1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রসরাজের মুক্তি দাবি করলেন মা

২ ডিসেম্বর ২০১৬

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার রসরাজের মুক্তি চেয়েছেন তার মা৷ এক সংবাদ সম্মেলনে দরিদ্র হিন্দু মাছবিক্রেতা রসরাজের মা নমিতা রানী দাস দাবি করেন, তাঁর সন্তান নির্দোষ৷ এর আগে তদন্ত শেষে পুলিশও জানিয়েছে রসরাজ নির্দোষ৷

রসরাজের পরিবার
রসরাজের মা-বাবাছবি: bdnews24.com

রসরাজ দাস ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্ট করেছেন – এমন অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ১৫টি মন্দির এবং বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে৷ সেদিনের পরও সেখানে কয়েকবার হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷ 

অথচ ঘটনার পরই গণমাধ্যমের খবরে রসরাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়৷ স্থানীয়ভাবে জানা যায়, যে সময় কথিত ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয় তখন রসরাজ নিজের মোবাইল ফোনের কাছে ছিলেন না৷ তখন মোবাইল ছিল বাড়িতে আর তিনি বিলে মাছ ধরছিলেন৷

আরো জানা যায়, লেখাপড়া না জানা রসরাজ ফটোশপে এমন ছবি তৈরি করে ফেসবুকে দিতে পারেন কিনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে৷

অবশ্য হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরুর আগেই রসরাজকে আটক করে পুলিশ৷ তারপর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়৷ নাসিরনগরের হরিণবেড় গ্রামের ৩০ বছর বয়সি জেলে রসরাজ এখনো কারাগারে৷

এদিকে তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার সঙ্গে রসরাজের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বরং গত ২১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের সাইবার ক্যাফে থেকে রসরাজের ফেসবুক আইডি ‘হ্যাক' করে ‘ধর্মীয় অবমাননার' ছবি পোস্ট করেন৷ ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত রসরাজের মুঠোফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে

শুক্রবার ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, রসরাজের মা নমিতা রানী দাস ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলেকে ‘নির্দোষ' দাবি করে বলেছেন, রসরাজ লেখাপড়া জানে না; তার পক্ষে ফেইসবুকে কোনো কিছু লেখাও সম্ভব নয়৷

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ‌্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর কার্যালয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস‌্যদের উপস্থিতিতে নমিতা রানী দাস বলেন, ‘‘আমার ছেলে পড়াশুনা জানে না৷ কোনোদিন ইস্কুলে যায়নি৷ বড় ভাই আর বাবার সঙ্গে বালিঙা বিলে মাছ ধরত৷'' এ সময় তিনি নাসিরনগরের ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তিনি৷

এসিবি/ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ