প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের রবিবার ঢাকা অভিমুখে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচি নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে চরম উদ্বেগ৷ কি হবে ওই দিন? আবারও কি দেশ বড় ধরনের কোনো সহিংসতার দিকে যাচ্ছে?
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে জানা গেছে, কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম৷ তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি৷ তাঁরা বলছেন, বিচ্ছিন্নভাবে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নয়৷
হেফাজতের ঢাকায় আসার তথ্যে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও৷ পুলিশ বলছে, জাতীয় পতাকার আড়ালে কাউকে লাঠিসোঁটা বহন করতে দেয়া হবে না৷ গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ৷
হেফাজত নেতার বক্তব্য
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা আহলুল ওয়াসেল ডয়চে ভলেকে বলেন, বিএনপির এই কর্মসূচিতে হেফাজতে ইসলাম সরাসরি অংশ নেবে না৷ কেন্দ্র থেকে তেমন নির্দেশনাও দেয়া হয়নি৷ তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় তাতে যোগ দেন, তাহলে দিতে পারেন, তাদের নিষেধ করা হবে না৷ অনেক নেতাকর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা এসেছেন বা আসছেন তারা সমাবেশে যোগ দিতে চাইলে দিতে পারে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যাবেন না৷
ঢাকা অবরোধের নামে হেফাজতের তাণ্ডব
রবিবার (০৫.০৫.১৩) ঢাকা অবরোধের নামে মতিঝিল এলাকায় প্রায় ৮ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/GettyImages
ঢাকা অবরোধের নামে তাণ্ডব
রবিবার (০৫.০৫.১৩) ঢাকা অবরোধের নামে মতিঝিল এলাকায় প্রায় ৮ ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা৷ এতে মতিঝিল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ হেফাজতের কর্মীরা দোকানপাট, মার্কেট, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস, গাড়ি সব কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷
ছবি: Reuters
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
হেফাজত যখন তাণ্ডব চালাচ্ছিল তখন পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়৷ মতিঝিল এলাকা পরিণত যুদ্ধক্ষেত্রে৷ শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, সেখানকার আবাসিক ভবনগুলোতে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷
ছবি: Reuters
রাতে অভিযান
সমাবেশের জন্য বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টার পরও শাপলা চত্বরে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেয় হেফাজতের কর্মীরা৷ এরপর রাত আড়াইটার দিকে বিজিবি, ব়্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী মতিঝিলকে ঘিরে অভিযান শুরু করলে ১০ মিনিটের মধ্যেই হেফাজতের কর্মীরা পিছু হটে যায়৷
ছবি: Reuters
কাঁচপুরে অবস্থান
মতিঝিল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর হেফাজত কর্মীদের বড় একটি অংশ সোমবার (০৬.০৫.১৩) সকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থান নেয়৷ তারা সেখানে পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়৷ (ফাইল ছবি)
ছবি: AFP/Getty Images
হামলার শিকার সংবাদমাধ্যম
হেফাজতের হামলা থেকে মুক্তি পায়নি গণমাধ্যমের কর্মীরাও৷ এছাড়া পল্টন এলাকায় অবস্থিত ব়্যাঙ্গস ভবনের ‘সকালের খবর’ পত্রিকা অফিসে আগুন দিয়েছে তারা৷
ছবি: Reuters
ভেঙে দেয়া হলো গণজাগরণ মঞ্চ
রবিবার রাতেই শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মঞ্চসহ সব কিছু সরিয়ে ফেলে পুলিশ৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture-alliance/dpa
ধরপাকড়
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হেফাজতের কর্মীদের আটক করে পুলিশ৷
ছবি: Reuters
১৩ দফা দাবি
কথিত নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করাসহ ১৩ দফা দাবিতে ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/GettyImages
8 ছবি1 | 8
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্নস্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন৷ কুষ্টিয়া থেকে বিএনপির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা আসতে শুরু করেছেন৷ হেফাজতের কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সাংবাদিকদের বলেছেন, সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নেতা-কর্মীরা বাস-ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছেন৷ শুধু কুষ্টিয়া থেকে তাদের প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন৷ বিএনপির কর্মসূচিতে হেফাজত কেন যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আলেমরা অভিযাত্রায় যাচ্ছে৷''
পুলিশের বক্তব্য
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা) মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে এমন তথ্য তাঁরাও পেয়েছেন৷ হেফাজত যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে লাঠিসোঁটা বা আগ্নেয়াস্ত্র যাতে কেউ বহন করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা৷ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণ গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের কোনো গ্রেফতার হচ্ছে না৷ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যৌথবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে দেড়শ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী৷ নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে এই অভিযান বলে জানান তিনি৷
এদিকে, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশ অনুমতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ সব কিছু বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে কর্মসূচির নামে কাউকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেয়া হবে না, বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
২০১৩ সালের আলোচিত দশ মন্তব্য
২০১৩ সালে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে বাংলাদেশে আলোচনায় ছিলেন অনেকে৷ কোনো কোনো মন্তব্য সাধারণ মানুষের হাসির খোরাকও হয়েছে৷ বাংলাদেশে আলোচিত দশটি মন্তব্য প্রকাশ করা হলো এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
‘হরতাল সমর্থকদের নাড়াচাড়ায় ভবন ধস’
সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২৪ এপ্রিল বলেন, ‘‘কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে জানতে পেরেছি৷ ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে৷’’ রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ৷
ছবি: Reuters
‘আমার কাছে তথ্য আছে’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অত্যন্ত সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘‘আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসবে৷’’ ২৩ জুলাই ঢাকায় এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি৷
ছবি: Sajeeb Ahmed Wazed
‘লোডশেডিং দিতে বলেছিলাম’
বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় উৎপাদন নিশ্চিত হওয়ার পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি নিজেই প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিতে বলেছিলাম৷ তা না হলে মানুষ ভুলে যাবে দেশে লোডশেডিং ছিল৷’’ ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ঢাকায় কুড়িল উড়ালসেতু উদ্বোধনকালে একথা বলেন শেখ হাসিনা৷
ছবি: dapd
‘...তারা বাঙালি নয়’ (প্রতীকী ছবি)
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের একটি মন্তব্য আলোচনার ঝড় তোলে৷ ‘‘যারা ঘোমটা পরে, তারা বাঙালি নয়’’ – এ কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও, মিতা জানান, তিনি চোখ পর্যন্ত ঢেকে রাখার যে রীতি দেখা যাচ্ছে, তার সমালোচনা করেছিলেন৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
‘২০ জন উপদেষ্টা’
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের নিয়ে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব করেন৷ ২১ অক্টোবর তিনি বলেন, ‘‘ওই দুই সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে বর্তমান সরকারি দল পাঁচজন এবং বিরোধী দল পাঁচজন সদস্যের নাম প্রস্তাব করবেন৷’’ কিন্তু গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপদেষ্টাদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন এখন জীবিত আছেন৷ তাদের কয়েকজন আর উপদেষ্টা হতে রাজি নন৷
ছবি: Getty Images
‘...তেঁতুল বলি নাই’
হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমেদ শফী এক ওয়াজ মাহফিলে ‘নারীদের তেঁতুল’ বলেন৷ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ পরবর্তীতে ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি মহিলাদের তেঁতুলের মতো বলেছি, তেঁতুল বলি নাই৷’’
ছবি: Mustafiz Mamun
‘ধ্বংস এখন অবধারিত’
সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের পর ব্যাংকটির ভবিষ্যত সম্পর্কে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ধ্বংস অবধারিত হলো৷’’ ৬ নভেম্বর এক বিবৃতিতে একথা বলেন ইউনূস৷ গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images
‘মানুষ থুতু দেবে’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১১ নভেম্বর বলেন, ‘‘সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুতু দেবে না? এর চেয়ে জেলেই মরে যাওয়া ভালো৷’’ এই মন্তব্যের কয়েকদিন পর তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারকে সরাতে হলে নির্বাচন দরকার৷ নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে৷’’ শেষ অবধি অবশ্য নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images
‘আমরা আপনাদের তৈরি করেছি’
অবরোধের আগুনে পোড়া গীতা সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সব রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আমরা আপনাদের তৈরি করছি, আপনারা আমাদের তৈরি করেন নাই৷ আমাদের স্বামীরটা আমরা খাই৷ আপনারা আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন৷’’ প্রধানমন্ত্রী ১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে গেলে তাঁকে এসব কথা বলেন গীতা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
‘দিস ইজ বেয়াদবি’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে যান নি ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ইইউ রাষ্ট্রদূতদের এই আচরণ প্রসঙ্গে ১৯ ডিসেম্বর বলেন, ‘‘ইইউ রাষ্ট্রদূত স্মৃতিসৌধে গেলেন না, দিস ইজ বেয়াদবি, এক্কেবারে বেয়াদবি৷’’ এরকম বিভিন্ন মন্তব্য করে গত পাঁচ বছর ধরেই আলোচনায় আছেন মুহিত৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
10 ছবি1 | 10
বিএনপির অভিযোগ
মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে ঘিরে গণ গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ – এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান৷ তিনি দাবি করেন, সরকার প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে৷ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি৷
মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার যত বাধাই দিক না কেন ২৯ ডিসেম্বর ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' নামে ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে৷ হামলা, মামলা দিয়ে শত চেষ্টা করেও অতীতের কোনো সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও এই সরকার পারবে না৷ তারা বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি দমন করতে গিয়ে সারা দেশটাকে আজ অবরুদ্ধ করে ফেলেছে৷ তাই জনতার বিজয় হবেই৷
মিছিলের চেষ্টা
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের মিছিলের চেষ্টায় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে৷ এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় ছোটোছুটি৷ এক পর্যায়ে হিজবুতকর্মীরা বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটিয়ে আশেপাশের গলিতে ঢুকে পড়ে৷ হিজবুতকর্মীরা প্রধান সড়ক থেকে সরে গেলেও আশেপাশের বিভিন্ন গলিতে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া চলে৷ এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে৷