‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেইম’ হলো ‘আবা’
৪ নভেম্বর ২০১০তখন কেউ ভাবতেও পারেনি যে এই চার সংগীত শিল্পী পরবর্তীকালে ‘আবা' সংগীত গোষ্ঠী হিসেবে, পপ সংগীত জগতে এক নতুন যুগের সুচনা করবে৷ দা বিটলস বা দা রোলিং স্টোনস এর পর আর যে কটি সংগীত গোষ্ঠি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নিঃসন্দেহে ‘আবা' তাদের অন্যতম৷ সত্তর ও আশির দশকে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘আবা'র জনপ্রিয়তা৷
চার সংগীত শিল্পী, আগ্নেথা, বিয়র্ন, বেনি ও আনা-ফ্রীড একসাথে হওয়ার আগে সবাই একক সংগীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠত ছিলেন৷ সংগীতের সূত্র ধরেই তাদের পরিচয়৷ আর এই পরিচয়ের হাত ধরেই বেনি ও আনা-ফ্রীড এবং আগ্নেথা ও বিয়র্নের ভালবাসা ও বিবাহ বন্ধন৷ ১৯৭২ সালে বের হয় তাদের প্রথম রেকর্ড ‘পিপল নিড লাভ'৷ মেলোডিমাখা ও মনোগ্রাহী এই সংগীত পায় অসাধারন জনপ্রিয়তা৷
১৯৭৩ সালে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'এ প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হন আগ্নেথা, বিয়র্ন, বেনি ও আনা-ফ্রীড৷ এই সময় গোষ্ঠীর একটি নামের প্রয়োজন বোধ করেন তাঁরা৷ সবার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গোষ্ঠীর নামকরণ হয় ‘আবা'৷ সে বছর প্রতিযোগিতায় জয়ের মালা না পেলেও পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে ‘ওয়াটারলু' গান দিয়ে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' এ সুইডেনের জন্য জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয় ‘আবা'৷ আর সেই সাথে আন্তর্জাতিক পপ সংগীতের জগতে ছড়িয়ে পড়ে ‘আবা'র নাম৷
সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে ‘আবা'র জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যপী৷ সেই সাথে পায় অসামান্য ব্যবসায়িক সাফল্য৷ প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন বা সাঁইত্রিশ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ রেকর্ড বিক্রি হয়েছে তাদের বিশ্বব্যপী৷ আশির দশকের প্রথম দিকে গোষ্ঠীর সদস্যদের ব্যক্তগত সম্পর্কে ফাটল ধরার ফলে ‘আবা' ভেঙে যায়৷ আজও ‘আবা'র জনপ্রিয়তা ম্লান হয়ে যায়নি৷ কিংবদন্তি এই সংগীত গোষ্ঠী ‘আবা'কে নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র, তার সংগীত নিয়ে তৈরি হয়েছে মিউজিক্যাল৷ এ বছর মার্চ মাসে রক-পপ সংগীত জগতে অসাধারণ অবদানের জন্য এই সংগীত গোষ্ঠিকে ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেইম' এ অভিষিক্ত করা হয়৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক