২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সর্বশক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি৷ ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে রথযাত্রা৷ সতর্ক রাজ্য প্রশাসন৷
বিজ্ঞাপন
৭ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার অভিযান শুরু করছে বিজেপি৷ পৌরাণিক রথের সাজে সাজানো তিনটি ভলভো বাস ঘুরবেপশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে৷ হতমান কংগ্রেস এবং হৃতবল বামপন্থিদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গের ওই ৪২ আসনের অন্তত ২২টি জেতার আশা করছে৷ এবং অসম, ত্রিপুরা হাতে আসার পর বিজেপি নেতৃত্ব যে এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলে নেওয়ার জন্য তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে, সেটা ওই রথযাত্রার কর্মসূচিতেই স্পষ্ট৷ একটি রথ যাত্রা শুরু করবে সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসপ্রবণ জেলা বীরভূম থেকে৷ এই যাত্রা শুরু করাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর পরেই দলের সবথেকে হেভিওয়েট নেতা অমিত শাহ৷ দ্বিতীয় রথযাত্রা শুরু করাবেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের সাগরদ্বীপ থেকে৷ আর তৃতীয় একটি রথযাত্রা শুরু হবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল৷ আর তিনটি রথযাত্রা যেখানে মিলিত হবে, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৩ জানুয়ারির সেই সমাপ্তি সমাবেশে হাজির থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
‘এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিরোধী কণ্ঠস্বর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত’
তিনটি রথেরই আলাদা বক্তব্য থাকবে৷ বীরভূমের রথ পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল র রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে, সাগরদ্বীপের রথ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু তোষণ নীতির প্রতিবাদে এবং কোচবিহারের রথযাত্রা উত্তর-পূর্ব ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে৷ তিনটি রথেরই যাত্রাপথে ছোট ছোট সমাবেশের পরিকল্পনা আছে, যেখানে এই বিরোধিতার বক্তব্যই আরো নির্দিষ্টভাবে পেশ করবেন স্থানীয় বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা৷ সম্ভবত সেই বক্তব্যের কারণেই এটাকে ‘রথযাত্রা' বলে চিহ্নিত করায় আপত্তি জানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, এটার রথযাত্রা নাম দিয়েছে সংবাদমাধ্যম৷ কিন্তু ওঁরা এটাকে বলছেন ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা'৷ শমীকবাবুর কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিরোধী কণ্ঠস্বর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত৷ পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃত অর্থে আইনের শাসন প্রশ্নচিহ্নের মুখে৷ সরকার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে, অসাংবিধানিক বিলও পাস করাচ্ছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৭% আসনে তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে৷ জয়ী প্রার্থীদের বোর্ড গঠন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ সমস্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে বর্তমান এই সরকার৷ স্বাভাবিকভাবেই, যেখানে গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত, বিরোধিতার অধিকার যেখানে লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানে আমার মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই মুহূর্তে প্রতিবাদ করতে চাইছেন৷''
‘কেউ এই যাত্রায় বাধা দেবে না, কারণ দিলে ওদেরই ক্ষতি’
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সঙ্গত কারণেই বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তার একটা বড় কারণ, ২০১৪ সালে সংসদীয় নির্বাচনের পর থেকেই এই রাজ্যে বিজেপির সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে৷ পরবর্তীতে অসম এবং ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ও পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব ফেলেছে৷ কাজেই রাজ্যের তিন দিক থেকে তিনটি রথযাত্রার পিছনে সাধারণ মানুষের একাংশের যে সমর্থন থাকবে, সেটা সরকার আঁচ করছে৷ এ কারণে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রীরা পথে নেমে এই রথযাত্রার বিরোধিতা করার কথা বললেও, সরকারের মনোভাব আপাতত এটাকে নির্বিবাদে হতে দেওয়া৷ কিন্তু রাজ্যের অন্য দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট যে রথের রাস্তা আটকাবার কথা বলছে, তাতে হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে৷বিজেপি সেই সমস্যা সম্পর্কে কতটা সচেতন?দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ডয়চে ভেলেকে বললেন, তাঁর ধারণা কোনো সমস্যাই হবে না৷ কারণ, এটা একটা রাজনৈতিক তৎপরতা৷ নির্বাচনের আগে জনসংযোগের জন্য এরকম আন্দোলন হয়৷ এবং দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে রীতিমতো কথা বলে, অনুমতি নিয়ে (এটা) করছি৷ সরকারের দায়িত্ব শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সুরক্ষা দেওয়া৷ সরকার যদি না পারে, তখন আমাদের ভাবতে হবে৷''
ফলে, আপাতত ৭ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ২৩ পর্যন্ত বিজেপির এই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে একদিকে যেমন উত্তেজনা আছে, তেমনি আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে৷ তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেছেন, কেউ এই যাত্রায় বাধা দেবে না, কারণ দিলে ওদেরই ক্ষতি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিওসম্ভবত একই কথা ভাবছেন যে, বাধা দিয়ে খামোকা বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার মানে হয় না!
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷