর্শ
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে জার্মানির সব যৌনপল্লী খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএসডি৷ তাদের প্রশ্ন, মাসাজ পার্লার, চুল কাটার দোকান ইত্যাদি খুললে যৌনব্যবসা কেন বন্ধ থাকবে? ছোট যৌনপল্লীতে আপাতত একসময়ে সর্বোচ্চ ১০ জন যৌনকর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেয়া এবং বড় যৌনপল্লীতে সব ঘর না খোলার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall
জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে যৌনব্যবসা বন্ধ রয়েছে৷ তবে লকডাউন ধীরে ধীরে যখন শিথিল হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে, তখন যৌনকর্মীরাও একই নিয়মে ব্যবসায় ফিরতে পারবে বলে আশা করছে বিএসডি৷ জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ৷ নিয়মিত আয়কর দেন যৌনকর্মীরা৷