1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে ‘অভিযান’, আবার রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা

২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আবারো বড় ধরনের অভিযানের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ আর তাতে বাংলাদেশের সীমান্তে এবার রোহিঙ্গা ছাড়া অন্য জাতিগোষ্ঠির ঢলও নামতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ বাংলাদেশকে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তাদের৷

ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Htusan

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী৷ এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর প্রতিবাদ এবং সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বলা হয়৷ বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের পর সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান, বিজিবির মুখপাত্র লে. কর্নেল সাইদুর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সীমন্তে এখন আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা নাই৷ তারা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে গেছে৷ তবে রাখাইনের ভেতরে তারা কী করছে সেটা আমরা জানি না৷ এটা গোয়েন্দারা ভালো বলতে পারবেন৷’’

এই বিজিবি কর্মকর্তা জানান, ‘‘সীমান্তের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে৷ সীমান্ত বলতে আমাদের দিক থেকে আমরা যতটুকু দেখতে পাচ্ছি তা স্বাভাবিক৷’’

একাধিক সূত্র জানায়, সীমান্ত থেকে তারা সরে গেলেও এক কিলোমিটার দূরেই তারা অবস্থান করছে৷ রাখাইনে সৈন্য সমাবেশও অব্যাহত আছে৷ ২০১৭ সালে শুরু হওয়া ক্লিয়ারেন্স অপারেশন সেখানে এখনো চলছে৷ মিয়ানমারে ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এই অপারেশন আরো জোরদার হচ্ছে৷

‘তারা অভিযান বন্ধ করেনি, সৈন্য আরো বাড়াচ্ছে’

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে এখনো চার হাজারের মত রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন৷ তারা ২০১৭ সালের পর থেকেই সেখানে আছেন৷ নো-ম্যানস ল্যান্ডের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, ‘‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তের এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে এখন আর নাই৷ তারা এর বাইরে অবস্থান করছে৷ আমাদের কাছে যে খবর রয়েছে তাতে তারা অভিযান বন্ধ করেনি৷ সৈন্য আরো বাড়াচ্ছে৷’’

তিনি জানান, ‘‘আমরা সেখানে অবস্থানরত আমাদের স্বজনদের কাছ থেকে যে খবর পাচ্ছি তাতে রোহিঙ্গাদের মুভমেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ তাদের ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না৷ সেখানে যুদ্ধের ট্যাংক নিয়ে আসা হচ্ছে৷ আমরা আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্যে আছি৷’’

এর আগে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মিয়ানমার আবার রাখাইনে গণহত্যা শুরু করেছে৷ সেনা সমাবেশের মধ্যেই সেখানে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ মিয়ানমার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ তবে নানা সূত্র থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে সেখানে গণহত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে৷ বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা আছেন তাদের অনেকের স্বজনরা এখনো রাখাইনে আছেন৷ তারা তাদের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন৷

এই অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় টহল এবং নজরদারী জোরদার করা হয়েছে৷ সীমান্তের জনবল ও নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে৷ তারা রাখাইনের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন৷

‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে নির্বাচন বন্ধ করতে চায়’

This browser does not support the audio element.

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক মনে করেন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাখাইনে সেনা সমাবেশ ঘটনো হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এর কারণ মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে নির্বাচন বন্ধ করতে চায়৷ সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইএসডিপির রাখাইনে কখনোই ভালো অবস্থান ছিল না৷ ফলে এখানে নির্বাচন না হলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সুবিধা৷ তাই আমার মনে হচ্ছে তারা আরো বড় ধরনের অভিযান চালাবে যাতে নির্বাচন বন্ধ করা যায়৷’’

তিনি বলেন, ‘‘এবার অভিযান শুরু হলে শুধু রোহিঙ্গা নয়, সেনা সমর্থিত দলের বাইরে যে বৌদ্ধরা আছেন তারাও এর শিকার হতে পারেন৷ তাই শুধু রোহিঙ্গা নয়, এবার বৌদ্ধদের ঢলও আমরা সীমান্তে দেখতে পারি৷’’

এজন্য তিনি বাংলাদেশকে আরো সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘মিয়ানমার এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালোই চাপের মুখে আছে৷ আর আইসিজের পর এখন আইসিসিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হতে যাচ্ছে৷ ফলে তারা আরো চাপে পড়বে৷’’

গত ডিসেম্বরের ছবিঘর দেখুন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ