1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসবাব-ঠাসা বাসার আকর্ষণ

১৩ জুন ২০১৯

মানুষের মতো ঘরের সাজসজ্জার রীতিও যুগে যুগে বদলে যায়৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলির বাসার সহজ-সরল ডিজাইন ও কম আসবাবের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল৷ এবার ব্রিটেনের এক শৈলি এর ঠিক বিপরীত ধারা বেছে নিয়েছে৷

Ausstellung Bauhaus: Art As Life im Barbican Centre in London
ছবি: picture-alliance/dpa

লন্ডনের বাসিন্দা মিস পিংক নিজের বাসাকে প্রাচুর্যে ভরিয়ে তুলেছেন৷ বাসার প্রতিটি অংশ সাজিয়ে তোলাই তাঁর মূলমন্ত্র৷ চারিদিকে আরও রং, আরও আকার-আকৃতি, আরও নক্সা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাই আমার রঙিন প্রাসাদ৷ আর রং আমার মন খুশিতে ভরিয়ে দেয়৷ ম্যাক্সিমালিস্ট আন্দোলনে মিশ্রণই হলো মূল বিষয়৷ রং, নক্সা মিশিয়ে নানা বস্তুকে একাত্ম করে তোলা হয়৷ উপরে একটি-দুটি নয়, ২২টি বোতল রয়েছে৷ কম করে না ভেবে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে তুলুন৷''

তাঁর ফ্ল্যাটে নানা উদ্ভট বস্তু ছড়িয়ে রয়েছে৷ প্রত্যেকটির সঙ্গে তাঁর আবেগের সম্পর্ক রয়েছে৷ মিস পিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাসার সাজসজ্জার ক্ষেত্রে প্রাচুর্যের এই আইডিয়া পোস্ট করেন৷ ইন্টারনেটের কল্যাণে ব্রিটেনের এই প্রবণতা দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে৷

ডিজাইন বিশেষজ্ঞ এমিলি হেনসন মনে করেন, বাসা ভরিয়ে তোলার ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই৷ নিজের সর্বশেষ বইয়েও তিনি বিষয়টির উল্লেখ করেছেন৷ এমিলি বলেন, ‘‘নিরপেক্ষ, রুচিকর, প্রায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার স্টাইলের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ছেড়ে আরও রঙিন, নক্সাভরা, সাহসি প্রবণতার প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্য করছি৷ ম্যাক্সিমালিজমের ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙাই আসল বিষয়৷ আমার মতে, এক্ষেত্রে ভালো রুচি নয়, আপনার নিজস্ব রুচিবোধই গুরুত্বপূর্ণ৷''

লন্ডনে আরও বেশি দোকান এই মূলমন্ত্র অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে৷ গোটা বিশ্ব থেকে নজর কাড়া ঘর সাজানোর সামগ্রী চোখে পড়ছে৷ ম্যাক্সিমালিজম ধারার উৎপত্তির খোঁজে এমিলি হেনসন অ্যাবিগেল আহার্ন-এর দোকানে এসেছেন৷

রংচঙে আসবাবে ঠাসা আকর্ষণীয় বাসা

03:56

This browser does not support the video element.

এই ডিজাইনারই এমন সাজসজ্জার ধারার পথিকৃৎ৷ তিনি নতুন ও পুরাতনের মেলবন্ধন ঘটান৷ এমনকি চড়া রং বা অদ্ভুত জিনিসপত্রও বাদ দেন না৷ অ্যাবিগেল আহার্ন বলেন, ‘‘আসলে এমন কিছু দেখলে হৃৎস্পন্দন আচমকা বেড়ে যায়, চমকে যেতে হয়৷ খুব আনন্দের এক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তাই প্রবেশ করেই মানুষের মুখে হাসি ফুটলে দারুণ লাগে৷ সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ বোধ করি৷ কারণ বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠি৷ অভ্যন্তরের সাজসজ্জার সেটাই করা উচিত৷ এত ভালো লাগবে যে চলে যেতেই ইচ্ছে করবে না৷''

অ্যাবিগেল আহার্ন ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি সারিবদ্ধ এক বসতিতে থাকেন৷ তাঁর বৈশিষ্ট্য হলো গাঢ় রংয়ের ব্যবহার, বাহুল্যে ভরা সরঞ্জাম ও বিভিন্ন উপাদানের অপ্রত্যাশিত উপাদানের মিশ্রণ৷ ম্যাক্সিমালিজমের ক্ষেত্রে ডিজাইনের সব প্রচলিত নিয়ম ভেঙে দেওয়া হয়৷ বাসার অন্দরের সাজসজ্জা কীভাবে মানুষের বোধশক্তি প্রভাবিত করতে পারে, সে বিষয়ে তিনি বেশ সচেতন৷ অ্যাবিগেল বলেন, ‘‘কম জিনিস থাকলে আপনি প্রবেশ করে সবকিছু দেখে ভালো বলবেন৷ ব্যস, তার বেশি কিছু নয়৷ কিন্তু এখানে আপনার দৃষ্টি আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করবে৷ আপনি বিভোর হয়ে আরও উৎসাহ পাবেন৷ সে কারণেই আমি ম্যাক্সিমালিজম নিয়ে এত মেতে উঠেছি৷ তাছাড়া কাজটাও বেশ কঠিন৷ কারণ এমন পাগলামি পরিকল্পনা করা কঠিন৷''

ম্যাক্সিমালিজমের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মানতেই হবে৷ এই শৈলি অভিব্যক্তি ও সৃজনশীলতায় ভরপুর৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ