1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি ব্লগারকে আবার বেত্রাঘাত

রাইনার সলিচ/এসি১৬ জানুয়ারি ২০১৫

উদারপন্থি সৌদি ব্লগার রাইফ বাদাউয়ি-কে আবার প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হবে: মোট এক হাজার বারের আরো পঞ্চাশ ঘা, আদালত বাদাউয়িকে যেমন দণ্ড দিয়েছেন৷ এ নিয়ে কেন ঝড় উঠছে না, সেটাই রাইনার সলিচ-এর প্রশ্ন৷

Ensaf Haidar Frau vom Blogger Raif Badawi beim Protest in Montreal 13.01.2015
ছবি: picture alliance/empics

আঙ্গেলা ম্যার্কেল সম্প্রতি বারংবার বলেছেন, মুসলিমদের সাধারণভাবে সন্দেহ করা উচিত নয়৷ কিন্তু তিনি এও বলেছেন: ‘‘ধর্মপালনের স্বাধীনতা এবং সহিষ্ণুতার অর্থ এই নয় যে, ক্ষেত্রবিশেষে শরিয়া-কে সংবিধানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে৷'' ম্যার্কেল যদি জার্মানির চ্যান্সেলর না হয়ে সৌদি আরবের নাগরিক হতেন, তাহলে শুধু ঐ একটি মন্তব্যের জন্যই সম্ভবত তাঁকে বিপুল সাজার সম্মুখীন হতে হতো – রাইফ বাদাউয়ির ক্ষেত্রে যেমন ঘটেছে৷ ইসলামের ‘‘অবমাননার'' অপরাধে বাদাউয়িকে বেত্রাঘাত ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে৷

ইসলামের অবমাননা করছে কে?

বাস্তবে এই রায়ই ইসলামের পক্ষে অপমান এবং ইসলামের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর, কেননা বাদাউয়ি-র ‘‘অপরাধ'' বস্তুত স্বাধীন মতপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়, যা পশ্চিমে তো বটেই, সেই সঙ্গে ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের বহু স্থানের মুসলিমদের চোখে দণ্ডনীয় নয়৷ বাদাউয়ি তাঁর দেশে রাষ্ট্র এবং ধর্মের মধ্যে যে কোনো ব্যবধান নেই, সেই সমস্যার কথা বলেছেন৷ এবং তিনি ইসলামকে খ্রিষ্টধর্ম, ইহুদি ধর্ম এবং ধর্মের স্বাধীনতার সঙ্গে একই পর্যায়ে ফেলার ‘‘দুঃসাহস'' প্রদর্শন করেছেন – এই হলো তাঁর অপরাধ৷

এক সপ্তাহ আগে যখন বাদাউয়িকে প্রথম পঞ্চাশ ঘা বেত মারা হয়, তখন পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে তা মোটামুটি উল্লেখ করা হয়েছিল, এই পর্যন্ত৷ সকলেরই চোখ তখন প্যারিসের দিকে, সকলেই সন্ত্রাসের নিন্দা করতে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে ব্যস্ত, সকলেই ঘোষণা করছেন: ‘‘আমি শার্লি''৷ বাদাউয়ির জন্য কোনো গণবিক্ষোভ, গণপ্রতিবাদের আয়োজন করা হয়নি, যদিও তিনি নিহত ব্যঙ্গচিত্রীদের মতোই শুধু তাঁর মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকার ব্যবহার করেছেন৷ বাদাউয়ির সাজায় শুধু কয়েকজন মানবাধিকার আন্দোলনকারী এবং বামপন্থি প্রবন্ধকার ঘোষণা করেন: ‘‘আমি শুধু শার্লি নই, আমি রাইফ-ও বটে৷'' রাইফ-এর জন্য আরব বিশ্ব থেকেও যে খুব বেশি সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, এমন নয়৷ সমর্থক কয়েকজন আছেন, কিন্তু অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী ও আন্দোলনকারী তখন শার্লি এব্দো এবং হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক চিত্র নিয়েই ব্যস্ত৷

বার্লিনে সৌদি দূতাবাসের সামনে অ্যামনেস্টির বিক্ষোভছবি: DW/A.-S. Philippi

ভুল সমর্থন

অথচ ঠিক এখানেই ব্যাপক প্রতিবাদের প্রয়োজন ছিল – বিশেষ করে পশ্চিমে৷ বাদাউয়িকে তো কোনো সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী নিপীড়ন করছে না, বরং একটি ‘‘সহযোগী'' দেশের আইনব্যবস্থা সরকারিভাবে বাদাউয়িকে এই দণ্ড দিয়েছে৷ এমন একটি দেশ, যেখানে বেত্রাঘাত এবং শিরশ্ছেদ সাধারণ দণ্ডের মধ্যে পড়ে৷ এ ধরনের একটি প্রশাসন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগ্রামে পূর্ণাঙ্গ সহযোগী বলে গণ্য হয়, সেটাই তো একটা রসিকতা৷ দুর্নীতিপরায়ণ সৌদি রাজতন্ত্রের পরিবর্তে আমাদের রাইফ বাদাউয়িকে সমর্থন করা উচিত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ