1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে দিল্লি যাত্রা

২০ ডিসেম্বর ২০১৮

যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেছে ভারতে বিভিন্ন সময় নিগ্রহের শিকার নারীদের একটি দল৷ নারীদের স্বজন ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আইনী সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরাও যোগ দেন এ যাত্রায়৷ 

Gedenken Indien Gruppenvergewaltigung Mord 29.12.2013
ছবি: Reuters

রাষ্ট্রীয় গরিমা অভিযান, তথা ন্যাশনাল প্রাইড মুভমেন্ট এই ক্যারাভান যাত্রার অন্যতম আয়োজক৷ সংগঠনটির আহ্বায়ক আসিফ শেখ জানান, তাঁদের প্রত্যাশা ১০ হাজার কিলোমিটারের এই যাত্রায় লাখো লোক সমবেত হবে৷ ফেব্রুয়ারির শেষদিকে এই ক্যারাভান দিল্লিতে পৌঁছাবে৷ চলতিপথে বিভিন্নস্থানে সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের৷ এ প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, যৌন নিগ্রহ নিয়ে নারীরা যেন সোচ্চার হন এবং সবসময় নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ করেন তাতে উৎসাহিত করাই এই সভার উদ্দেশ্য৷

ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে নারীদের প্রতি অপরাধের মাত্রা বেড়েছে ৮৩ শতাংশ৷ সে সময় প্রতি ঘণ্টায় ৪টি করে ধর্ষণ মামলা দাখিলের ঘটনা ঘটেছে৷

ক্যারাভান যাত্রার আয়োজকদের দাবি, সরকারের দেওয়া তথ্যে যতটুকু নিগ্রহের কথা রয়েছে, ঘটেছে এরচেয়ে অনেক বেশি৷ সামাজিক হেনস্থা ও কলঙ্কের ভয়ে একটি বিশাল অংশ বিচারের দাবিই করে না৷ 

ক্যারাভানে অংশ নেওয়া সোহমাত সিং লোধি বলেন, ‘‘আমি আমার ৪ বছর বয়সি কন্যা সন্তানের ধর্ষণের বিচার চাইতে এসেছি৷ সে এখনো সুস্থ হয়নি৷ যে-কোনো মূল্যে আমি দোষীর শাস্তি চাই৷'' গত জুন মাসে সোহমাতের ৪ বছর বয়সি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়৷ মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷

আয়োজকরা আরো জানান, শুধু দ্রুত বিচার নয় তাঁদের চেষ্টা থাকবে একজন যৌন নিগৃহের শিকার নারীর বা শিশুর প্রতি যেন সবাই সহনশীল থাকে৷ পুলিশ, চিকিৎসক, এমনকি আইনজীবীরাও যেন ক্ষতিগ্রস্তের প্রতি সহনশীল থাকেন, সেই ধরনের প্রচারই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য৷

যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি হয়ে যাওয়া মমতা অংশ নিয়েছেন এই দিল্লি-যাত্রায়৷ তিনি জানান, তাঁর মামলাটি দায়ের করতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ পুলিশ, ডাক্তার, আদালত সব জায়গায় তাঁকে অসৌজন্যমূলক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে৷ তিনি জানতে চান, ‘‘কেন আমাকেই প্রমাণ করতে হবে যে আমি ধর্ষণের শিকার?''

মমতা জানান, পারিবারিক এক বন্ধু তাঁকে ধর্ষণ করেছে৷ সেই ব্যক্তিই তাঁকে এক লোকের কাছে ২ লাখ রুপিতে বিক্রি করে দেয়৷ সেখানে ৬ মাস যৌনদাসী হিসেবে আটকে ছিলেন মমতা৷ পরে স্থানীয় একজনের সহযোগিতায় পালিয়ে আসেন এবং মামলা দেন৷ কিন্তু ফিরে আসার পর তাঁর স্বামী বা পরিবারের কেউ তাঁকে গ্রহণ করেনি৷ তিনি এই সমাবেশে যুক্ত হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চান বলে জানান৷

ধর্ষণের শিকার এক নারীর পিতা বিক্রম রাঘুবাসী বলেন, আশা করছি সমাজ ও প্রশাসনের কাছে এই উদ্যোগ একটি দৃঢ় বার্তা পৌঁছে দেবে৷

এফএ/এসিবি (রয়্টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ