জার্মানির জোট সরকারের একটি দল সামাজিক গণতন্ত্রী বা এসপিডি৷ তাদের বার্লিন শাখা সম্প্রতি একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে৷ এতে তারা মূলধারার পর্নোগ্রাফিতে বিদ্যমান যৌনবৈষম্য রোধের লক্ষ্যে পর্নোগ্রাফি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
সরকারি প্রচারমাধ্যমের সহায়তা এসব পর্নোগ্রাফি বিনামূল্যে প্রচারেরও প্রস্তাব করেছে তারা৷
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলটি সেইসব টিনএজারদের কাছে পৌঁছাতে চায়, যারা অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখে, কিন্তু প্রায় সময়ই পছন্দের বিষয়টি খুঁজে পায় না৷
যেমন ২০ বছরের শিক্ষার্থী ফ্রানৎসি জানান, তিনি ১৩ বছর বয়স থেকে পর্নোগ্রাফি দেখছেন৷ ‘‘মেয়েরা এত শব্দ করে যে, আমার মনে হয়েছিল, যৌনমিলনের সময় আমি যদি তেমন শব্দ না করি তাহলে আমার পার্টনার হয়ত ভাবতে পারে যে, আমি উপভোগ করছি না৷ কারণ আমার পার্টনারও নিশ্চয় পর্নোগ্রাফি দেখেছে এবং সে তেমন আওয়াজই প্রত্যাশা করবে,'' বলেন তিনি৷
ফ্রানৎসি আরও জানান, মূলধারার পর্নোগ্রাফিতে দেখায় যে, ছেলেরা মেয়েদের মুখে ও স্তনে বীর্যপাত করে৷ আর মেয়েদের নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে হবে বলে ধারণা দেয়৷ ‘‘যেমন, আমার বান্ধবীদের অনেকেই মনে করত যে, ওরাল সেক্সটা বোধ হয় মেয়েদেরই সম্পাদন করতে হয়৷ আর মেয়েদের সন্তুষ্টির চেয়ে ছেলেদের সন্তুষ্টি পাওয়ার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা দেয়া হয়,'' মূলধারার পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে এই অভিযোগ তাঁর৷
ফ্রানৎসির মতো তরুণীদের আরও বাস্তব ও বিভিন্ন ধরণের প্রাপ্তবয়স্ক মুভির সন্ধান দিতে বার্লিনের এসপিডি সরকারি খরচে ‘ফেমিনিস্ট পর্নোগ্রাফি' তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে৷ এতে বলা হয়, ‘‘মূলধারার পর্নোগ্রাফিতে যৌন ও বর্ণবৈষম্য দেখা যায়৷ ফলে ব্যবহারকারীর উপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে৷ তরুণদের মধ্যে একটা সম্পূর্ণ অবাস্তব প্রত্যাশা তৈরি করে৷''
প্রস্তাবের খসড়া তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ফেরিকে টোম৷ প্রস্তাবটি পাস হবে কিনা, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন৷ দলের পুরনো প্রজন্মদের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তিনি৷
ইয়ানে পাউলিক/জেডএইচ
ট্রাম্পের হাতে ‘যৌন হয়রানির’ শিকার যত নারী
খবরে এখন এক পর্ন তারকা৷ তাঁর সঙ্গে নাকি যৌন সম্পর্ক ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ কেলেঙ্কারি আরো আছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের৷ অনেক নারীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ দেখুন কত নারী আছে সেই তালিকায়...
ছবি: picture-alliance/S. Moskowitz
স্টর্মি ড্যানিয়েলস
পর্ন স্টার স্টর্মির সাথে ট্রাম্পের সেক্স স্ক্যান্ডাল এ মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত৷ নির্বাচনের বছরে স্টর্মির সাথে যৌনমিলনের ব্যাপারটি গোপন রাখতে ট্রাম্পের কৌঁসুলিরা তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন৷ স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে যখন তাঁর বয়স ২৬ ছিল, তখন ট্রাম্পের সাথে তাঁর ১০ মাস প্রেম চলেছে এবং এর মধ্যে একবার তাঁদের যৌনমিলনও হয়৷ আর ঘটনাটি চাপা রাখতেই তাঁকে অর্থ দেওয়া হয়৷ ট্রাম্প অবশ্য এটা অস্বীকার করেন৷
ছবি: Reuters/E. Munoz
জেসিকা লিডস
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি ভিডিও ব্লগে জেসিকা লিডস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন৷ বলেন, ১৯৮০ সালের কোনো একসময় নিউ ইয়র্কগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার পর পাশের সিটে বসা ট্রাম্প তাঁর স্তন চেপে ধরেন এবং স্কার্টের ভেতর দিয়ে হাত ঢোকানোর চেষ্টা করেন৷ সেসময় জেসিকার বয়স ছিল ৩৮ বছর৷
ছবি: Getty Images/M. Schipper
র্যাচেল ক্রুকস
রিয়াল স্টেট কোম্পানির ‘রিসিপশনিস্ট’ হিসেবে কাজ করার সময় ট্রাম্প র্যাচেলকে বিনা অনুমতিতে সরাসরি ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে তিনি এই অভিযোগ করে জানান যে, ঘটনাটি ২০০৫ সালের এবং তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর৷
ছবি: Getty Images/M. Schipper
সামান্থা হলভে
সামন্থা ২০০৬ সালে মিস ক্যারোলিনা হয়েছিলেন৷ অ্যামেরিকার বিউটি কনটেস্টেও তিনি অংশ নেন৷ এনবিসি টিভির ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৬ সুন্দরী প্রতিযোগিতা চলার সময় ট্রাম্প সরাসরি প্রতিযোগীদের পোশাক বদলের কক্ষে ঢোকেন৷ তখন তাঁদের বেশিরভাগই নগ্ন ছিলেন বা বাথরোব পরেছিলেন৷ সিএনএনকে সামান্থা বলেন, ‘‘ট্রাম্প আমাদের এমনভাবে দেখছিলেন যেন আমরা এক-একটি মাংসপিণ্ড!’’
ছবি: Getty Images/M. Schipper
সামার জারভোস
২০০৬ সালে ট্রাম্পের রিয়েলিটি শো ‘দ্য প্রিন্টিস’-এ কাজ করতেন সামার জারভোস৷ ২০০৭ সালে একটি কাজের ব্যাপারে ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পর ট্রাম্প তাঁকে বিছানায় যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেন৷ সামারের অভিযোগ, তিনি বিছানায় যাওয়ার ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ‘‘ট্রাম্প আমার কাঁধে জোরে চাপ দিয়ে ধরে পাগলের মতো চুমু খেতে থাকেন৷ শুধু তাই নয়, আমার বুকে হাত দিয়ে পিষতে থাকেন তিনি৷’’
ছবি: Reuters/M. Blake
ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে ক্রিস্টিন বলেন, ১৯৯০ সালে একটি নাইট ক্লাবে ট্রাম্প তাঁর স্কার্টের মধ্যে জোরপূর্বক হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন৷ ‘‘সে সময় তিনি আমার যোনি পর্যন্ত স্পর্শ করেছিলেন,’’ অভিযোগ ক্রিস্টিনের৷
ছবি: picture-alliance/S. Moskowitz
লিসা বয়ানে
ট্রাম্পের দেওয়া এক পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন লিসা, ১৯৯০ সালে৷ সেখানে ট্রাম্পের সামনে একটা টেবিলে তাঁকে নাচতে করতে বাধ্য করা হয়৷ নীচে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প পোশাকে উঁকি দিয়ে ভেতরটা দেখছিলেন আর ঠিক কী দেখতে পারছেন তা অশ্লীলভাবে বলছিলেন৷ ‘সিক্সটিন উইমেন অ্যান্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প’ নামের এক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে এ সব কথা জানান লিসা৷
ছবি: picture alliance/dpa/F. May
জেসিকা ড্রেইক
পর্ন তারকা জেসিকা ড্রেইক ২০১৬ সালে লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত এক প্রেস কনফারেন্সে দাবি করেন যে, ১১ বছর আগে ট্রাম্প তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Nelson
জিল হার্থ
এক সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিজনেস পার্টনার’ ছিলেন জিল হার্থ৷ জিলের অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁর দাঁতে জোর করে চুমু খেয়েছেন, নিজের ঠোঁট বুকে ঘষেছেন এবং যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছেন৷
ছবি: Getty Images for New York Weddings/L. Busacca
ক্যাথি হেলার
স্বামী, তিন সন্তান এবং শ্বাশুড়ির সামনে ট্রাম্প তাঁকে চুমু খেয়েছিলেন বলে ক্যাথির অভিযোগ৷ ১৯৯৭ সালে ট্রাম্পের রিয়ালিটি শোতে পরিচিত হওয়ার সময় ট্রাম্প নাকি সবার উপস্থিতিতেই ক্যাথির সাথে ঐ কাণ্ড ঘটান৷
ছবি: Getty Images/J. Raedle
নিনি লাকসোনেন
সাবেক মিস ফিনল্যান্ড নিনি লাকসোনেনের অভিযোগ, ডেভিড লেটারম্যানের সাথে ‘দ্য লেট শো’ নামের একটি অনুষ্ঠানের ঠিক আগে ফটোশুটের সময় ট্রাম্প তাঁর নিতম্বে চাপ দেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Haavisto
মেলিন্ডা ম্যাকগিলিভ্রি
২০১৬ সালে মেলিন্ডা পাম বিচ পোস্ট পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০০৩ সালের জানুয়ারির ২৪ তারিখে একটি অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি৷ তখন ট্রাম্প তাঁর নিতম্বে হাত দেয়৷ ঘটনার সময় মেলিন্ডার বয়স ছিল ২৩ বছর৷
ছবি: Imago/Zumapress
নাতাশা স্টোয়নফ
২০০৫ সালে ‘পিপলস’ ম্যাগাজিনের ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়ার সাক্ষাৎকার নিতে যান স্টোয়নফ ৷ সেসময় ট্রাম্প তাঁকে বিনা অনুমতিতে চুমু খান৷ সাংবাদিক নাতাশার অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁকে দেয়ালের সাথে জোর করে চেপে ধরেন এবং জিভটা ঠোঁটের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন৷
ছবি: Imago/Zumapress
টেম্পল ট্যাগার্ট
অ্যামেরিকার উটা রাজ্যের সাবেক ‘মিস উটা’-র অভিযোগ, ট্রাম্প জোর করে তাঁকে দু’বার চুমু খেয়েছেন৷ ১৯৯৭ সালের মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় একবার এবং আরেকবার ট্রাম্প টাওয়ারে ওই কীর্তি করেন তিনি, অভিযোগ ট্যাগার্টের৷ তখন তাঁর বয়স ২১ বছর ছিল৷
ছবি: Getty Images/M. Coppola
কারিনা ভার্জিনিয়া
১৯৯৮ সালে ইউএস ওপেন টেনিস খেলা দেখে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন কারিনা৷ তখন ট্রাম্প নিজের গাড়ি থেকে নেমে কারিনার বাহু ধরেন এবং বুকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন৷