1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রক ক্লাইম্বিং

ভিলটেল/ভেন্ডিশ/এসবি১ অক্টোবর ২০১৫

কথায় বলে, ‘সুখে থাকতে ভূতে কিলায়'৷ সাজসরঞ্জাম নিয়ে অথবা সে সব ছাড়াই যারা পাথর বেয়ে উপরে ওঠায় ওস্তাদ, তাদের দেখলে এমন মনে হাতে পারে বৈকি৷ ইউরোপে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ এই কঠিন খেলায় মেতেছেন৷

Hochseilgärten und Kletterwälder in Deutschland (Bildergalerie)
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Schlesinger

জার্মানির দক্ষিণে ‘ফ্র্যাংকোনিয়ান সুইজারল্যান্ড' বলে পরিচিত এলাকায় এক টিলা৷ আলেক্সান্ডার মেগোস ও তাঁর বন্ধুরা এখানে নিয়মিত অনুশীলন করেন৷ সেই ৫ বছর বয়স থেকেই পাহাড় বেয়ে উঠছেন আলেক্সান্ডার৷ এখন তাঁর বয়স ২১৷ তরুণ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তাঁকে বিশ্বের সেরাদের একজন বলে গণ্য করা হয়৷ নতুন রুটের খোঁজে তিনি সারা পৃথিবী চষে বেড়ান৷ তাঁর মতে, রক ক্লাইম্বিং মোটেই ঝুঁকিপূর্ণ নয়৷ আলেক্সান্ডার বলেন, ‘‘পাথরের লাগানো আংটা অত্যন্ত নিরাপদ৷ কোনো সমস্যা ছাড়াই ঝুলে পড়া যায়৷ কয়েক টন ওজন নেবার ক্ষমতা রয়েছে৷ প্রথম দর্শনে ক্লাইম্বিং বিপজ্জনক মনে হতে পারে৷ ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, কাজটা মোটেই বিপজ্জনক নয়৷''

বহুকাল হলো, ক্লাইম্বিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ গত ১০ বছরে রক ক্লাইম্বারদের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গেছে৷ কিন্তু ক্লাইম্বিং এত আকর্ষণীয় কেন?

একজন বললেন, ‘‘শারীরিক ক্ষমতার অভিব্যক্তি, ক্ষমতার সীমা পরখ করা, নিজেকে ভালোভাবে চেনা – সব মিলিয়ে দারুণ ব্যাপার৷'' অন্য একজনের মতে,‘‘বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ প্রতিবারই আলাদা রুট, আলাদা অভিজ্ঞতা৷ চ্যালেঞ্জে ভরা যাত্রাপথ৷ পদে পদে নতুনত্বের স্বাদ৷''

ক্লাইম্বিং সম্পর্কে আগ্রহ বেড়ে চলায় জার্মানির অ্যালপাইন ক্লাবের পোয়াবারো৷ ২০১৩ সালের জুলাই থেকে সদস্যসংখ্যা ১০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাহাড় চড়ার সংগঠন হয়ে উঠেছে এটি৷ জার্মান অ্যালপাইন ক্লাবের গিডো ক্যোস্টারমায়ার বলেন, ‘‘গত দুই দশক ধরে ধীরে ধীরে এই প্রবণতা বাড়ছে৷ গত কয়েক বছরে তার গতি আচমকা বেড়ে গেছে৷ ক্লাইম্বিং সম্পর্কে জনমানসে আগ্রহ বেড়ে গেছে৷''

আসলে আউটডোর স্পোর্টস ক্ষেত্রটির যে বাড়-বাড়ন্ত, রক ক্লাইম্বিং-ও সেই প্রবণতার অংশ৷ আর্থিক সংকটও এই ক্ষেত্রকে প্রায় ছুঁতে পারে নি৷ খেলাধুলার সাজসরঞ্জাম নির্মাতারা প্রতি বছর মুনাফা করছে৷ পাহাড় চড়ার দামি সরঞ্জাম বিক্রিও তার অন্যতম কারণ৷ ক্রেতাদের সিংহভাগই শহরবাসী৷ ক্লাইম্বিং-এর জন্য আজ আর পাহাড়ে ছুটতে হয় না, অনেক পুরনো কারখানাও তার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে৷

আছে রক ক্লাইম্বিং হলও৷ ফলে বাইরের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করতে হয় না৷ জার্মানিতে এমন প্রায় ৪০০ হল রয়েছে৷ গত কয়েক বছরেই তাদের মধ্যে বেশিরভাগ তৈরি হয়েছে৷ ক্লাইম্বিং চ্যাম্পিয়ন ইয়াকব নিমান বলেন, ‘‘অনেকেই মনে হয় দৈনন্দিন জীবনে এমন পরিস্থিতি খোঁজেন, যাতে নিজের সীমা যাচাই করে নেওয়া যায়৷ ক্লাইম্বিং তার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত৷ হাতেনাতে ফলাফল পাওয়া যায়৷ হয় আমি উপরে উঠতে পারলাম, কিংবা পারলাম না৷''

ক্লাইম্বিং-এরই কিছুটা হেরফের ঘটিয়ে শুরু হয়েছে ‘বোল্ডারিং'৷ এক্ষেত্রে উচ্চতা মূল বিষয় নয়, দড়ি বা বেল্ট ছাড়াই পাথর বেয়ে শীর্ষে উঠতে হয়৷ অনভিজ্ঞরাও দামি সরঞ্জাম ছাড়া সেই চেষ্টা করতে পারেন৷ ইয়াকব নিমান বলেন, ‘‘ক্লাইম্বিং-এর সঙ্গে বোল্ডারিং-এর তফাত হলো, পাথরের বিশাল আকার-আয়তন সামলাতে হয়৷ ছোট ছোট ধাপে তা আঁকড়ে ধরাই মূল চ্যালেঞ্জ৷ হাত আর পা কাজে লাগিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়৷ তারপর পরের ধাপগুলি আঁকড়ে ধরে উঠতে হয়৷''

আগে ক্লাইম্বাররা প্রকৃতির টানেই বেরিয়ে পড়তেন৷ নিসর্গ উপভোগ করাও তাঁদের কাছে ক্লাইম্বিং-এর মতোই জরুরি ছিল৷ আবহাওয়া খারাপ থাকলেই তাঁরা হলের মধ্যে অনুশীলন করতেন৷ আর আজ তাঁরা ঠিক এর বিপরীতটাই করেন৷ জার্মান টিমের ট্রেনার গিডো ক্যোস্টারমায়ার বলেন, ‘‘অনুশীলনের এই হল এখন ক্রীড়াকেন্দ্র হয়ে উঠেছে৷ অন্যরা এখানে ক্লাইম্বিং করতে আসে৷ আর আজ বোল্ডারিং-এর হল নতুন প্রবণতা হয়ে উঠেছে৷ সেটি আলাদা এক স্পোর্টসের শাখা হয়ে উঠছে৷ আমি তাদের ‘ফিটনেস-ক্লাইম্বার' বলি৷''

প্রকৃতির কোলে হোক অথবা হলের মধ্যে – এটি এমন এক ক্রীড়া হয়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেকে তার ক্ষমতার সীমা পরখ করে দেখতে পারে৷ ইউরোপের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ক্লাইম্বিং করে চলেছেন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ