রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষ হল
২ মে ২০১১সেমিনারে দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকার রবীন্দ্র গবেষকরা মোট ৩২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন৷
‘‘কনটেমপোরাইজিং টেগর এন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড'' শিরোনামে এই সেমিনারে রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িকতা এবং চির অধুনিক ভাবনার কথা উঠে এসেছে৷
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাধা চক্রবর্তী বললেন, রবীন্দ্রনাথ ভবিষ্যত দ্রষ্টা ছিলেন৷ শুধু এখন নয় ভবিষ্যতের পৃথিবীও তার কাছ থেকে নিতে পারবে অনেক কিছু৷ তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে নানা মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে৷ আর শ্রীলংকার কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনুরা মানাতুঙ্গা বলেন রবীন্দ্রনাথের প্রভাব সর্বব্যপ্ত৷ শান্তি নিকেতনের অধ্যাপক ড. অমৃত সেন বলেন, ভারতবর্ষে নানা জাতি ও বর্ণের মানুষের সহাবস্থান সম্ভব হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মত ঋষিতুল্য মানুষের আদর্শের কারণে৷ আর ভারতের রবীন্দ্র গবেষক রেবা সোম বললেন, রবীন্দ্রনাথের জীবনের নানা দিক রয়েছে৷ সেই দিকগুলোকে তুলে ধরতে হবে৷ শুধু কবিতা, গান বা নাটকে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না৷
বাংলাদেশের খ্যাতিমান রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান জানান, এই সেমিনার রবীন্দ্র চর্চায় সবার মধ্যে একটি যোগাযোগ স্থাপন করেছে৷ যাতে ভবিষতে লেনদেন আরো বাড়বে৷
আয়োজকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই সেমিনারে যারা অংশ নিয়েছেন তারা সবাই রবীন্দ্রনাথকে আরো নতুনভাবে জেনেছেন৷ রবীন্দ্রনাথ যে শান্তির পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন এর মাধ্যমে আমরা সেদিকে এগিয়ে যেতে পারব৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী আর জামেয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার যৌথভাবে এই সেমিননের আয়োজন করে৷ রোববার এই সেমিনার শেষ হয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম