1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রকেট উৎক্ষেপণ দেখার অভিজ্ঞতা

২৩ নভেম্বর ২০১৭

দক্ষিণ অ্যামেরিকার কুরু থেকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়৷ সেই জটিল প্রক্রিয়ার পেছনে রয়েছে অনেক পরিকল্পনা, প্রস্তুতির ও পরিশ্রম৷ ডয়চে ভেলের দুই সাংবাদিক সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন৷

ছবি: picture alliance/dpa/S Martin/Arianespace Cnes/Csg/ARIANESPACE/dpa

দক্ষিণ অ্যামেরিকার ফরাসি-গিয়ানায় কুরুতে রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কনট্রোল রুম৷ ডানিয়েল নয়েনশ্ভান্ডার-এর উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ তিনি ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-র অন্যতম ডিরেক্টর৷ সব পরিবহণ স্যাটেলাইটের দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে৷ একটি আরিয়ান-৫ রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত৷ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে৷ ডানিয়েল বলেন, ‘‘এক থেকে শূন্য ছুঁলেই উত্তেজনা অবশ্যই বেড়ে যায়, কারণ তখন সব সিস্টেমকে ঠিকমতো কাজ করতে হবে৷ প্রথমে মূল ইঞ্জিন, তারপর সাইড বুস্টার, তারপর গোটা সিস্টেম৷ কিন্তু সেটাই সবকিছু নয়৷ আজকের মিশন প্রায় ৪০ মিনিট সময় নেবে, যতক্ষণ না সব স্যাটেলাইট নির্ধারিত কক্ষপথে তাদের অবস্থান নেয়৷’’

দেখবেন নাকি রকেট উৎক্ষেপণ?

04:23

This browser does not support the video element.

দুই দিন আগে প্যারিসে এসা-র সদর দফতরের দৃশ্য৷ এখানেই ডানিয়েল নয়েনশ্ভান্ডার-এর দফতর৷ এখান থেকেই তিনি আগামী রকেট প্রকল্পগুলি সমন্বয় করেন৷ তিনি ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে বিমানের পাইলট হিসেবে কাজ করেছেন৷ বর্তমানে তিনি ইউরোপের রকেট প্রকল্পগুলির দায়িত্বে রয়েছেন৷

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ডিরেক্টরদের মিটিং বসেছে৷ তারপরেই আবার কাজে নামতে হবে৷ ৪২ বছর বয়স্ক নয়েনশ্ভান্ডার স্নায়ু ঠান্ডা রেখেছেন৷ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে তিনি নিশ্চিত করতে চান, যে রকেট যেন পুরোপুরি নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করে৷

আবার বিশ্বের অন্য প্রান্তে কুরু-তে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ফেরা যাক৷ প্রযুক্তিবিদরা আরিয়ান-৫ রকেটটি উৎক্ষেপণের জায়গায় নিয়ে এসেছেন৷ সেটি দু'টি দামি স্যাটেলাইট বহন করছে, যার কাজ বিশ্বে মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কের উন্নতি করা৷ ৭০০ টনেরও বেশি হাইটেক যন্ত্র মহাকাশে পৌঁছে দিতে হবে৷

নয়েনশ্ভান্ডার-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাঁটা কঠিন৷ তিনি আমাদের দ্রুত পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছেন৷ রকেট উৎক্ষেপণের সময় এগিয়ে আসছে৷ গুরুদায়িত্ব সত্ত্বেও নয়েনশ্ভান্ডার বেশ শান্ত রয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘উৎক্ষেপণের সময় থেকে আরিয়ান-৫ রকেট স্বাধীনভাবে কাজ করে৷ সেটি নির্দিষ্ট এক করিডোরের মধ্যেই উড়ে যাবে, এমনভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে৷ সেই করিডোরের মধ্যে থাকলে রকেট স্বাধীনভাবে উড়বে৷ বিচ্যুতি ঘটলে আরেকটি প্রোগ্রাম রকেটের আত্মহননের প্রক্রিয়া শুরু করবে৷’’

প্রথমে বেশি কিছু শোনা যায় না৷ তারপর আচমকা মাঁটি কাঁপতে শুরু করে৷ কানফাটা শব্দে বাতাস ভরে যায়৷ তারপরেই বোঝা যায়, আরিয়ান-৫ ঠিক পথেই চলেছে৷ উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে৷

কোলার/অট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ