‘উবার' বা ‘পাঠাও'-এর মতো রাইড শেয়ারিং সম্পর্কে অনেক পাঠক তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷
বিজ্ঞাপন
পাঠক হৃদয় মিয়ার মতে, ‘‘রাইড শেয়ারিং-এ কিছু দুর্নীতি হলেও পুরো বিষয়টাকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন কোম্পানিগুলিকে ছোট খাট দুর্নীতির জন্য দোষারোপ না করে বরং ভালো পরামর্শ দেয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া তাঁর মতে রাইড শেয়ারিং চাকুরিজীবীদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ৷ আর যারা বেকার তাদের জন্য কর্মসংস্থান৷
‘‘এ ধরনের বিকল্প রাইডগুলো একটা যথাযথ গণপরিবহন ব্যবস্থার বিকল্প কখনোই হতে পারে না, পরিপূরক হতে পারে মাত্র৷ সরকার আজও একটা কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি৷ এটা সরকার, রাজনীতিবিদ ও আমলাতন্ত্রের বিশাল বড় ব্যর্থতা৷ আমাদের পরিপূরক ব্যবস্থার দিকে নয় বরং গণপরিবহন নাই কেন, সেই ইস্যুতে মনোযোগ দেয়া উচিত৷'' এই মন্তব্য মুনশাত চৌধুরীর৷
আর পাঠক শাখাওয়াত বাবন এর ধারণা, রাইড শেয়ারংগুলো মোটরসাইকেল চালকদের নাকি রিকশাওয়ালার কাতারে নামিয়ে আনা হয়েছে৷
বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি
যানজটের কারণে ঢাকায় বেশ জনপ্রিয় মোটর সাইকেলে রাইড শেয়ারিং৷ আবার কার কিংবা সিএনজিও মিলছে মোবাইল অ্যাপে৷ বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো সম্পর্কে জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পাঠাও
২০১৬ সালের শেষে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও৷ পাঠাও জানিয়েছে, এই পর্যন্ত তাদের মোবাইল অ্যাপ প্রায় ৫০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে৷ ৪ কোটির বেশি ট্রিপ দিয়েছেন পাঠাওয়ের চালকরা৷ রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি খাবার ও পার্সেল সার্ভিস রয়েছে পাঠাওয়ের৷ নেপালেও চলছে তাদের কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
উবার
বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা হিসেবে উবার যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বরে৷ যদিও ২০১০ সালে প্রথম চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি৷ দক্ষিণ এশিয়ায় ৩৩তম শহর হিসাবে ঢাকায় উবার সেবা চালু হয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
স্যাম
২০১৬ সালের ৭ মে বাংলাদেশের প্রথম অ্যাপভিত্তিক চালু হয়েছিল রাইড শেয়ারিংয়ের সেবা ‘শেয়ার এ মোটর সাইকেল বা স্যাম’৷ তবে, সেভাবে জনপ্রিয় হতে পারনি এই কোম্পানিটি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বাডি
একাধিক যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম রাইড শেয়ারিং সেবা ‘বাডি’৷ এতে কোম্পানির গাড়িতে একাধিক ব্যক্তি গন্তব্যের পথ ধরতে পারেন৷ ছয় থেকে ১০ জন যাত্রীকে এক গাড়িতে সেবা দিচ্ছে বাডি৷ সেবাটি পাওয়া যায় মোবাইল অ্যাপে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
নারীদের ‘ওবোন’
নারীদের জন্য ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল চালু হয় কেবল নারী চালকদের মাধ্যমে পরিচালিত ‘ও বোন’ সেবা৷ শুরুতে ৫০ জন নারী রাইডার দিয়ে কার্যকর চালু হলেও এখন সংখ্যাটা বেড়েছে৷ ‘ও ভাই সলিউশনস লিমিটেড’ উদ্যোগ নিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ওভাই
রাইড শেয়ারিংয়ে নানাবিধ নামে সেবা চালু করেছে ‘ও ভাই সলিউশনস লিমিটেড’৷ নারীদের ‘ওবোন’-এর পাশাপাশি কোম্পানিটির রয়েছে মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে ‘ওভাই মটো’, ফোর-হুইলার প্রাইভেট কারের ‘ওভাই গাড়ি’, থ্রী হুইলার সিএনজি’র ‘ওভাই সিএনজি’ এবং মাইক্রো বাসের না ‘ওভাই মাইক্রো’ সেবা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সহজ
অনলাইনে বাস টিকেট বিক্রির কার্যক্রম নিয়ে ২০১৪ সালে সহজ ডটকমের যাত্রা শুরু হয়৷ ২০১৮ সালের শুরুতে কোম্পানিটি চালু করে মোটর সাইকেলে রাইড শেয়ারিং সেবা৷ এরপর প্রাইভেট কারে রাইড শেয়ারিংয়ের দিকে যায় তারা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
পিকমি
২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় যাত্রা শুরু করে রাইডশেয়ারিং কোম্পানি ‘পিকমি’৷ মোবাইল অ্যাপে মোটরসাইকেল ও কারের পাশাপাশি স্কুটির রাইড শেয়ারিং সেবাও দেয় তারা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মার্কেটে আরো আছে যারা
বাংলাদেশে ২০টির মতো রাইড শেয়ারিং কোম্পানি আছে৷ ‘চলো’, ‘মুভ’, ‘ঢাকা মোটো’, ‘বাহন’, ‘আমার বাইক’, ‘ট্যাক্সিওয়ালা’, ‘আমার রাইড’, ‘আমার বাইক’, ‘ডাকো’, ‘গতি’ ও ‘হ্যালো রাইড’ প্রভৃতি রয়েছে এর মধ্যে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
রাইড শেয়ারিং নীতিমালা
অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন করে সরকার৷ ২০১৮ সালের ৭ মার্চ থেকে সেটি কার্যকর করা হয়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
10 ছবি1 | 10
‘‘পাঠাওয়ের বাইক সার্ভিসের অবস্থা উবারের চেয়ে খারাপ ... পাঠাও কতৃপক্ষের উচিৎ উনাদের রাইডারদের বেসিক কিছু প্রশিক্ষণ দেয়া ... যেমন বেসিক ড্রাইভিং এর নিয়ম, কাস্টমারের সাথে ব্যবহার কেমন হবে ইত্যাদি ৷''এই মন্তব্য পাঠক তাপসের৷
আর শ্যামল মামুন মনে করেন ভাল খারাপ মিলিয়েই দুনিয়া৷ ভাল রাইডার যেমন আছে তেমনি খারাপ রাইডারও আছে৷ সবকিছুর সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে৷
পাঠক মতিউর রহমান মনে করেন, তার জানা মতে কোন ভদ্র যাত্রীর সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করে না৷